স্ট্রিটফুডের সঙ্গে আমাদের পরিচয় বোধ হয় সেই ছোটবেলায় স্কুল ছুটির পর আচার, ফুচকা কিংবা ঝালমুড়ি খেতে খেতেই। এখন সময় বদলালেও স্ট্রিটফুডের প্রতি আমাদের আবেগ কিন্তু আগের মতোই। স্বাদ-গন্ধ, ফ্লেবারে একেকটি পথখাবার যেন অনন্য। মোহাম্মদপুরের অলিগলিতে দেখা মেলে দেশি-বিদেশি নানা ধরনের মুখরোচক স্ট্রিটফুডের। চলুন আজ জেনে নিই মোহাম্মদপুরের টাউন হল রোডের বিখ্যাত কিছু স্ট্রিটফুড সম্পর্কে।
টাউন হল রোডে গেলে দেখা মেলে সারি সারি ফুডকার্টের। ফুডকার্টগুলো খোলে বিকেলের দিকে আর জমজমাট হয় সন্ধ্যা থেকে। সেখানকারই ‘মোহাম্মদপুর রাজকচুরি অ্যান্ড ফুচকা স্টল’ নামের ফুডকার্টে পেয়ে যাবেন ঢাউস আকৃতির এই রাজকচুরি। বাইরে থেকে দেখতে বিরাট ফুচকার মতো এই খাবারে তারা ব্যবহার করে নিজেদের তৈরি করা দই। সঙ্গে থাকে চানাচুর, খেজুর, নিমকি, কিশমিশ ও কাজুবাদাম। এর ওপরে সাজানো হয় টমেটো সস আর পুদিনার চাটনি দিয়ে। এককথায় খেতে দারুণ এই টক-ঝাল-মিষ্টি-নোনতা রাজকচুরি। এই খাবারের দাম পড়বে ১২০ টাকা।
আমাদের মাঝে চকলেটপ্রেমী বা ফুচকাপ্রেমী দুই-ই মিলবে সমানে সমানে। তাই বলে চকলেটের সঙ্গে ফুচকা! শুনতে অদ্ভুত হলেও খেতে অসাধারণ এই খাবার। ফুচকার মিষ্টি সংস্করণ বলতে পারেন এই খাবারকে। পেয়ে যাবেন রাজকচুরির ওই ফুডকার্টেই। এই ফুচকার ভেতরে দেওয়া থাকে আইসক্রিম, কেক, বাদাম, চকলেট চিপস ও চকলেট সিরাপ। সব চকলেট-পাগল ফুচকা-অনুরাগী খাদ্যরসিকের অন্তত একবার খেয়ে দেখা উচিত এই চকলেট ফুচকা। ভিন্নধর্মী এই খাবারের দাম পড়বে ১৫০ টাকা।
পড়ন্ত বিকেলে নরম-গরম মোমো খেতে কার না ভালো লাগবে! ‘মোমো মামা’ নামের ফুডকার্টে পেয়ে যাবেন চিকেন মোমো, চিকেন নাগা মোমো, চিকেন চিজ মোমোসহ মোট পাঁচ ধরনের মোমো। সঙ্গে থাকবে পুদিনার সস, চিলি সস ও সুইট চিলি সস। প্রতি প্লেট মোমোর দাম ১৩০ থেকে ২০০ টাকার মধ্যে।
ফুডকার্টগুলো থেকে একটু সামনে এগোলেই চোখে পড়বে ‘সিঙ্গাপুর জুস অ্যান্ড কফি হাউস’ নামের দোকানটি। তাজা ফল দিয়ে সাজানো দোকানটি দেখে ফলের রাজ্য ভাবলেও ভুল হবে না। বিভিন্ন ফলের জুস পাবেন এ দোকানে। তবে দোকানটির জামের জুস খুবই জনপ্রিয়। জামের সঙ্গে বিটলবণসহ বিভিন্ন উপকরণ দিয়ে তৈরি হয় তাদের এই জামের জুস। ঠান্ডা-ঠান্ডা এই জুস আপনার মন ভালো করে দিতে বাধ্য। এই জুসের দাম শুরু ৫০ টাকা থেকে। এ ছাড়া এই দোকানের ফালুদাও বেশ ভালো খেতে। ফালুদার দাম পড়বে ১৫০ টাকা।
টাউন হল রোডের ‘মিস্টার বার্গার’ নামের ফুডকার্টে পাওয়া যায় এই মিনি বার্গার। দেখতে ছোট হলেও স্বাদে দারুণ এই মিনি বার্গারের কথা শোনা যায় লোকমুখে। নানা বয়সী মানুষকে ভিড় করতে দেখা যায় বার্গারটি খেতে। বার্গারটির দাম ৬০ টাকা।