দক্ষিণ ভারতীয় মেয়ে দীপিকা দক্ষিণি খাবারের প্রতি তাঁর ভালো লাগার কথা জানিয়ে এসেছেন বারবার। এগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশিবার উল্লেখ করেছেন যে খাবারের কথা, তার নাম ‘রাসাম রাইস’। এক সাক্ষাৎকারে এ–ও বলেছেন, বাড়িতে তৈরি খাবারের কথা প্রায়ই মনে পড়ে যায় তাঁর।
ঝাল ঝাল করে তৈরি টমেটো ও তেঁতুলের ঝোল রাসাম আর সঙ্গে সাদা ভাত, আমের আচার হলেই চলে দীপিকার। কীভাবে হাত চেটেপুটে সাবাড় করেন মুহূর্তে, তা অঙ্গভঙ্গি করেও দেখিয়েছেন এই তারকা। ইনস্টাগ্রামে ‘বাকিটা জীবন একই খাবার খেয়ে বাঁচতে হলে কোন খাবার বেছে নেবেন?’ এমন প্রশ্নের উত্তরে একবার বলেছিলেন এই তিন খাবার একত্রে পাতে পড়লেই চলে তাঁর! দীপিকা–ভক্তরা চাইলেই এই রেসিপি বাড়িতে তৈরি করে খেতে পারেন।
একটা তেঁতুলের ২ ইঞ্চি পরিমাণ
২ টেবিল চামচ ঘি
২টা টমেটো
গোটা জিরা আধা চামচ
গোটা শর্ষে ১ টেবিল চামচ
কারিপাতা ৫-১০টা
শুকনা মরিচ ১টা
হিং ১ টেবিল চামচের এক–চতুর্থাংশ
আদা–রসুনবাটা ১ টেবিল চামচ
হলুদের গুঁড়া ও লবণ ১ টেবিল চামচের এক–চতুর্থাংশ
পানি ২ কাপ।
প্রথমে তেঁতুলের টুকরাকে কুসুম গরম পানিতে কিছুক্ষণ ভিজিয়ে রাখুন। নরম হয়ে এলে হাত দিয়ে চেপে রস বের করে ছাঁকনি দিয়ে ছেঁকে নিন। ১ কাপ পরিমাণ ঘন তেঁতুলের পেস্ট বের করে নিন। এরপর কড়াইয়ে ঘি, শর্ষে, জিরা, কারিপাতা, হিং ও শুকনা মরিচ দিয়ে এক মিনিটের মতো মসলাগুলো ভেজে নিন। এরপর কুচি করে রাখা টমেটো ও আদা-রসুনবাটা দিয়ে দিন। পরিমাণ ও স্বাদমতো হলুদের গুঁড়া আর লবণ দিন। ৪-৫ মিনিট হালকা করে ভাজুন। এরপর আগে থেকে করে রাখা তেঁতুলের পেস্ট যোগ করুন। সবশেষে দুই কাপ পানি দিয়ে ভালোমতো নাড়ুন এবং ঢাকনা দিয়ে ৫-৬ মিনিট রেখে দিলেই তৈরি হয়ে যাবে রাসাম। দীপিকার প্রিয় যুগলবন্দীর স্বাদ পেতে ভাত আর আমের আচারের সঙ্গে পরিবেশন করতে ভুলবেন না।
রাসাম কিন্তু শুধু খাবার হিসেবে সুস্বাদু, তা–ই নয়, এর আছে অনেক পুষ্টিগুণ ও রোগ প্রতিরোধক্ষমতা। বৈজ্ঞানিকভাবে এই তথ্য প্রমাণিত। বারটিয় নিউট্রিশনিস্ট পারুল মালহোত্রা বেহল রাসামকে ডেকেছেন ‘সুপার স্যুপ’ নামে। হজমের সমস্যা দূর করতে, ঠান্ডা ও কাশি নিরাময়ে রাসাম ভালো কাজ করে। জানলে অবাক হবেন, ওজন কমাতেও উপকারী এই খাবার।
ছবি: ইন্সটাগ্রাম