মুখ ফুটে বলতে না পারলেও বাবাদের রয়েছে বিভিন্ন শখ। কোনোটা আমাদের জানা আবার কোনোটা অজানা। অজানা শখগুলো কায়দা করে কিংবা মায়ের কাছ থেকে জেনে নিতে পারেন।
অনেক বাবারই শখের বিষয় হতে পারে ফটোগ্রাফি বা ছবি তোলা, ছবি আঁকা, বাগান করা, গান শোনা, এমনকি রান্নাও। সংসার চালানোর চাপে হয়তো কোনো দিন শখের দিকে খেয়াল রাখা হয়নি তাঁর। এ ক্ষেত্রে বাবাকে একটা ভালো স্মার্টফোন উপহার দিতে পারেন। এক গ্যাজেটেই রয়েছে নানা ধরনের সুবিধা। আজকাল বেশির ভাগ স্মার্টফোন বিশেষভাবে ছবি তোলার উপযোগী করে তৈরি করা হয়। ভালো ক্যামেরার সঙ্গে স্মার্টফোনে গান শোনা, ভিডিও করা ও দেখার মতো নানা ধরনের ফিচারও রয়েছে এতে।
এ ছাড়াও ভিনাইল রেকর্ড বাজানোর আধুনিক টার্ন টেবিলও চমকপ্রদ একটি উপহার হতে পারে। বাবার ছবি আঁকার শখ থাকলে কিনে দেওয়া যেতে পারে আঁকার যাবতীয় সরঞ্জামও।
সুন্দর ও পরিপাটি রাখতে বাবার জন্য একটি ট্রিমার নিতে পারেন উপহার হিসেবে। এতে করে বাবারা নিজেরাই নিজেদের মতো স্টাইল করতে পারবেন দাড়ি। পরিচ্ছন্ন চুল-দাড়িতে মনটাও থাকবে ফুরফুরে।
অনেক বাবারাই পড়তে ভালোবাসেন। সেই অভ্যাস থাকলে তাঁর জন্য কেনা যায় কিন্ডলজাতীয় কোনো ই-রিডার। অবসরজীবনে অনেক বাবারাই লেখালেখি করে সময় কাটান। আবার কারোর কাছে এটা প্রিয় শখও। তাই এত কিছু না ভেবে তাঁর জন্য সারপ্রাইজ হিসেবে চমৎকার একটা কলম উপহার দিতে পারেন।
এর মধ্যে পছন্দ অনুসারে ফাউন্টেন পেন, ফেদার পেন, কুইল পেন বা ডিপ পেন কিনে দেওয়া যায় বাবাকে। বাজারে ক্যালিগ্রাফির উপযোগী সব সেটও রয়েছে। কলমের সঙ্গে সুন্দর মলাটে বাঁধাই করা নোটবুকও দিতে পারেন।
খোঁজ নিলেই দেখা যাবে অনেক বাবারা রান্নার ব্যাপারে যেমন উৎসাহী, তেমনি সিদ্ধহস্তও। তাই উপহার হিসেবে তাঁর পছন্দের খাবার বা উপকরণগুলো একটা ঝুড়িতে সাজিয়ে তাঁকে দিতে পারেন। এ ছাড়াও গরম পানির কেটলি, কিচেন নাইফ বা টোস্টারের মতো কিচেন গ্যাজেটও দিতে পারেন তাঁকে। কফির ব্যাপারে শৌখিন বাবাকে রোস্টেড কফি বিন আর কফিমেকার দিলেও তিনি খুশি হবেন।
উপহার যে সব সময় মোড়কে মোড়ানোই হতে হবে, তা কিন্তু নয়। বাবা দিবসে কোনো সারপ্রাইজ বা আনন্দ-আড্ডার পরিকল্পনা করা যায়। এই যেমন বহুদিন দেখা নেই বাবার এমন সব বন্ধুকে সঙ্গে নিয়ে একটা আয়োজন করা যায়। এতে বাবা খুব খুশি হবেন।
এ ছাড়াও বাবার কোনো পছন্দের রেস্তোরাঁয় মায়ের সঙ্গে একান্ত নৈশভোজের ব্যবস্থা, সিনেমা দেখার টিকিট, থিয়েটারের টিকিট কিংবা সুন্দর কোনো জায়গায় ভ্রমণের পরিকল্পনাও করা যায় উপহার হিসেবে। বাবার যদি ফিটনেস-প্রীতি থাকে, তাহলে জিম, সুইমিংপুল বা ইয়োগা সেন্টারে যাওয়ার বাৎসরিক মেম্বারশিপও হতে পারে তাঁর জন্য উপযোগী উপহার।
তবে একজন বাবার জন্য সবচেয়ে দামি উপহার সন্তানের সঙ্গে কাটানো সময়। যদি কোনো কারণে বাবাকে উপহার কিনে দিতে নাও পারেন, তাহলে আয়োজন করে ফেলুন ঘরোয়া আড্ডার। পরিবারের সবাই মিলে একসঙ্গে গান-গল্প-আড্ডা আর বাবার প্রিয় কোনো খাবারের স্বাদে স্মরণীয় করতে পারেন দিনটি।
অনেক দিন পারিবারিক ফটো অ্যালবাম হয়তো খোলা হয়নি, সেটা সবাই মিলে দেখতে পারেন। লুডু বা ক্যারমও খেলতে পারেন সবাই মিলে। মোদ্দা কথা, বিশেষ এই দিনকে স্পেশাল করে তুলতে একসঙ্গে সময় কাটাতে পারেন।