সন্ধ্যা ৭টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত বেচা-কেনা চলে এখানে। পুরো সময়টাই জমজমাট থাকে চাঁন্দু শেখের নেহারির দোকান। ছোট্ট দোতলা দোকানটির নিচতলায় বড় বড় ডেকে রাখা থাকে নেহারি, যা বাটিতে তুলে দেন চাঁন্দু শেখ নিজেই। আর পাশেই দুজন থাকে লুচি তৈরিতে ব্যস্ত। একজন বসে বসে লুচি বেলেন। আরেকজন বড় এক কড়াইয়ে ভাজতে থাকেন লুচি। গরম-গরম নেহারি পরিবেশন করা হয় ততোধিক গরমাগরম লুচির সঙ্গে।
চাঁন্দু শেখ বলেন, মানুষ যে তার রান্না এত ভালোবাসেন, এতেই তিনি তৃপ্ত। তিনি সব সময় চেষ্টা করেন তাঁর ক্রেতাদের পাতে সবচেয়ে ভালো জিনিসটা তুলে দেওয়ার। প্রতিদিন নিজ হাতেই নেহারি রান্না করেন চাঁন্দু শেখ। এ রান্না তিনি শিখেছেন তাঁর বাবার কাছে। তাঁর নেহারি তৈরিতে ধনে, জিরা, জয়ত্রী, জায়ফল, গোলমরিচসহ মোট ২২ ধরনের মসলা ব্যবহার করেন তিনি।
মূলত গরু ও মহিষের নেহারি তৈরি হয় এখানে। বড় ম্যালামাইনের বাটিতে পরিবেশিত হয় এই নেহারি ও পর্যাপ্ত পরিমাণে ঝোল। নেহারির ওপর ছড়ানো থাকে ধনেপাতা। সব মিলিয়ে মনকাড়া এক সুবাস এই নেহারির। বাটির সঙ্গে প্লেটভর্তি লুচিও দিয়ে যান পরিবেশনকারীরা। পরে চাইলে আরও লুচি ও ঝোল নেওয়ার ব্যবস্থা আছে।
দোকানটির দোতলায় পাঁচটি ছোট টেবিলে আছে ২০ জনের বসার জায়গা আর নিচতলায় আছে দুটি টেবিল। যেহেতু সব সময় ভিড় লেগেই থাকে, তাই মাঝেমধ্যে বসার জন্য অপেক্ষাও করতে হয় এখানে। নেহারি পার্সেল নেওয়ার ব্যবস্থা আছে এ দোকানে। প্রতি প্লেট নেহারির দাম শুরু ২৮০ টাকা থেকে আর প্রতি পিস লুচির দাম ৫ টাকা।
ছবি: সুরাইয়া সরওয়ার