
গত নভেম্বরে টম ফোর্ড প্রায় তিন বিলিয়ন ডলারের বিনিময়ে নিজের ব্র্যান্ড এস্টে লডার কোম্পানির কাছে বিক্রি করে দেন। এরপরও চাইলে তিনি তাঁর ব্র্যান্ডের ক্রিয়েটিভ ডিরেক্টরের দায়িত্বে থেকে যেতে পারতেন। কিন্তু চলতি বছরের এপ্রিলে নিজের প্রতিষ্ঠিত ব্র্যান্ড টম ফোর্ডের দায়িত্ব থেকে সরে দাঁড়ান টম ফোর্ড। তাঁর স্থলাভিষিক্ত হন ব্র্যান্ডের মেনসওয়্যারের ভাইস প্রেসিডেন্ট পিটার হকিংস। পিটারের সঙ্গে ব্যক্তি টম ফোর্ডের সম্পর্ক ঠিক তখন থেকে, যখন তিনি গুচির ক্রিয়েটিভ ডিরেক্টরের দায়িত্ব ছিলেন। এরপর টম ফোর্ড যখন নিজের ব্র্যান্ড খুললেন, তখন তাঁর বিশ্বস্ত সহযোগী পিটারকে সঙ্গে নিয়ে গেলেন। প্রায় ২৫ বছর ধরে একসঙ্গে কাজ করেছেন। এ জন্য সবাই আগে থেকে ধরতে পেরেছিলেন যে টম ফোর্ড ব্র্যান্ডের দায়িত্ব কার ঘাড়ে পড়তে চলেছে। এই নিয়ে কানাঘুষাও কম হয়নি।
অনেক ফ্যাশন সমালোচক এই সিদ্ধান্তে বেশ হতাশ হয়েছিলেন। তাঁদের মতে, এমন কাউকে আনা উচিত ছিল, যিনি টম ফোর্ডকে নতুন করে সাজিয়ে তুলবেন তাঁর স্বকীয় সৃজনী শক্তি দিয়ে। এরপরও সবাই বেশ অধীর আগ্রহেই অপেক্ষা করছিলেন পিটারের কাজ দেখার জন্য। একটা ছোট্ট আশা নিয়ে যে যদি পিটার অভিনব কিছু করে ফেলেন! তবে আশার গুড়ে বালি দিয়ে তিনি সেই টম ফোর্ড প্রভাবিত একটা কালেকশন নিয়ে হাজির হয়েছেন। অনুপ্রেরণা নিয়েছেন সত্তর দশকের ফ্যাশনের ধারা এবং সেই সময়কার সবচেয়ে স্টাইলিশ তারকা, ফ্যাশন জগতের প্রথম কৃষ্ণাঙ্গ সুপারমডেল ডনিয়েল লুনার স্টাইল থেকে।
মিনিমাল তবে বিলাসবহুল এই কালেকশনে ছিল, লং গাউন, আলট্রা শর্ট স্যুট, বডি স্যুট, স্কার্ট স্যুট, ওভারকোট, শর্ট গাউন, থ্রি-পিস স্যুট, জ্যাকেট ইত্যাদি।
ছেলেদের জন্য ছিল আকর্ষণীয় স্লিক থ্রি-পিস স্যুট, ওভারকোট, জ্যাকেট ইত্যাদি। থ্রি-পিস স্যুটে চোখে পড়েছে গ্লিটারি পিনস্ট্রাইপ প্যাটার্নের ব্যবহার। চকচকে চামড়া, ভেলভেট, সাটিন ও সিল্ক ফ্যাব্রিকের ব্যবহার হয়েছে বেশি।
বৈচিত্র্য ছিল কালার প্যালেটে। পোশাকে কালো, কফি, ল্যাভেন্ডার, টিল, সোনালি, অফ হোয়াইট রংগুলো বেশি দেখা গেছে।
ফ্যাশন সমালোচকদের মতে, কালেকশনের সব পোশাকই নিঃসন্দেহে অত্যন্ত স্টাইলিশ, আকর্ষণীয় ও গ্ল্যামারাসও বটে। যেকোনো পার্টি বা রেডকার্পেট ইভেন্টে পরার উপযোগী। কিন্তু পিটার আরও ভালো কিছু করতে পারতেন। আশা করা যায় জানুয়ারির ফ্যাশন উইকে তিনি টম ফোর্ডের হয়ে সবাইকে নতুন কিছু উপহার দেবেন।
ছবিঃ ইন্সটাগ্রাম