দেখতে দেখতে দুর্গাপূজার সময় ঘনিয়ে এল। আর মাত্র কয়টা দিন পরই মা এসে হাজির হবেন বাপের বাড়িতে। শুরু হবে মায়ের বন্দনা। এ উপলক্ষে উৎসবের সব রঙিন পোশাকের পসরা সাজিয়ে বসেছে দেশের স্বনামধন্য ফ্যাশন ব্র্যান্ডগুলো। এসব ব্র্যান্ডের মধ্যে অন্যতম চট্টগ্রামের নামকরা ডলস হাউস।
১৯৯৬ সালে গ্রামীণ চেকের পোশাকের প্রদর্শনীর মধ্য দিয়ে যাত্রা শুরু করে ডলস হাউস। প্রথমে এমন প্রদর্শনীর মাধ্যমে পোশাকের বিপণন করা হতো। এরপর ক্রেতাদের চাহিদা বাড়তে থাকলে চট্টগ্রামের চান্দগাঁও আবাসিক এলাকায় ডলস হাউসের স্টুডিও ও কারখানা প্রতিষ্ঠা করেন এর স্বত্বাধিকারী আইভি হাসান।
বর্তমানে চট্টগ্রামের ফ্যাশনপ্রেমী নারী–পুরুষের অন্যতম জনপ্রিয় ফ্যাশন ব্র্যান্ড এটি। প্রতিবছরই যেকোনো উৎসবকে সামনে রেখে নতুন সংগ্রহ নিয়ে আসে ডলস হাউস। এবারও তার ব্যতিক্রম হয়নি। শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে তারা হাজির হয়েছে বৈচিত্র্যময় পূজা সংগ্রহ নিয়ে।
এবারের পূজা সংগ্রহে রয়েছে নান্দনিক নকশার সব শাড়ি, আনস্টিচ থ্রি–পিস, কুর্তি ও পাঞ্জাবি। শাড়ি ও অন্যান্য পোশাককে দুটি ক্যাটাগরিতে ভাগ করা হয়েছে। ক্যাজুয়াল ও পার্টিওয়্যার। পূজার পরপরই আমাদের দেশে বিয়ের মৌসুম শুরু হয়ে যাবে।
পার্টিওয়্যারগুলো বিয়ে বা অন্য যেকোনো উৎসবে পরার উপযোগী। অন্যদিকে সময়টা এখন সাসটেইনেবল ফ্যাশনের। পূজার পর যাতে আলমারিতে কোনো পোশাক বেকার পড়ে না থাকে, সে কথা চিন্তা করেই সংগ্রহে ক্যাজুয়াল পোশাক রাখা হয়েছে। এসব পোশাক ক্লাস, বন্ধুদের সঙ্গে বেড়ানো অথবা কোনো ক্যাজুয়াল পার্টি, এমনকি অফিসেও অনায়াস পরা যাবে।
যেহেতু দুর্গাপূজা বাঙালি সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় উৎসব, সেহেতু এই সংগ্রহে একটু নতুনত্ব এনেছেন ডলস হাউসের স্বত্বাধিকারী আইভি হাসান। বিশেষ করে কাপড়, মোটিফ ও পোশাকের প্যাটার্ন বাছাইয়ের ক্ষেত্রে।
পূজা সংগ্রহের মোটিফে ফুল ও লতাপাতা প্রাধান্য পেয়েছে। এর সঙ্গে রয়েছে কিছু জ্যামিতিক নকশা। যেহেতু এখন শরৎকাল, সেহেতু নীল আকাশ, সাদা মেঘ, কাশফুলের প্রিন্টের চাহিদা বেশি। তাই ব্র্যান্ডটির পূজা সংগ্রহে এসব মোটিফের ওপর বেশি প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে।
পূজায় উজ্জ্বল রঙের চাহিদা থাকে বেশি। পূজা ও শরতের কথা মাথায় রেখে নতুন সংগ্রহে প্রাধান্য পেয়েছে আকাশী নীল, রয়্যাল ব্লু, সবুজ, গোলাপি, সোনালি, বেগুনি, মেরুন, অফ হোয়াইট রংগুলো। পাশাপাশি পূজার চিরায়ত লাল আর সাদা তো আছেই।
পোশাকের জন্য ফেব্রিক নির্বাচনে উৎসবভিত্তিক পরিবেশের পাশাপাশি আরামকে প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে সুতি, হ্যান্ডলুম কটন, সিল্ক, অরগ্যাঞ্জা ও খাদি। পোশাকগুলোয় মাধ্যম হিসেবে ব্যবহৃত হয়েছে হাতের কাজ, এমব্রয়ডারি, স্ক্রিন ও ব্লক প্রিন্ট আর কারচুপির কাজ।
ছবি: ডলস হাউস