পূজার বিশেষ থিমের গয়না ও ঘর সাজানোর পণ্যের জন্য হৈমালি ও বৈদেহী
শেয়ার করুন
ফলো করুন

‘হৈমালি’ ও ‘বৈদিহী’ অনলাইনভিত্তিক দুটি উদ্যোগ মেটাবে গয়না ও ঘর সাজানোর পণ্যের চাহিদা। এই ভিন্ন দুটি উদ্যোগেই পাওয়া যাবে পূজা মোটিফের গহনা আর ঘর সাজানোর রঙিন সব অনুষঙ্গ।  

হৈমালির প্রতিটি পণ্য তৈরি হয় ভিন্ন ভিন্ন ভাবনায়। আর সেই অনুযায়ী রাখা হয়েছে পণ্যের নাম। হৈমালি মূলত কাঠের ওপর রঙ–তুলি দিয়ে ফুটিয়ে তুলে নিজেদের অভিনব সব নকশা। কাঠ ছাড়াও মাটি, টেরাকোটা, পিতল, কটন বল, কড়ি, রুদ্রাক্ষ, স্টিল—এসব দিয়ে তৈরি প্রতিটি উপাদান।  

বিজ্ঞাপন

কাদামাটি, কাঠ বা কাপড়ের টুকরাতে প্রতিমার মুখ, ত্রিশূল, দশমীর সিঁদুর খেলা নিপুণ হাতের ছোঁয়ায় উঠে আসে হৈমালির এসব মালা, কানের দুল, চুড়ি, আংটিতে। কাঠের ব্যাগ, আয়না, ওয়াল হ্যাংগিংস, ফটো ফ্রেমেও বিভিন্ন নকশা চোখে পড়ে। চোখজুড়ানো এসব গহনা আর হোম ডেকোর নিয়ে শুরু থেকে বেশ ভালো সাড়া পেয়েছে ক্রেতাদের কাছ থেকে।

আর মাটির প্রদীপ, সিঁদুরদানী, হাতে পেইন্ট করা পাটের ব্যাগ, দেবদেবীর আদলে তৈরি সফট টয়সহ সৃজনশীল সব পণ্য নিয়ে সেজেছে ‘বৈদেহী’র পূজা সংগ্রহ। আছে বাচ্চাদের ট্র্যাডিশনাল ধুতি সেট, রেডি টু ওয়্যার শাড়ি, স্কার্ট। কাঠের মালা, কানের দুল, ফটো ফ্রেমসহ আছে বিভিন্ন দেবদেবীর শোপিস। পূজা ছাড়াও সারা বছর অন্নপ্রাশনের ধুতি সেট ও ঘর সাজানোর সামগ্রী বিক্রি হয় বৈদেহীতে।

বিজ্ঞাপন

হৈমালির কো-ফাউন্ডার ও প্রোমোটার বলেন, ‘প্রতিবার পূজার ডিজাইন তৈরির সময় আমরা পুরোনো ঐতিহ্য ও সংস্কৃতিগুলো নিয়ে কিছু করার চেষ্টা করি। আর এটাই আমাদের কাজের মূল অনুপ্রেরণা হিসেবে কাজ করে।’

বৈদেহীর স্বত্বাধিকারী শর্মিষ্ঠা সেনগুপ্তা জানান, ‘আমার কাজগুলো যামিনী রায়কে দেখে অনুপ্রাণিত হওয়া। বৈদেহীর সব পণ্যই একটু ট্র্যাডিশনাল রাখার চেষ্টা করা হয়। কারণ, মানুষ বিভিন্ন উৎসব-পার্বণে ট্র্যাডিশনাল সাজে সাজতে বা ঘর সাজাতে পছন্দ করে।’

বৈদেহীর গয়না বা হোম ডেকোরগুলো সাধারণত লেজার কাটিং করা। আর সহজে যাতে নষ্ট না হয়, তাই গর্জন কাঠকেই প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে।  পূজায় ঐতিহ্য  ও নান্দনিকতা ধরে রাখতেই তাঁদের এই প্রয়াস।

ছবি: হৈমালি ও বৈদেহী

প্রকাশ: ১৫ অক্টোবর ২০২৩, ১০: ৪৯
বিজ্ঞাপন