বিজ্ঞাপন
এই সময় পায়ের যত্ন

পায়ের সৌন্দর্য শুরু হয় পরিচ্ছন্নতার মাধ্যমে। তাই প্রতিবার গোসলের সময় পায়ের আঙুলের মধ্যবর্তী স্থানসহ পুরো পা পরিষ্কার করতে হবে। গোসলের পর খুব ভালোভাবে পুরো পা মুছতে হবে। মনে রাখা প্রয়োজন, ছত্রাক আর্দ্রতায় বৃদ্ধি পায় এবং শুষ্কতায় মারা যায়। পা মোছার পর গরম দিনের জন্য উপযোগী একটি ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করতে হবে। ত্বককে এক্সফোলিয়েট করতে একটি ফুট স্ক্রাব ব্যবহার করলে ভালো ফল পাওয়া যাবে।

এই সময় পায়ের যত্ন

রোদে বের হলে মুখের ত্বকে সানস্ক্রিন ব্যবহারের কথা সবারই জানা। তবে পায়েরও কিন্তু চাই সানস্ক্রিন। চর্মরোগ-বিশেষজ্ঞরা কমপক্ষে ৩০ এসপিএফসহ সানস্ক্রিন ব্যবহার করার পরামর্শ দেন। ক্যানসার ও বলিরেখার মতো সমস্যা থেকেও মুক্তি দিতে পারে সানস্ক্রিন। ইউভি-এ ও ইউভি-বি—উভয়ই এই গরমে সূর্যের ক্ষতিকারক রশ্মি থেকে রক্ষা করে। রোদে পোড়া ভাব এড়াতে ইউভি-বি বেশ কার্যকর আর ইউভি-এ বার্ধক্য রোধে সাহায্য করে।

বিজ্ঞাপন

বছরের অন্য সময়ের তুলনায় গ্রীষ্মের মাসগুলোতে ব্যাকটেরিয়া, ছত্রাক ও পায়ের সংক্রমণ বাড়ে বেশি। তাই, অফিস, পার্ক কিংবা রাস্তার মতো জনবহুল জায়গায় খালি পায়ে হাঁটা যাবে না। এসব জায়গায় জীবাণু ছড়ানোর আশঙ্কা থাকে বেশি। অ্যাথলিটস ফুট ও প্লান্টার ওয়ার্টসের মতো ত্বকের সংক্রমণও বাড়ে এ সময়। তাই সচেতন থাকাই হবে বুদ্ধিমানের কাজ।

এই সময় পায়ের যত্ন

সারা দিনের কাজ শেষে বাড়ি ফিরে খুব ক্লান্ত লাগলেও পায়ের যত্ন নিয়ে তারপরই ঘুমাতে যাওয়া উচিত। সে ক্ষেত্রে পা সাবান ও হালকা গরম পানিতে ধুয়ে নিতে হবে। এরপর পরিষ্কার তোয়ালে দিয়ে পা ও পায়ের আঙুলের কোনায় কোনায় ভালোভাবে মুছতে হবে।

বিজ্ঞাপন

ছত্রাক সংক্রমণ প্রতিরোধ করতে স্নিকার্স বা এ ধরনের জুতা ভিজে গেলে, শুকিয়ে যাওয়া না পর্যন্ত সেগুলো আর পরা যাবে না। ভেজা জুতা, জিম বা ব্যায়ামের পর ঘামযুক্ত স্থানে ছত্রাক ও ব্যাকটেরিয়া লুকিয়ে থাকে। সে ক্ষেত্রে অ্যান্টি-ফাঙ্গাল স্প্রে দিয়ে পা জীবাণুমুক্ত করা উচিত।

এই সময় পায়ের যত্ন

শীতে পা পুরোপুরি ঢেকে রাখে এমন জুতা যেমন আরাম, তেমনই ঋতুবদলে গরমের সময় বাতাস চলাচল করতে পারে, এমন জুতাই পরা উচিত। এতে আরাম ও স্বাচ্ছন্দ্য, দুটোই হবে। এ সময়ে অনেকেই দুই ফিতার স্যান্ডেল পরতে পছন্দ করেন। আবার নতুন জুতা জোড়া কিনে প্রথম কিছুদিন বাড়িতে পরে অভ্যাস করলে ভালো। পায়ের সঙ্গে মানিয়ে গেলে তারপর বাইরে পরতে পারেন। এতে পা ফোসকা পড়া থেকে বেঁচে যাবে।

এ সময় অফিসে কিংবা কোথাও গেলে অনেকেই পা ঢাকা জুতা বেছে নিচ্ছেন। সে ক্ষেত্রে সঠিক মোজা বেছে নেওয়া অত্যন্ত জরুরি। একই সঙ্গে পা পরিষ্কার রাখতে হবে। শীতকালের উলের ভারী মোজা কিন্তু গরমে চলে না। সুতি কাপড়ের আরামদায়ক মোজা ব্যবহার করতে হবে। অনেকের পা সারা দিন প্রচুর ঘামে, তাই প্রতিবার ব্যবহারের পর মোজা ধুয়ে ফেলতে হবে। আর কড়া রোদে শুকিয়ে তারপর ব্যবহার করতে হবে।

এই সময় পায়ের যত্ন

অন্যান্য ঋতুর চেয়ে গ্রীষ্মকালে হাইড্রেটেড থাকা সবচেয়ে বেশি জরুরি। পানিশূন্যতা কাটাতে তাই প্রচুর পরিমাণে পানি, সবুজ শাকসবজি আর ফলমূল খেতে হবে। ত্বককে সুস্থ রাখতে তাই পানির কোনো বিকল্প নেই।

এই সময় পায়ের যত্ন

নিজের যত্নের কথা নিজেকেই ভাবতে হয়। তাই ‘মি টাইম’ বের করে নিজেকে একটু প্যাম্পার করাই যায়। পায়ের নখের সংক্রমণ এড়াতে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে হবে। তা না হলে স্পা বা নেইল সেলুনে যাওয়া যেতে পারে। তবে পেডিকিউর করার সময় নিশ্চিত করুন অনুষঙ্গগুলো সঠিকভাবে স্যানিটাইজ করা হয়েছে কি না। অনেক সময় এসব সরঞ্জামের মাধ্যমে ছত্রাক স্থানান্তরিত হয়, তাই নতুন বা জীবাণুমুক্ত সরঞ্জাম ব্যবহার করতে হবে। এ ছাড়া মাঝেমধ্যেই পায়ের নখকে রাখুন নেইলপলিশমুক্ত। পায়ের যত্নের জন্য ঘরোয়া প্রতিকার হিসেবে ইপসম সল্ট, ওটমিল বা ব্রাউন সুগার ফুট মাস্ক ব্যবহার করা যেতে পারে।

ছবি: ল্যাভিস বুটিক স্যালন ও পেকজেলজসডটকম

প্রকাশ: ২৯ এপ্রিল ২০২৩, ১৬: ৫৫
বিজ্ঞাপন
হাল ফ্যাশন