উত্তরার ১২ নম্বর সেক্টরে পার্কের সামনে বেশ কিছু ছোট দোকান ও ফুডকোর্ট আর মাঝে বসার ছোট ছোট চেয়ার–টেবিল মিলে বেশ ছিমছাম এই স্ট্রিট ফুডের পসরা। স্ট্রিট ফুডের এই ফুডকোর্ট নিয়ে লিখেছেন সুরাইয়া সরওয়ার।
সন্ধ্যা নামলেই আজকাল শহরের আনাচকানাচে দেখা মেলে অসংখ্য স্ট্রিট ফুডের ভ্রাম্যমাণ দোকানের। একসময় স্ট্রিট ফুড বলতে ছিল হাতে গোনা কিছু খাবার। তবে এখন স্ট্রিট ফুডের ধরন অনেক। কী নেই স্ট্রিট ফুডের মধ্যে!
রাস্তার পাশের ছোট খাবারের দোকানগুলো যেন হয়ে উঠেছে সান্ধ্যকালীন আড্ডার কেন্দ্রস্থল। কেউ বন্ধুদের সঙ্গে, কেউবা পরিবারের সবাই মিলে এসে জড়ো হন এসব বাহারি খাবার চেখে দেখতে। এমনই এক জমজমাট জায়গার দেখা পাবেন উত্তরার ১২ নম্বর সেক্টরে পার্কের কিছুটা সামনে এগোলে। চারদিক ঘেরা বেশ কিছু ছোট দোকান ও ফুডকোর্ট আর মাঝে বসার ছোট ছোট চেয়ার–টেবিল মিলে বেশ ছিমছাম এই স্ট্রিট ফুডের পসরা। এ যেন এক স্ট্রিট ফুডের ফুডকোর্ট! ফুচকা-চটপটি থেকে শুরু করে পিৎজা কিংবা বার্গার—সবই পাবেন এখানে। চলুন, জেনে নিই উত্তরার কিছু বাহারি স্ট্রিট ফুড সম্পর্কে।
দক্ষিণ ভারতের অন্যতম জনপ্রিয় খাবার এই মাসালা দোসা। খেতে যেমন সুস্বাদু, তেমনি মসলার ব্যবহার কম হয় বলে স্বাস্থ্যকরও বটে। ‘নিউ ইন্ডিয়ান দোসা এক্সপ্রেস’ নামের ছোট্ট ফুডকোর্টে পেয়ে যাবেন মজাদার এই খাবার। দোসার পুর হিসেবে এখানে ব্যবহৃত হয় হালকা মসলায় রান্না করা আলু আর পরিবেশন করা হয় ছোলার ডাল, দই ও চাটনি দিয়ে। খাবারটির দাম পড়বে ৭০ টাকা।
‘কাঠকয়লা’ নামের ছোট এক দোকানে পাবেন এই মজাদার বারবিকিউ চিকেন। পাস্তা, ফ্রেঞ্চ ফ্রাই, মোমোসহ নানা আইটেম থাকলেও তাদের বারবিকিউ চিকেনের চাহিদা সবচেয়ে বেশি। দোকানটির একটি বিশেষত্ব হলো দোকানটির দোকানি তাঁর স্ত্রী-সন্তানসহ একসঙ্গে কাজ করেন এখানে। কেউ অর্ডার নিচ্ছেন, কেউ বারবিকিউ তৈরি করছেন, আবার কেউ ক্রেতাদের পরিবেশন করছেন। বারবিকিউ চিকেনের দাম ১৪০ টাকা আর প্রতি পিস পরোটা ১৫ টাকা।
যেমনটি বলেছিলাম, এমন কোনো খাবার বোধ হয় নেই, যেটা পথের ধারে পাওয়া যায় না। ‘পিজ্জা লাভার’ নামের এ দোকানে পাবেন নানা ধরনের পিৎজা, নাচোস, অনিয়ন রিংস থেকে শুরু করে সব মজার খাবার।
স্ট্রিট ফুড বলে যে স্বাদে কোনো কমতি থাকবে, তা কিন্তু নয়। খেতে এককথায় অসাধারণ তাদের চিকেন পিৎজা ও মেক্সিকান নাচোস। ১০ ইঞ্চি পিৎজার দাম পড়বে ২৮০ টাকা আর মেক্সিকান নাচোসের দাম ১৭০ টাকা।
ওরিও কুকিজ আর কিটক্যাট কার না পছন্দ! পথের ধারে যদি পাওয়া যায় মজাদার ওরিও কিংবা কিটক্যাট মিল্কশেকের মতো মজাদার পানীয়, তাহলে তা যেন সোনায় সোহাগা। একসঙ্গে থাকা ছোট দোকানগুলো পেরিয়ে সোজা রাস্তা ধরে আরেকটু সামনে গেলে দেখা মিলবে ওল’স টি নামের নান্দনিক ফুডকোর্টের। নানা ধরনের মাটির কাপ দিয়ে সাজানো বলে দেখতে দারুণ লাগে এ ফুডকোর্ট। সেখানে পাবেন মসলা চা, লেবু চা, মালাই চা থেকে শুরু করে লাচ্ছি, কোল্ডকফিসহ নানা ধরনের মিল্কশেক। ধরনভেদে চায়ের দাম ১০ থেকে ৫০ টাকা আর কোল্ডকফি ও মিল্কশেক ৮০ থেকে ১০০ টাকা।