চুইঝাল নামের এক প্রকার বিশেষ মসলাজাতীয় উপকরণ দিয়ে তৈরি করা হয় বর্তমান সময়ে ভোজনরসিকদের মধ্যে রীতিমতো ক্রেজ তৈরি করা চুইঝাল মাংস। বিখ্যাত এই পদটির স্বাদ নিতে দেশের নানা প্রান্ত থেকে ছুটে আসেন ভোজনরসিকরা খুলনার আলোচিত হোটেল–রেস্টুরেন্টে।
চুইঝাল মূলত দেশের দক্ষিণ-পশ্চিম অঞ্চলে রান্নায় মসলা হিসেবে ব্যবহৃত হয়। মাংস ছাড়াও মাছ, খিচুড়িসহ বিভিন্ন তরকারিতে ব্যবহৃত হয় মসলাটি। এ মসলার সামান্য ব্যবহার বদলে দেয় পুরো রান্নার স্বাদ। শুধু স্বাদই নয়, এ মসলার আছে নানা ভেষজ গুণও। ক্যানসার, হৃদ্রোগ, ক্ষুধামান্দ্য, গ্যাস্ট্রিকসহ অসংখ্য রোগের প্রতিষেধক হিসেবে চুইঝাল কার্যকরী ভূমিকা পালন করে। এই মসলার বিশেষত্ব এর ভিন্নধর্মী স্বাদ ও ঘ্রাণে। এটি স্বাদে ঝাল, তবে এ ঝাল মরিচের ঝালের মতো নয়। এতে আছে এক তীক্ষ্ণ ঝাঁজ ও অপূর্ব সুগন্ধ।
খুলনার বিভিন্ন প্রান্তেই দেখা মেলে এই চুইঝাল মাংসের। তবে খুলনার জিরো পয়েন্টের হোটেলগুলো এ মাংসের পদের জন্য সবচেয়ে বিখ্যাত। এর মধ্যে অন্যতম কামরুল হোটেল,আব্বাস হোটেল ও আল আরাফা হোটেল।
হোটেলগুলোর খাবারের স্বাদ ও দাম অনেকটা একই। চুইঝাল দিয়ে তৈরি গরু ও খাসি—এ দুই ধরনের মাংসই পাওয়া যায় হোটেলগুলোতে। সঙ্গে পরিবেশন করা হয় ভাত। ডাল ও অন্যান্য ভর্তা-ভাজিও থাকে।
প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ১২টা পর্যন্ত খোলা থাকে এ দোকানগুলো। প্রতি পরিবেশনার চুইঝাল দেওয়া গরুর মাংসের দাম ১৬০ টাকা ও খাসির মাংস ১৮০ টাকা। এক প্লেট ভাতের দাম পড়বে ২০ টাকা ।
ছবিঃ লেখক