শ্রীদেবী–কন্যা তাঁর মেকআপের ব্যাপারে বেশ সচেতন। গ্লাস স্কিন মেকআপ লুকেই তাঁকে বেশির ভাগ সময় দেখা যায়। আর এই লুক তৈরি করতে ত্বকে ব্যবহার করতে হবে পছন্দের একটি সিরাম। এরপর ত্বকের ধরন বুঝে ব্যবহার করতে হবে ময়েশ্চারাইজার। এরপরের ধাপে এই মেকআপের বিশেষত্ব। চিকবোন, চোখের কোণ আর নাকের ডগায় আলতো করে ছুঁয়ে নিতে হবে ক্রিম হাইলাইটার। সবশেষে চকচকে ফিনিশের জন্য ঠোঁটে গ্লস ব্যবহার করতে হবে।
মেকআপ করার ক্ষেত্রে বেশ রুচিশীল অভিনেত্রী আলিয়া ভাট। বেশির ভাগ সময় থাকেন ন্যুড মেকআপে। তবে গ্লাস স্কিন মেকআপের কথা উঠলে আলিয়ার নাম আসবেই। প্রিয় অভিনেত্রীর মতো গ্লাস স্কিন ত্বক পেতে খুব বেশি কষ্ট করতে হবে না। প্রথমে মুখের ত্বকে ব্যবহার করতে হবে ফুল কভারেজ ম্যাট ফিনিশ ফাউন্ডেশন। এরপর পাউডার ব্লাশ ব্যবহার না করে চিক টিন্ট ব্যবহার করতে হবে। কারণ, এতে ন্যাচারাল লুক তৈরি হবে। আর ফিনিশিং টাচে ঠোঁটে লাগিয়ে নিতে হবে টিন্টেন্ট লিপবাম।
বেশির ভাগ সময় ম্যাট মেকআপ করেন নোরা ফাতেহি। তবে গ্লাস স্কিন মেকআপের ক্ষেত্রেও তিনি উজ্জ্বলতার নিখুঁত ভারসাম্য রেখে বেশ সুন্দরভাবে নিজেকে উপস্থাপন করেন। এ ক্ষেত্রে হাইলাইটার বেশ জরুরি বলে মনে করেন নোরা। তিনি গ্লাস স্কিন মেকআপের জন্য কপাল, গাল আর ঠোঁট ম্যাট রেখে শুধু নাক, চিবুক আর চিকবোনে ব্যবহার করেন পছন্দের হাইলাইটার।
অনন্যা পান্ডে তাঁর মেকআপ লুক আর ফ্যাশন সেন্সের জন্য তরুণীদের কাছে বেশ পরিচিত। গ্লাস স্কিন মেকআপ লুক তৈরি করতে অভিনেত্রীর কয়েকটি ধাপ পার করতে হয়। অভিনেত্রী তাঁর ত্বক প্রস্তুত করতে ধাপে ধাপে একটি হাইড্রেটিং টোনার, সিরাম ও ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করেন। তারপরে একটি ডিউই ফাউন্ডেশন, ব্রোঞ্জার আর সবশেষে হাইলাইটার ব্যবহার করেন ত্বকে।