৩৬০ বছরের পুরোনো নিদর্শন
শেয়ার করুন
ফলো করুন

দীর্ঘদিন অবহেলায়–অযত্নে ছিল ঐতিহাসিক ফটকটি। চলতি মাসের ২৪ জানুয়ারি সংস্কারকাজ শেষে সবার জন্য খুলে দেওয়া হয় মোগল আমলের এই ফটক। পুরোনো এই ঐতিহ্যবাহী ঢাকা ফটক দেখতে আসছেন শিক্ষার্থী থেকে শুরু করে বিভিন্ন বয়সী মানুষ। কেউ ভোরে হাঁটতে বেরিয়ে চলে এসেছেন ঢাকা ফটক দেখতে। কেউবা আসছেন পরিকল্পনা করেই পরিবার ও বন্ধুবান্ধবকে নিয়ে ঘুরতে। ছবি তুলতে।

দোয়েল চত্বর ছেড়ে শাহবাগের দিকে আসতেই চোখে পড়বে এই ফটক। তিন নেতার মাজারও রয়েছে পাশেই। দুই লেনবিশিষ্ট রাস্তার দুই পাশে ফটকের দুই অংশ আর মাঝখানের সড়ক বিভাজক পিলার। আরও সহজ করে বললে ফটকের একটি অংশ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নবায়নযোগ্য শক্তি গবেষণাকেন্দ্রের দিকে, মাঝখানের অংশটি সড়ক বিভাজকের ওপর এবং অন্য অংশটি পড়েছে তিন নেতার মাজারের পাশে।

ওসমানী উদ্যান থেকে ‘বিবি মরিয়ম কামান’টিকেও এনে এখানে স্থাপন করা হয়েছে। বসার জায়গা করতে গাছের নিচে কিছু জায়গা পাকা করে দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি সন্ধ্যার পর দর্শনার্থীদের সুবিধার জন্য আছে আলোকসজ্জাও। সব মিলিয়ে ঢাকা ফটকের নতুন রূপ দৃষ্টিনন্দন হয়েছে বেশ। তাই তো রাজধানীর বিভিন্ন প্রান্ত থেকে দর্শনার্থীরা এসে মুগ্ধ হচ্ছেন পুরোনো ঐতিহাসিক স্থাপনা দেখে। ফটকের নান্দনিকতা, নিরাপত্তা ও পরিবেশে পরিচ্ছন্নতা জন্য সার্বক্ষাণিক কর্মী নিয়োগ করা হয়েছে এখানে। এখানে স্থাপিত ফলকের মাধ্যমে তুলে ধরা হয়েছে ফটকের পূর্বাবস্থা ও বর্তমান অবস্থা।

বিজ্ঞাপন

মেট্রোরেল হওয়ার সুবাদে ঢাকাবাসী খুব সহজে যাতায়াত করতে পারছেন উত্তরা থেকে মতিঝিল পর্যন্ত। মাত্র ৩০ থেকে ৩৫ মিনিটে চলে আসা যায় ঢাকার উত্তর প্রান্ত থেকে দক্ষিণ প্রান্ত। মিরপুরবাসীও বাস ও যানজটের ঝামেলা ছাড়াই অল্প সময়ে আসতে পারছেন শহরের এই প্রান্তে।

ঢাকা ফটক দেখতে আসা একজন দর্শনার্থী বলেন, ‘বেশ কিছুদিন ধরে  ইন্টারনেটে দেখছি, ঢাকা গেট নতুন করে সংস্করণ হয়েছে। শনিবার যেহেতু স্কুল বন্ধ থাকে, তা ছাড়া মেট্রোরেল থাকায় সহজে চলে আসা যায় এখন, তাই ভাবলাম ছেলেকে নিয়ে একটু ঘুরে আসা যাক। আর দেখতে বেশ সুন্দর মনে হচ্ছিল। ইতিহাস তো মুখস্থ রাখা যায় না, দেখলেই বাচ্চারা ভালো মনে রাখতে পারে। তাই ছেলেকে নিয়ে আসা। এখানে রাখা কামানটা দেখে সে বেশ উচ্ছ্বসিত। আমরা ছবি তুলেছি, হেঁটে দেখেছি।’

তা ছাড়া এখানে আসা দর্শনার্থীরা দেখতে পাবেন ঢাকা ফটকের পূর্ব পাশের অংশের ঠিক সামনে অবস্থিত হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী, খাজা নাজিমউদ্দিন ও শেরেবাংলা এ কে ফজলুল হক—এই তিন বর্ষীয়ান নেতার মাজার। যেটি বাংলাদেশের স্থাপত্যশিল্পের আরেকটি অন্যতম নির্দশন। স্বাধীনতার আগে এই মহান তিন নেতাই তৎকালীন অবিভক্ত বাংলার মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে নিযুক্ত ছিলেন।

বিজ্ঞাপন
প্রকাশ: ২৯ জানুয়ারি ২০২৪, ১৩: ৫৫
বিজ্ঞাপন