ভাদ্র ও আশ্বিন—এ দুই মাস মিলে শরৎকাল। শরতের স্নিগ্ধ-কোমল প্রকৃতি যেমন মন-প্রাণ জুড়ায়, তেমনি শরৎ আসে নানা উৎসবের আগমনী বার্তা নিয়ে। প্রকৃতিতে শরতের ছোঁয়া লেগেছে বেশ কিছুদিন আগেই। যে কারণে আকাশে জমা হচ্ছে শুভ্র মেঘের ভেলা আর পথেঘাটে দেখা মিলছে সারি সারি কাশফুলের।
শরতের সৌন্দর্যের ষোল আনারই যেন দেখা মেলে উত্তরার দিয়াবাড়িতে। জায়গাটিকে কাশফুলের রাজ্য বললেও ভুল হবে না। যেদিকে চোখ যায়, সেদিকেই দেখা মিলবে কাশফুলের। ইট, পাথর আর কংক্রিটের এ শহর থেকে কিছুটা অবসর নিয়ে ঘুরে আসতে পারেন দিয়াবাড়ি থেকে।
বছরের এ সময় ঢাকার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে লোকজন এসে ভিড় করেন এখানে। প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের পাশাপাশি বেশ কিছু মুখরোচক খাবারেরও দেখা মিলবে এখানে। চলুন আজ জেনে নিই দিয়াবাড়ির কিছু মজাদার স্ট্রিট ফুডের গল্প।
দিয়াবাড়িতে গেলে যে খাবারটি সবচেয়ে বেশি চোখে পড়বে, তা হলো ফুচকা আর চটপটি। এখানকার প্রায় প্রতিটি দোকানেই পাবেন এ দুই খাবার। কিছুদূর পরপরই দেখা মিলবে একই ধাঁচের ফুডকার্ট আর তার পাশে ছোট্ট বসার জায়গা। একদিকে কাশবন অপর দিকে জলাধার আর সঙ্গে মৃদু বাতাস। এমন পরিবেশে খেতে কার না ভালো লাগে! এখানকার ফুচকা আর চটপটি দুই–ই পছন্দ ভোজনরসিকদের। প্রতি প্লেট ফুচকা ও চটপটির দাম পড়বে ৬০ টাকা করে।
ঝালমুড়ি বোধ হয় এদেশের সবচেয়ে সহজলভ্য স্ট্রিট ফুডের একটি। স্কুল–কলেজের সামনে কিংবা গলির মোড়ে, সবখানেই দেখা মেলে ঝালমুড়ির।
দিয়াবাড়ির ঝালমুড়ির বিশেষত্ব এখানকার মসলায়। এক ভিন্ন ধরনের মসলা ব্যবহার করা হয় এখানকার ঝালমুড়িতে। আর তার সঙ্গে লেবুর ব্যবহার ঝালমুড়ির স্বাদ কয়েক গুণ বাড়িয়ে দেয়। প্রতি প্যাকেট ঝালমুড়ি বিক্রি হয় ১৫ টাকা করে।
একদিকে শরতের মেঘ অপর দিকে মেঘের মতোই দেখতে তুলতুলে হাওয়াই মিঠাই। ছোট-বড় সবারই মন কাড়ে মুখে দিলেই মিলিয়ে যাওয়া মিষ্টি এই খাবার। কাশবনের পাশে বসে কিন্তু এই সাধারণ খাবার খেতেও অসাধারণ লাগে। গোলাপি, আসমানি আর সাদা রঙের হাওয়াই মিঠাইয়ের পসরার দেখা মেলে দিয়াবাড়ির কাশবনের পাশেই। যার দাম পড়বে প্রতি পিস ২০ টাকা।
ছবি: লেখক