ঠোঁটের যত্নে বিশেষজ্ঞের ১০ পরামর্শ
শেয়ার করুন
ফলো করুন

বছরের কোনো না কোনো সময় ঠোঁটের শুষ্কতায় ভোগেননি এমন মানুষ খুব কমই আছেন। শুষ্ক ঠোঁটে কালচে ভাব বা হাইপারপিগমেন্টেশন ও ইনফেকশন হওয়ার অশঙ্কা অনেক বেশি। অবশ্য ত্বকের যত্নের মতো এখন মোটামুটি সবাই ঠোঁটের যত্নের ব্যাপারে বেশ সচেতন। বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ মেনে ১০টি সহজ উপায়ে সুস্থ সুন্দর ঠোঁট পাওয়া সম্ভব।

পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করা

ডার্মাটোলজিস্ট বা চর্মরোগ বিশেষজ্ঞরা ঠোঁটের ত্বকের সুস্থতায় সবার আগে পানি পানের বিষয়কে গুরুত্ব দিয়েছেন। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করলে শরীর ও ঠোঁট আর্দ্র থাকে। আর্দ্র ঠোঁট কম শুষ্ক ও ফাটলপ্রবণ হয়। তাই প্রতিদিন সবার অন্তত আট গ্লাস পানি পান করা উচিত।

নিয়মিত এক্সফোলিয়েট করা

ঠোঁটের মৃত কোষ দূর করতে ও মসৃণ রাখতে নিয়মিত এক্সফোলিয়েট করতে হবে। ঠোঁট ম্যাসাজ করতে ও ফ্ল্যাকিনেস দূর করতে ঘরে তৈরি স্ক্রাব ব্যবহার করাই ভালো। যা তৈরিতে প্রয়োজন হবে মধু ও চিনি। ঘন মিশ্রণ তৈরি করে ঠোঁটে লাগিয়ে কিছুক্ষণ ম্যাসাজ করলেই মৃত কোষ উঠে আসবে।  

বিজ্ঞাপন

ময়েশ্চারাইজার

অনেক কারণে ঠোঁট শুষ্ক হতে পারে। এ অবস্থায় অবশ্যই ঠোঁটে ময়েশ্চারাইজার লাগাতে হবে। বেছে নিতে হবে পুষ্টিসমৃদ্ধ লিপ বাম। শুষ্ক ঠোঁটের জন্য সবচেয়ে ভালো শিয়া বাটার, নারকেল তেল, কোকো বাটার, হায়ালুরনিক অ্যাসিড আছে এমন লিপ বাম। এ ছাড়া আমাদের বিশ্বস্ত ভ্যাসলিন তো আছেই। ঠোঁটের আর্দ্রতা রক্ষায় এটি কতটা কার্যকর, তা সবাই ভালো জানে।

সূর্য থেকে সুরক্ষা পেতে

সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মি থেকে বাঁচতে আমরা আমাদের মুখ ও শরীরের ত্বকে সানস্ক্রিন ব্যবহার করি। কিন্তু বাদ পড়ে যায় ঠোঁট। অথচ এই অতিবেগুনি রশ্মি ঠোঁটের ত্বকের জন্যও অনেক বেশি ক্ষতিকর। তাই বাইরে বের হওয়ার আগে এসপিএফযুক্ত লিপ বাম ব্যবহার করতে হবে। এটি ঠোঁটকে রোদে পোড়া, কালচে ভাব বা হাইপারপিগমেন্টেশন থেকে সুরক্ষা দেবে।

জিব দিয়ে ঠোঁট ভেজানো যাবে না

জিব দিয়ে ঠোঁট ভেজালে তা অল্প সময়ের জন্য ময়েশ্চারাইজ করতে পারে, কিন্তু দীর্ঘ সময়ের জন্য শুষ্ক করে তোলে। মুখের লালা খুব দ্রুত বাষ্পীভূত হয়, যা ঠোঁটকে আগের থেকে আরও বেশি শুষ্ক করে। তাই ঠোঁট কোনোভাবে জিব দিয়ে ভেজানো যাবে না। এটি এড়াতে হাতের কাছে সব সময় লিপ বাম বা ভ্যাসলিন রাখুন।

বিজ্ঞাপন

বুঝেশুনে ঠোঁটের পণ্য

কিছু লিপস্টিক বা লিপ স্টেইন ঠোঁট শুষ্ক করে তোলার পেছনে ভূমিকা রাখে। বিশেষ করে ম্যাট ফর্মুলায় তৈরি লিপস্টিকগুলো। এখন অনেক লিপস্টিক উৎপাদনে হাইড্রেটিং উপাদান যেমন হায়ালুরনিক অ্যাসিড, পেপটাইড, সেরামাইড, কোকো বাটার, শিয়া বাটার ও নারকেল তেল ব্যবহার করা হচ্ছে। ঠোঁট রাঙাতে এ ধরনের লিপস্টিকের ওপর বিনিয়োগের পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।

নজর দিন মেকআপ রিমুভারে

ঠোটের মেকআপ পরিষ্কারের ব্যাপারে যথাসম্ভব কোমল হতে হবে। এ ক্ষেত্রে সবচেয়ে ভালো প্রাকৃতিক তেল ও তুলার প্যাড ব্যবহার করা।

মুখগহ্বরের স্বাস্থ্য ঠিক রাখা

ঠোঁটের সৌন্দর্যে মুখগহ্বরের স্বাস্থ্যের ভূমিকা আছে। মুখগহ্বর অপরিষ্কার থাকলে ঠোঁটে সংক্রমণ হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়। তাই দিনে দুবার দাঁত মাজতে হবে। নিয়মিত ডেন্টাল ফ্লস ও মাউথওয়াশ ব্যবহার করতে হবে।

ধূমপান থেকে বিরত থাকা

ধূমপান করলে শরীর পানিশূন্য হয়ে পড়ে। ফলে ঠোঁট শুষ্ক হয়ে যায়। এ ছাড়া এটি ঠোঁটের কালচে ভাব ও হাইপারপিগমেন্টেশনের জন্য অনেক বেশি দায়ী। তাই সুন্দর ঠোঁট পেতে হলে কোনোভাবেই ধূমপান করা যাবে না।

স্বাস্থ্যকর ডায়েট

পরিশেষে একটি ভালো ডায়েট মেনে চলতে হবে। প্রচুর পরিমাণে শাকসবজি, মাছ, মাংস, ডিম ও দুধ খেতে হবে। নিয়মিত ব্যায়াম করতে হবে। আট ঘণ্টা ঘুমাতে হবে।

ছবি: ইনস্টাগ্রাম ও পেকজেলসডটকম

প্রকাশ: ১৫ জুলাই ২০২৩, ১৪: ১১
বিজ্ঞাপন