ঘরের ভেতরে যে জায়গাগুলো হতে পারে মশার আঁতুড়ঘর
শেয়ার করুন
ফলো করুন

নিজেদের ঘরকে আমরা সব সময়ই নিরাপদ মনে করি। কিন্তু এখন আর এরূপ সন্তুষ্টির সুযোগ নেই। ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা রেকর্ড ছুঁয়েছে কাল। আর কর্তৃপক্ষের গাফিলতির সঙ্গে সঙ্গে এ জন্য দায়ী আমাদের অসতর্কতা। আমাদের ঘরের ভেতরেও একটু বেখেয়াল হলেই মশার আঁতুড়ঘর তৈরি হতে পারে। আর এডিস মশাই যে ডেঙ্গু ছড়ায় সে কথা এখন সবার জানা।

রাস্তার ড্রেন আর দালানের চারপাশে মশার ওষুধ প্রয়োগ আর আশপাশের এলাকায় পরিচ্ছন্নতা অভিযান চালানোই যথেষ্ট নয়। ঘরের ভেতরে আমাদের নাকের ডগায় এমন কিছু স্থান আছে যেখানে খুব সহজেই এডিস মশা বসতি গাড়তে পারে।

বিজ্ঞাপন

এয়ারকন্ডিশনার বা এসি

এ গরমে কিস্তিতে হলেও এয়ারকন্ডিশনার কিনছেন অনেকেই। কিন্তু এর পাইপ আর ট্রে বা যেকোনো অংশের নিচে পানির ফোঁটা পড়ছে কি না আর পানি জমছে কি না সে ব্যাপারে অত্যন্ত সতর্ক হতে হবে। বারান্দা, ছাদ বা কার্নিশে এসির পাইপ আর যন্ত্রাংশের ফাঁকফোকরে বৃষ্টির পানিও জমে বিপত্তি ঘটাতে পারে।

এসির নিচে পানি পড়ে কি না, তা দেখতে হবে ও নিয়মিত পানি পরিষ্কার করতে হবে। মশার ডিম পাড়ার ভয় থাকলে চারপাশে নেট দিতে হবে। পানি ব্যবহৃত হয়, এমন এয়ারকুলারের ব্যাপারে আরও সতর্ক হতে হবে। পানি ফেলে রাখা যাবে না কোনোভাবেই এতে।

বিজ্ঞাপন

গাছের টব, পাত্র ও ফুলদানি

বাড়িতে ঘরের ভেতরে, বারান্দায় বা কার্নিশে গাছ থাকলে খুব সাবধান হতে হবে এ সময়। দেখতে যতই সুন্দর, প্রশান্তিদায়ক হোক না কেন, গাছের টবের ভেতরে বা আশপাশে পানি জমে মশার উৎপত্তি ঘটতে পারে। অনেক সময় ছোট ছোট দৃষ্টিনন্দন ইনডোর প্ল্যান্ট ট্রেতে রাখি আমরা। এতেও জমতে পারে পানি।

গাছ রাখার ট্রে, পট, টব বা বোতল যা–ই থাকুক না কেন, এতে কোনোভাবেই পানি জমতে দেওয়া যাবে না। জমে থাকার মতো অতিরিক্ত পানি দেওয়া এমনিতেও ক্ষতিকর গাছের জন্য। টবের নিচে পানি বেরিয়ে যাওয়ার সুবিধার্থে ফুটো রাখতে হবে। গাছে বৃষ্টির পানি যাতে না জমে, সেদিকেও রাখতে হবে খেয়াল।

বাড়ির ছাদ ও চারপাশের পানিনিষ্কাশনের জায়গা

ড্রেন, গাটার, পাইপলাইন এসব জায়গায় পানি জমতে পারে অসতর্ক হলে। রান্নাঘর ও বারান্দার পানি বেরিয়ে যাওয়ার গর্তটিকেও নজরছাড়া করা যাবে না দিনের পর দিন। ড্রেন আর পাইপের মুখে ময়লা জমে আছ কি না, তা লক্ষ রাখতে হবে৷ এতে পানি জমার আশঙ্কা বাড়ে। বাড়ির ড্রেন ও পাইপ সব সময় পরিষ্কার রাখতে হবে।

বাথরুম ও টয়লেট

খেয়াল না রাখলে ঘরের লাগোয়া বাথরুম ও টয়লেট হতে পারে এডিস মশার অভয়ারণ্য। প্রায়ই এখানকার মেঝেতে পানি পড়ে থাকে। বালতিতে জমানো পানিও নিরাপদ নয়। এদিকে বদনা, মগ, টয়লেট ব্রাশ রাখার হোল্ডার, টুথব্রাশ রাখার স্ট্যান্ড—এসব জায়গায়ই পানি জমে মশা জন্মাতে পারে। বেসিনের নিচের ড্রেনহোল বা টয়লেটের কমোড ও ফ্লাশের ট্যাংকের পানিতেও এডিস মশা ডিম পাড়তে পারে।
বাথরুম ও টয়লেটে কোনোভাবেই পানি জমিয়ে রাখা যাবে না। বেখেয়ালে জমতেও দেওয়া যাবে না পানি। আলো–বাতাস চলাচল করে যেন সেখানে, সে ব্যবস্থা করতে হবে। প্রয়োজনে এগজস্ট ফ্যান লাগাতে হবে।

ছবি: হাল ফ্যাশন ও পেকজেলসডটকম

প্রকাশ: ১৪ জুন ২০২৩, ১২: ১৮
বিজ্ঞাপন