ভয়কে জয় করার যত উপায়
শেয়ার করুন
ফলো করুন

অনেকেই ভাবতে পারেন, ভয় না পাওয়াকেই বলা হয় সাহসিকতা। আদতে যেকোনো স্বাভাবিক মানুষ বিপদে বা অস্বাভাবিক পরিস্থিতিতে পড়লে ভয় পাবে। কিন্তু এই প্রতিকূল পরিস্থিতি বা বিপদে পড়েও মাথা ঠান্ডা রেখে বিপদ মোকাবিলা করতে পারার মধ্যেই রয়েছে সাহসিকতার প্রকাশ। কিন্তু এটাও সত্য যে আমরা এক দিনেই সাহসী হয়ে উঠতে পারি না। মনস্তত্ত্ববিদদের বাতলে দেওয়া কিছু কৌশল নিয়মিত অনুশীলন করলে সেগুলো আমাদের প্রতিদিন একটু একটু করে সাহসী হয়ে উঠতে উদ্বুদ্ধ করবে।

ভয় পেতে কোনো ভয় নেই

ভয় নিয়ে নেলসন ম্যান্ডেলা বলেছিলেন, ‘সাহস মানে ভয়ের অনুপস্থিতি নয়, বরং ভয়কে জয় করা। ’ হতে পারে কারও সোশ্যাল অ্যাংজাইটি আছে, অথবা নতুন কোনো পরিবেশে নিজেকে খাপ খাইয়ে নিতে অস্বস্তি হয়। এমন পরিস্থিতিতে বিব্রত কিংবা ভীত না হয়ে নিজেকে বলতে হবে, ‘আমি এখন অস্বস্তি বোধ করছি, কিন্তু এই সবকিছু আমি কাটিয়ে উঠব। ’ লম্বা করে শ্বাস নিতে হবে। চারপাশের পরিবেশের সবকিছু বুঝে নিয়ে সামনে এগিয়ে যেতে হবে।

বিজ্ঞাপন

ভয়ের কারণগুলোর তালিকা করা

যখনই কোনো কিছু নিয়ে অতিরিক্ত উদ্বিগ্ন হয়ে যাই আমরা, নিজেকে জিজ্ঞাসা করতে হবে, কেন এই ভয় পাওয়া। সম্ভাব্য কারণগুলো তালিকাভুক্ত করতে হবে। কাগজে যদি লিখতে ইচ্ছা না করে, তাহলে মুঠোফোনের নোটে টাইপ করে রাখলেও হয়। অনেক সময় ভয়ের কারণগুলো এড়িয়ে যাওয়ায় সমাধান রয়ে যায় বহুদূর।

পরিস্থিতি না এড়িয়ে মোকাবিলা করা

পরিণতির কথা ভেবে কালক্ষেপণ করলে ভয়ের মাত্রা বাড়তে থাকে চক্রবৃদ্ধি হারে। কোনো রোগনির্ণয়ের পরীক্ষা-নিরীক্ষা, প্রিয়জনের সঙ্গে সম্পর্কের টানাপোড়েনের সমাধান করা—সময়ের এক ফোঁড় না দিলে পরে দশ ফোঁড়েও সামাল দেওয়া যায় না। এ জন্য বাস্তবতার মুখোমুখি হতেই হবে।

বিজ্ঞাপন

নেতিবাচক চিন্তাকে চ্যালেঞ্জ করা

মনের ভেতরে ছোট্ট আরেকটি ভিতু মন সবকিছুতেই বারবার নানা রকম নেতিবাচক চিন্তার উদ্রেক ঘটায়। কে কী ভাববে, কোথায় কী প্রতিক্রিয়া হবে—এই ভেবে নিজের জীবনে এগিয়ে যাওয়াকে কোনোভাবেই বাধাগ্রস্ত করা যাবে না। যতক্ষণ অবধি আমাদের কোনো কাজ অপরের ক্ষতির কারণ না হয়, সে কাজে ফোকাস করতে হবে। নেতিবাচক চিন্তাগুলোকে প্রাধান্য না দিয়ে নিজের চাওয়াকে প্রাধান্য দিতে শিখলে সাহস বাড়বেই আস্তে আস্তে।

সূত্র: মাইডেন্টিটি, বেটার আপ

ছবি: হাল ফ্যাশন ও পেকজেলসডটকম

প্রকাশ: ১২ জুন ২০২৩, ০৩: ০০
বিজ্ঞাপন