শীতের শুরুতেই বাগানে যা যা করেন নগরচাষী শাওন মাহমুদ
শেয়ার করুন
ফলো করুন

শীতকালে নগরীর শৌখিন বাগানিদের বাগানে বেড়ে যায় তোড়জোড়। শীতের মৌসুমি সবজি আর ফুলগাছ তো বটেই, এমনিতেও বছরজুড়ে থাকা বাগানের সব গাছেরই এ সময় প্রয়োজন বিশেষ যত্ন। আবহাওয়ার পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে গাছের যত্নের ধরনে আনতে হবে বদল। এবার অভিজ্ঞ বাগানি শাওন মাহমুদের দেওয়া এ–সংক্রান্ত পরামর্শগুলো দেখে নেওয়া যাক।

১. শীতের আগে বা শীতকালে বড় গাছের বাসস্থান পরিবর্তন, অর্থাৎ রিপটিং করবেন না। শিকড়ে আঘাত পেলে এই শুকনা মৌসুমে তারা প্রাকৃতিক পানির অভাবে জীবন–মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই শুরু করে। বেশির ভাগ সময়ে তারা এ কারণে শুকিয়ে মারা যায়।

২. শীতে গাছে কম পানি দিলেও হয়, কথাটা ভুল। আপনার ত্বক যেমন শুষ্ক হবে, ঠিক তেমনই গাছেদের পাতায় শুষ্কতা আসে। সুতরাং প্রতিদিন পানি দেওয়া প্রয়োজন। শাকসবজিতে দরকার হলে দিনে দুবার পানি দেবেন।

৩. লাউ–জাতীয় যেকোনো লতানো সবজি বা ফল গাছের পরিচর্যার জন্য আছে এক কার্যকর ঘরোয়া টোটকা। ঘরে মাছ কোটা হলে, তার প্রথম ধুয়ে রাখা পানি আলাদা করে রেখে দেবেন এবং গাছের গোড়ায় দিয়ে দেবেন। মাসে এক–দুবার এ কাজ করতে পারলে ভালো হয়।

বিজ্ঞাপন

৪. নিজের জন্য শাকসবজি চাষ করতে হলে যতটা পারবেন রাসায়নিক কীটনাশক বা সার ব্যবহার থেকে দূরে থাকবেন। পোকামাকড়ের জন্য নিমপাতার পানি, নিমতেল, ছাই বা ফ্লাই ট্র্যাপ আর সারের জন্য ফেলনা সবজি, খইল, কলার খোসা ব্যবহারে অভ্যস্ত হতে পারলে সবচেয়ে ভালো।

৫. শীতে যেহেতু গাছপালা শুষ্ক হয়ে ওঠে, তাই কয়েক দিন পরপর তাদের গা ধুইয়ে দেবেন। ধুলাবালু ঝরে যাবে তাতে। ঢাকার বাতাসে মিশে থাকা লেডজাতীয় ভারী দ্রব্য কম ক্ষতি করতে পারবে গাছের।

৬. বীজ থেকে চারা করতে না পারলে সুস্থ চারা কেনা যায়। কিন্তু ফল বা ফুলসহ গাছ ক্রয় করা থেকে বিরত থাকলে আপনার জন্য ভালো। কারণ, ফল বা ফুল ধরা গাছগুলোর পরিপূর্ণ বয়স হওয়ায় এগুলোর আয়ু কম। এ গাছ আপনার কাছে খুব কম সময় থাকবে, যা ছোট চারার ক্ষেত্রে হয় না।

ছবি: শাওন মাহমুদ

বিজ্ঞাপন
প্রকাশ: ২২ নভেম্বর ২০২৩, ০৮: ০০
বিজ্ঞাপন