টক দইয়ে ত্বকের যত্ন
শেয়ার করুন
ফলো করুন

পুষ্টিবিজ্ঞানে টক দইকে অনেক আগেই দেওয়া হয়েছে ‘সুপারফুড’-এর তকমা। খাবারটিতে পুষ্টিগুণের যেন শেষ নেই। আর এই গুণকে কাজে লাগাতে পারেন ত্বকের যত্নেও।

টক দইয়ের দুটি বিশেষ উপাদান রয়েছে, যা ত্বকের জন্য খুবই উপকারী। সেগুলো হলো ল্যাকটিক অ্যাসিড ও প্রোবায়োটিক। এসব উপাদান কাজে লাগিয়ে বর্তমানে বড় বড় স্কিনকেয়ার ব্র্যান্ড উচ্চমানের ত্বকের যত্নের পণ্য নিয়ে এসেছে। তবে এই পণ্যগুলো আমাদের দেশে খুব একটা পাওয়া যায় না বা পাওয়া গেলেও সহজলভ্য নয়।

টক দইয়ে আছে প্রচুর প্রোটিন ও ফ্যাট। এগুলো ত্বকের আর্দ্রতা যেমন বজায় রাখে, তেমনি কোলাজেন বৃদ্ধিতেও সহায়তা করে। তাই ত্বকে টক দই ব্যবহার করলে এতে বয়সের ছাপ খুব ধীরে পড়ে।

বিজ্ঞাপন

যাঁদের ত্বক ব্রণপ্রবণ, তাঁরা টক দই ব্যবহার করে দেখতে পারেন। কারণ, এর প্রোবায়োটিক ব্রণের ব্যাকটেরিয়া মারতে সহায়তা করে।  

টক দই ল্যাকটিক অ্যাসিডের খুব ভালো উৎস। এটি ত্বকের মৃত কোষ দূর করতে বেশ কার্যকর। তাই এক্সফোলিয়েটর হিসেবেও টক দই ব্যবহার করা যেতে পারে।

টক দইয়ের মাস্ক

কয়েকভাবেই টক দইয়ের মাস্ক তৈরি করা যায়। এর জন্য খুব একটা কাঠখড় পোড়ানোর প্রয়োজন নেই। হাতের কাছে থাকা কিছু উপাদান হলেই চলে।

ত্বকে ব্রণের সমস্যা থাকলে ২ টেবিল চামচ টক দইয়ের সঙ্গে ১ চামচ মধু ও আধা চামচ হলুদের গুঁড়া বা কাঁচা হলুদবাটা মিশিয়ে মাস্ক তৈরি করতে হবে। মাস্কটি ১৫ থেকে ২০ মিনিট লাগিয়ে ধুয়ে ফেললেই চলবে।

মৃত কোষ দূর করতে চাইলে ২ টেবিল চামচ টক দইয়ের সঙ্গে ১ টেবিল চামচ চিনি বা ওটস ও ১ চামচ মধু মিশিয়ে মাস্ক তৈরি করে ত্বকে প্রায় ৫ মিনিট ম্যাসাজ করতে হবে। এরপর মাস্কটি ১৫ মিনিট ত্বকে রেখে ধুয়ে ফেলতে হবে।

বিজ্ঞাপন

ত্বকের পুষ্টি বৃদ্ধি বা বয়সের ছাপ কমানো বা প্রতিরোধে ২ টেবিল চামচ টক দইয়ের সঙ্গে ১ টেবিল চামচ অ্যালোভেরা জেল, ১ চামচ জলপাইয়ের তেল ও ১ চামচ মধু মিশিয়ে মাস্ক তৈরি করে ব্যবহার করতে হবে। সপ্তাহে তিন দিন ব্যবহার করলে ত্বক হবে সতেজ ও স্বাস্থ্যোজ্জ্বল।

সতর্কতা: যাঁদের টক দইয়ে অ্যালার্জি আছে, তাঁরা এড়িয়ে চলুন। আর মাস্ক ব্যবহারের আগে অবশ্যই প্যাচ টেস্ট করে নিতে হবে।

তথ্যসূত্র: হেলথলাইন, ডার্মস্টোর, গ্রেটিস্ট

ছবি: হাল ফ্যাশন ও পেকজেলসডটকম

প্রকাশ: ১৩ জুন ২০২৩, ০৩: ০০
বিজ্ঞাপন