ফ্লোরিডা শুভ্রা রোজারিও
ক্যাফেইন
কফি ও এনার্জি ড্রিংকসের মতো ক্যাফেইনযুক্ত পানীয় সাময়িকভাবে শক্তি বাড়ালেও অতিরিক্ত পান করার ফলে পরদিন শরীরে আরও ক্লান্তিভাব তৈরি হয়। অত্যাধিক ক্যাফেইন ঘুমের ক্ষতি করে, যা ক্লান্তি ও উদ্বেগ বৃদ্ধিরও কারণ হতে পারে।
সকালে উঠেই ধোঁয়া ওঠা এক কাপ গরম কফির প্রয়োজনীয়তা বোধ করেন অনেকেই। কিন্তু সাবধান! কফি শরীরকে ডিহাইড্রেট করে। এর ফলে বলিরেখা, শুষ্কভাব ও ত্বক নিস্তেজ হতে থাকে। ক্যাফেইনের অত্যধিক ব্যবহার ত্বকের স্থিতিস্থাপকতা তৈরি করে, এমন অ্যান্টি–অক্সিডেন্টগুলোকেও কমিয়ে ফেলে।
কলাম্বিয়া ইউনিভার্সিটির কসমেটিক ডার্মাটোলজির ডিরেক্টর রবিন জিমরেক পরামর্শ দিয়েছেন, ‘প্রতিদিন ছোট চার মগের বেশি কফি খাওয়া উচিত নয়।’ ক্যাফেইনযুক্ত পানীয়ের একটি ভালো বিকল্প হলো গ্রিন টি, যা আরও শক্তিশালী অ্যান্টি–অক্সিডেন্ট ও কম ক্যাফেইন সরবরাহ করে।
প্রক্রিয়াজাত খাবার
যেকোনো ধরনের পক্রিয়াজাত খাবারের জন্য চুল ও ত্বকের ক্ষতি হয়। নিউরোলজি জার্নালে প্রকাশিত একটি নতুন গবেষণা অনুসারে, চিপস, নোনতা স্ন্যাকস, কোল্ড ড্রিংকসের মতো উচ্চপ্রক্রিয়াজাত খাবার আমাদের শরীর ও মনে একধরনের নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। কোলাজেনের ভাঙ্গন থেকে শুরু করে বলিরেখা, এমনকি স্মৃতিশক্তিও মারাত্মকভাবে হ্রাস পায় এসব অস্বাস্থ্যকর খাবার ও পানীয় গ্রহণের জন্য। তাই ইমিউন সিস্টেমকে বাধা দেয়, এমন প্রক্রিয়াজাত খাবার থেকে দূরে থাকাই ভালো।
অন্দরে শুষ্ক বাতাস
গরমের দিনে হোক বা অফিসের সময়—অনেকেই বেশির ভাগ সময় শীতাতপনিয়ন্ত্রিত কক্ষেই সময় কাটান। অনেক সময় ঘুম থেকে উঠে দেখা যায়, ঘামাচি উঠেছে বা চোখ রক্তবর্ণ হয়ে আছে। এমনটা ঘটে শোবার ঘরের শুষ্ক বাতাসের কারণে। শুষ্ক বাতাসে ঘুমালে চোখের আর্দ্রতা নষ্ট হয়, সঙ্গে রক্তনালিগুলোও প্রসারিত হতে পারে, যার ফলে একজন মানুষ খুব বেশি ক্লান্ত অনুভব করেন। তাই বাতাস পরিষ্কার করতে সাহায্য করার জন্য একটি ভালো কুল মিস্ট হিউমিডিফায়ার ব্যবহার করতে পারেন।
রাতে লম্বা সময় ধরে উপুড় হয়ে ঘুমালে শরীরের রক্তরস আমাদের নরম পেশিকলা বা সফট টিস্যুতে প্রবেশ করে। আমাদের চোখের নিচের অংশে এমন লসিকারস জমে ফোলা ভাব হতে পারে। একে সৌন্দর্যবিজ্ঞানের পরিভাষায় আই ব্যাগস বলা হয়। এর কারণে চেহারায় ক্লান্তি ও বয়সের ছাপ আসে। তাই মাথার নিচে বালিশ দিয়ে চিত হয়ে ঘুমালে এই সমস্যার সমাধান হবে।
ছবি: পেকজেলসডটকম ও ইন্সটাগ্রাম