খিচুড়ি তো সারা বছরই খাই আমরা। তবে আজ যখন বিশ্ব খিচুরি দিবস, তখন এর বিলাতি তুতো ভাই কেজিরির উদ্যাপন না হলেই নয়। যত দূর জানা যায়, ব্রিটিশ সেনাদের হাত ধরেই সে দেশে গিয়েছে উপমহাদেশের কমফোর্ট ফুড গোত্রের এই জনপ্রিয় পদ। সকালের নাশতায় স্কটিশদের মধ্যে খুবই জনপ্রিয় কেজিরি। ব্রাঞ্চ হিসেবেও দারুণ। তাই বাড়িতে বানিয়ে শামিল হয়ে যাওয়া যাক এ উৎসবে।
বিলাতে গিয়ে ডাল পড়ল বাদ। মসলাপাতির মধ্যে যুক্ত হলো ‘কারি পাউডার’। আমাদের এদিকে এ মসলার নামগন্ধ না থাকলেও হলুদ, মরিচ, ধনে, জিরা ইত্যাদি মৌলিক মসলা একত্রে গুঁড়া করে বানানো এ কারি পাউডার সবকিছুতেই যোগ করে বিলাতিরা এদেশি খাবার রান্না করতে। পার্সলি পাতার ফ্রেশ আমেজে কেজিরির হলদে রং হলো আরও খোলতাই। স্কটিশ প্রভাবে স্মোকড হ্যাডক মাছের কাঁটা ছাড়া ফ্লেকস আর সেদ্ধ ডিমের টুকরা দিয়ে সাজানো হয় কেজিরি। এখানে সামুদ্রিক ম্যাকারেল বা কঙ্কন মাছের ফিলে নেওয়া হয়েছে। স্মোক করার ঝক্কি এড়িয়ে হালকা ভেজে নেওয়া হয়েছে। পার্সলের বদলে নেওয়া হয়েছে ধনেপাতা। আমাদের খিচুড়ি বিলাতে গিয়ে কেজিরি হয়ে আবার আমাদের হাতেই নাহয় পেল দেশি মেকওভার।
সুগন্ধি চাল ৫০০ গ্রাম
সামুদ্রিক ম্যাকারেল মাছের ফিলেট ৩টি
ডিম ৩টি
তেল ৩ টেবিল চামচ
চিকেন স্টক ৬ কাপ
পেঁয়াজকুচি ১ কাপ
আদা-রসুনবাটা ১ টেবিল চামচ
হলুদগুঁড়া ১ চা-চামচ
কারি পাউডার ১ চা-চামচ
মাখন ২ টেবিল চামচ
তেজপাতা ছোট ২টি
এলাচি ২টি
দারুচিনি ছোট ১ পিস
গোলমরিচের গুঁড়া আধা চা-চামচ
লবণ স্বাদমতো
ধনেপাতাকুচি ৩ টেবিল চামচ
মাছের ফিলেতে লবণ ও গোলমরিচের গুঁড়া দিয়ে হালকা করে ভেজে তুলে কাঁটা বেছে হালকা হাতে বা কাঁটাচামচ দিয়ে ফ্লেকস আলাদা করে নিতে হবে। ডিম সেদ্ধ করে নিতে হবে।
প্যানে মাখন দিয়ে তাতে তেজপাতা, দারুচিনি, এলাচি কিছুক্ষণ নেড়ে পেঁয়াজকুচি দিতে হবে। পেঁয়াজ বাদামি হলে তাতে আদা-রসুনবাটা, কারি পাউডার ও হলুদগুঁড়া দিয়ে নাড়তে হবে। পাঁচ মিনিট পর চিকেন স্টক দিয়ে ঢাকনা দিয়ে ঢেকে দিতে হবে। পানি ভালো করে ফুটলে চাল দিয়ে ঢাকনা দিতে হবে। আবার ফুটে উঠলে চুলার আঁচ কমিয়ে মাঝারি-মৃদু তাপে রাখতে হবে।
কিছুক্ষণ পর চাল নেড়েচেড়ে একেবারে আঁচ কমিয়ে টুকরা করা ডিম সেদ্ধ আর ভেজে রাখা মাছের ফ্লেকস ওপরে বিছিয়ে গোলমরিচের গুঁড়া ছড়িয়ে পাঁচ মিনিট রেখে দিতে হবে। এবার গরম গরম পরিবেশনের পালা ব্রিটিশ খিচুড়ি বা কেজিরি।