ভারতে মানসিক স্বাস্থ্যসচেতনতা তৈরির উদ্দেশ্যে একটি এনজিও প্রতিষ্ঠা করেছেন এই সময়ের জনপ্রিয় ভারতীয় তারকা দীপিকা পাড়ুকোন। কারণ এক সময় তিনিও ডিপ্রেশনে ভুগেছেন। এমন কি মাঝেমধ্যে আত্মহননের কথাও ভেবেছেন। তবে নিজের ক্লিনিক্যাল ডিপ্রেশন চিহ্নিত করে সে ব্যাপারে সঠিক চিকিৎসা নেওয়ার ক্ষেত্রে তাঁর মাকেই কৃতিত্ব দেন দীপিকা। তিনিই সঠিক সময়ে এ ব্যাপারে উদ্যোগ নিয়েছিলেন।
নিজের এই অভিজ্ঞতা থেকেই দীপিকা পাড়ুকোন সব সময় মানসিক রোগ ও সমস্যাকে মোকাবিলা করা ও সে ব্যাপারে চিকিৎসা নেওয়ার বিষয়ে জোর প্রচারণা চালিয়ে এসেছেন। তিনি বিভিন্ন সময় জনস্বার্থে তাঁর নিজের মানসিক স্বাস্থ্য ও ক্লিনিক্যাল ডিপ্রেশনের সঙ্গে তাঁর দীর্ঘ লড়াইয়ের ব্যাপারে খোলাখুলি কথা বলেন মিডিয়ায়। সম্প্রতি করণ জোহরের টেলিভিশন শো কফি উইথ করণ-এ স্বামী রণবীর সিংয়ের সঙ্গে সাড়া জাগানো এপিসোডেও এসব কথা উঠে এসেছে।
ডিপ্রেশনের বিরুদ্ধে তাঁর সাহসী যুদ্ধের অভিজ্ঞতা বর্ণনা করতে গিয়ে দীপিকা বলেন যে তিনি মাঝেমধ্যে কোনো নির্দিষ্ট কারণ ছাড়াই একদম ভেঙে পড়তেন। কোনো কোনো দিন বিছানা ছেড়ে ওঠার শক্তি পর্যন্ত পেতেন না তিনি। সারা দিন হয়তো ঘুমিয়ে কাটাতেন বাস্তবতা থেকে পালিয়ে থাকার জন্য। তবে সবচেয়ে মারাত্মক ব্যাপার হলো, মাঝেমধ্যেই তিনি অত্যন্ত আত্মহত্যাপ্রবণ হয়ে উঠতেন। বাঁচার ইচ্ছাই চলে গিয়েছিল দীপিকার।
এর পর তাঁর মায়ের উদ্যোগেই তিনি বিশেষজ্ঞ পরামর্শ নেন এবং ২০১৪ সালে ক্লিনিক্যাল ডিপ্রেশনের চিকিৎসা নেওয়া শুরু করেন। তখনই তাঁর মনে হলো, তাঁর মতো আরও অনেকেই আছেন এবং তাঁরা নীরবে কষ্ট পাচ্ছেন সমাজের মানসিক রোগসংক্রান্ত নেতিবাচক মনমানসিকতার জন্য। এর পর থেকেই তিনি বিভিন্ন সময়ে নিজের অভিজ্ঞতার কথা সবার সঙ্গে ভাগ করে আসছেন এবং মানসিক স্বাস্থ্যের গুরুত্বের ব্যাপারে জোর প্রচারণাও চালিয়ে আসছেন। অত্যন্ত সফল ও জনপ্রিয় এই বলিউড তারকা মনে করেন, এর ফলে যদি একটি জীবনও বাঁচানো সম্ভব হয়, তাহলেই তাঁর এই উদ্যোগ সার্থক হবে।
ছবি: ইন্সটাগ্রাম