দিল্লিওয়ালি তাপসী পান্নুর পছন্দ ‘ছোলে বাটুরে’

‘ডানকি’ চলচ্চিত্রের ‘মান্নু’ হিসেবে গত বছরের শেষ থেকেই বেশ আলোচনায় আছেন পান্নু। দক্ষিণি সিনেমা দিয়ে সিনেজগতে প্রবেশ ঘটালেও দিল্লির মেয়ে তাপসী মন থেকে খাঁটি ‘দিল্লিওয়ালি’। তাঁর পছন্দের খাবার সেটার বড় প্রমাণ। অভিনেত্রীর পছন্দের খাবার দিল্লির ‘ছোলে বাটুরে’। এর আগে দিল্লির আরেক বাসিন্দা বিরাট কোহলিও জানান, তাঁর ‘ছোলে বাটুরে’ প্রীতির কথা।

তাপসীর নিউট্রিসানিস্ট মুনমুন গনেরিওয়াল জানান যে, ‘দুঃখজনক বটে কিন্তু অনেক আগেই এটি অস্বাস্থ্যকর তেলেভাজা খাবারের তালিকা থেকে বাদ গেছে এবং এখনই সময় স্বাস্থ্য সম্পর্কে আমাদের দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তনের।’ তিনি অবশ্য বলেছিলেন গ্লুটেনমুক্ত ছোলে বাটুরের কথা। তাই ছোলে বাটুরে মোটেও অস্বাস্থ্যকর খাবারের তালিকায় পড়ছে না! ‘ছোলে’ মানে তো ছোলার তরকারি, যা আমাদের প্রায় সবারই পরিচিত খাবার। যত সমস্যা বাধে এইবা বাটুরে তেই। বাটুরে আর লুচি কিন্তু এক নয়। গ্লুটেনমুক্ত বাটুরে তৈরির রেসিপি দেখে নিন:

দই এক কাপের তিন–চতুর্থাংশ পরিমাণ  

একই পরিমাণ ময়দা
আটা ২.৫ কাপ
লবণ ১ টেবিল চামচ
চিনি আধা চামচ
ঘি

একটি বাটিতে পরিমাণমতো ফ্রেশ দই, ময়দা, আটা আর চিনি মিশিয়ে ভালোমতো ছেনে ফেলুন। ঢাকনা কিংবা কাপড় দিয়ে ঢেকে উষ্ণ একটি জায়গায় কমপক্ষে ৭-৮ ঘণ্টা রাখুন। খামির তৈরি হয়ে গেলে এক টেবিল চামচ ঘি, লবণ এবং প্রয়োজনমতো গরম পানি মিশিয়ে ছেনুন। এরপর তেল মাখিয়ে ঢেকে আবার ঘণ্টা দুয়েক রেখে দিন। আবার ছেনে লুচির মতো লেচি কেটে গোলাকৃতিতে বেলে ডিপ ফ্রাই করুন। ভাজার সময় বাড়িতে তৈরি পুরোনো ঘি ব্যবহার করাটা সবচেয়ে স্বাস্থ্যকর পদ্ধতি। রুটির চেয়ে কিছুটা মোটা করে লেচি বানাবেন।  ছোলার তরকারির সঙ্গে পেঁয়াজ-কাঁচা মরিচ দিয়ে গরম-গরম পরিবেশন করুন।

এভাবে দীর্ঘ সময় ধরে খামির তৈরি করলে স্বাস্থ্যকর পদ্ধতিতে বাটুরে তৈরি হবে। দেখতে তেলেভাজা অস্বাস্থ্যকর খাবার মনে হলেও এই গ্লুটেনমুক্ত বাটুরে দোকানের রুটির চেয়ে অনেক বেশি স্বাস্থ্যকর বলে জানান মুনমুন। বেশি পরিমাণে ফাইবার এবং কম চিনির এই বাটুরে আপনার পেটকে অনেকটা সময় ভরিয়ে রাখবে। এমনকি ডায়াবেটিসের রোগীদের জন্যও গ্লুটেনমুক্ত বাটুরে ক্ষতিকর নয়।

ছবি: উইকিপিডিয়া ও ইন্সটাগ্রাম