হলুদগুঁড়া আমরা আমাদের প্রতিদিনের রান্নায় সব সময়ই ব্যবহার করে থাকি। এটা ছাড়া রান্নায় রং তো আসেই না, স্বাদেও যেন একটা অপূর্ণতা থেকে যায়। তবে হলুদের কাজ কি শুধুই স্বাদ আর রূপ বাড়ানো? তা কিন্তু নয়, স্বাদ বৃদ্ধি করার পাশাপাশি হলুদের রয়েছে অনেক উপকারী দিক।
হলুদে থাকে কারকিউমিন নামের একটি উপাদান। এই কারকিউমিন শরীরের প্রদাহ কমায় এবং শক্তিশালী অ্যান্টি–অক্সিডেন্ট হিসেবে কাজ করে। পিসিওএস, ডায়াবেটিস, থাইরয়েডসহ অনেক রোগের লক্ষণ প্রশমনের ক্ষেত্রে হলুদের ভালো কার্যকারিতা দেখা গেছে। এমনকি গবেষণায় বলা হচ্ছে, কারকিউমিন আমাদের শরীরে ক্যানসারের কোষ সৃষ্টি করতে বাধা প্রদান করে। এ ছাড়া হৃদ্রোগ, ডিপ্রেশন, বয়সের ছাপ পড়া বা আর্থ্রাইটিসের মতো রোগেও হলুদের কারকিউমিন বেশ ভালো কার্যকর।
তবে হলুদ থেকে সর্বোচ্চ স্বাস্থ্যগুণ পেতে কীভাবে এটি খেতে হবে, তা জানতে হবে। হলুদে থাকা কারকিউমিন সাধারণভাবে রক্তে অনেক কম শোষিত হয়। তাই এই হলুদের শোষণক্ষমতা বাড়াতে এর সঙ্গে বাড়তি কিছু উপাদান যোগ করতে হয়।
বিশেষ করে বলতে হয় গোলমরিচ ও ফ্যাটের কথা। গোলমরিচ আর ফ্যাট (অলিভ অয়েল, নারকেলের তেল, কালিজিরার তেল, ঘি, মাখন) কারকিউমিনের কার্যক্ষমতা বহুগুণ বাড়িয়ে দেয় এবং এটিকে শরীরে ভালোভাবে শোষিত হতে সাহায্য করে।
ঠিক কী কী উপায়ে হলুদের গুঁড়া খেতে পারবেন তা এবার জেনে নেওয়া যাক।
১. হলুদের চা: গরম পানি ১ কাপ, হলুদগুঁড়া ১ চা–চামচ
২. লেবুর রস ৩০ মিলি লিটার, পানি ৫০০ মিলি লিটার, হলুদের পেস্ট ১ চা–চামচ,রসুন পেস্ট ১/২ চা-চামচ,লবঙ্গ ৪টি, গোলমরিচ ৪-৫টি, পিঙ্ক সল্ট আধা চা–চামচ।
৩.হলুদ পেস্ট ১ চা–চামচ, বাদামের দুধ বা নারকেলের পাতলা দুধ ১ গ্লাস।
কালো গোলমরিচ ৭–৮ টা আর পিঙ্ক সল্ট ১/৪ চা–চামচও দেওয়া হয়।
৪. হলুদগুঁড়া ১ চা–চামচ, কালো গোলমরিচ ৩-৪টা, এক্সট্রা ভার্জিন অলিভ অয়েল ৩ টেবিল চামচ
৫. হলুদের পেস্ট ১ চা–চামচ, কালো গোলমরিচ ৩–৪ টা, ঘি ২ টেবিল চামচ আর গরম পানি ১ কাপ
লেখক: পুষ্টিবিদ
ছবি: পেকজেলস ডট কম