ঢাকার কাছেই এক দিনের ছুটিতে ঘুরে আসার মতো অন্যতম পছন্দনীয় ট্যুরিস্ট স্পট নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ। ঢাকা থেকে মাত্র ২৭ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত দক্ষিণ-পূর্বে প্রাচীন বাংলার রাজধানী সোনারগাঁয়ে আছে সেকালের নানা নিদর্শন। আছে ঐতিহাসিক শহর পানাম নগরী, যা অনেকের কাছে হারানো নগরী নামেও পরিচিত। ইতিহাস থেকে জানা যায়, ঈশা খাঁর আমলে বাংলার রাজধানী ছিল এই পানাম।
পানাম নগরী থেকেই তখন প্রশাসনিক কাজ পরিচালিত হতো। এ ছাড়া আছে সোনারগাঁ লোকশিল্প জাদুঘর। জাদুঘরটি যে বাড়িতে করা হয়েছে, তার আদি নাম সরদারবাড়ি। এখানেও দেখা মিলবে প্রাচীন বাংলার ইতিহাস–ঐতিহ্যের নানা নিদর্শন। এই বিশাল এলাকায় ঘুরতে ঘুরতে ক্লান্ত হয়ে গেলে কিন্তু চোখে দেখতে পারেন এখানকার স্ট্রিট ফুডগুলো। চলুন জেনে নিই সোনারগাঁয়ের কিছু পথের খাবারের কথা।
কতবেল মাখা
পানাম নগরের গেটের সামনেই আছে গয়না, ব্যাগ, ঘর সাজানোর জিনিসপত্রসহ বাহারি সব দোকান। আর এই দোকানগুলোর সামনেই কতবেল, জাম্বুরা ও বিভিন্ন ধরনের আচার নিয়ে বসেন এক দোকানি।
তাঁর কতবেল মাখাই ক্রেতারা বেশি পছন্দ করে বলে জানিয়েছেন তিনি। কতবেলে সামান্য ছিদ্র করে তাতে বিট লবণসহ বেশ কিছু উপকরণ দিয়ে কাঠির সাহায্যে নেড়ে তিনি তৈরি করেন এই কতবেল মাখা। টক–ঝাল এই খাবারের দাম পড়বে ৩০ টাকা।
ঝালমুড়ি
খুব সাধারণ আর মজাদার এক স্ট্রিট ফুড হলো ঝালমুড়ি। এর দেখা মেলে রাস্তাঘাট অলিগলিসহ সবখানেই। পানাম নগরীর বড় পুকুরটির পাশে আছে এক ছোট্ট এক ঝালমুড়ির দোকান।
বিভিন্ন মসলার সঠিক ব্যবহারই যেন ঝালমুড়িতে প্রাণ সঞ্চার করে। তাই তো এত সহজলভ্য হওয়ার পরও ঝালমুড়ির আবেদন কমে না একটুও। পানাম নগরে প্রতি প্যাকেট ঝালমুড়ি বিক্রি হয় ১০ টাকায়।
আমড়া
একটি জনপ্রিয় দেশি ফল হলো আমড়া। ফলটি পাওয়া যায় দেশের সর্বত্রই। এতে আছে নানা পুষ্টি ও ভেষজ গুণ। এ ফলে রয়েছে প্রচুর ভিটামিন-সি ও ক্যালসিয়াম। পথের ধারে মসলামাখা ফুলের মতো করে কাটা আমড়ার দেখা মেলে হামেশাই।
সোনারগাঁ লোকশিল্প জাদুঘরের সামনেই পেয়ে যাবেন এই আমড়া। আমড়া ছিলে, কায়দা করে কেটে তাতে বিটলবণ ছিটিয়ে পরিবেশন করা হয় এই ফল। প্রতি পিস আমড়ার দাম পড়বে ১০ টাকা।
ছবি: লেখক