ত্বকে ডাবল ক্লিনজিং করতে হবে কেন
শেয়ার করুন
ফলো করুন

ডাবল ক্লিনজিং কী

অনেকের ধারণা, ডাবল ক্লিনজিং মানে ফেসওয়াশ দিয়ে দুবার মুখ ধোয়া। কিন্তু তা নয়। ডাবল ক্লিনজিং হলো মুখ পরিষ্কার করার একটি পদ্ধতি। দুই ধাপে বা দুই ধরনের প্রসাধনী ব্যবহার করে ত্বক পরিষ্কার করার পদ্ধতিই হলো ডাবল ক্লিনজিং। প্রথমত, তেলভিত্তিক ক্লিনজার দিয়ে আবার জলভিত্তিক ক্লিনজার দিয়ে। মূলকথা হলো, ত্বককে গভীরভাবে পরিষ্কার করে এ পদ্ধতি।

সময় বাঁচাতে আমরা শুধু পানি দিয়েই ত্বক ধুয়ে ফেলতে চাই। কিন্তু সেটা ত্বকের জন্য যথেষ্ট নয়। সারা দিনের ধুলাবালু, ময়লা কিংবা তেল চিটচিটে ভাব শুধু পানি বা ফেসওয়াশ দিয়েই সরানো সম্ভব নয়। যাঁরা প্রতিদিন মেকআপ করেন, তাঁদের জন্য ডাবল ক্লিনজিং পদ্ধতি খুব জরুরি বলে মনে করেন রূপবিশেষজ্ঞ ফারহানা রুমি।

ডাবল ক্লিনজিংয়ের সুবিধা হলো প্রথম ক্লিনজারটি যেকোনো মেকআপকে ভেঙে ফেলবে, দিনের ময়লা ও অতিরিক্ত তেল দূর করে ত্বক পরিষ্কার করবে। দ্বিতীয় ক্লিনজারটি ত্বকের ধরন বুঝে সমাধান করবে যেন ত্বক হাইড্রেট, মসৃণ বা এক্সফোলিয়েট হয়।

বিজ্ঞাপন

কীভাবে করবেন ডাবল ক্লিনজিং

প্রথম ধাপ: অয়েল ক্লিনজিং

ছবি : পেকজেলসডটকম

ত্বকের জন্য মানানসই একটি তেল মিশ্রিত ক্লিনজার পরিমাণমতো নিয়ে মুখের ত্বকে লাগিয়ে আলতোভাবে ম্যাসাজ করতে হবে। তারপর পরিষ্কার পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে মুখ।

বিজ্ঞাপন

দ্বিতীয় ধাপ: ফোম ক্লিনজার

সামান্য পরিমাণে ক্লিনজার হাতে নিতে হবে। ঘন ফেনা তৈরির পর ফোম মুখে, কপালে, নাকের ত্বকে ও গলায় ম্যাসাজ করতে হবে। এরপর উষ্ণ গরম পানি দিয়ে মুখ ভালোভাবে ধুয়ে, নরম ফেসটাওয়াল দিয়ে মুখ মুছে নিতে হবে। ত্বকের শুষ্কতা কাটাতে এবং আর্দ্রতা ধরে রাখতে সবশেষে ময়েশ্চারাইজার লোশন বা ক্রিম ব্যবহার করলে ভালো ফল পাওয়া যাবে।

সব ধরনের ত্বকেই ডাবল ক্লিনজিং করা যায়। তবে যেহেতু প্রতিটি ত্বকের ধরন আলাদা, তাই বিশেষজ্ঞরা বিভিন্ন ধরনের ত্বকের জন্য ব্যবহার করা ক্লিনজারের ধরন তালিকাভুক্ত করেছেন।

শুষ্ক ত্বক: অয়েল ক্লিনজারের পর মৃদু ক্রিমি ক্লিনজার।

তৈলাক্ত ত্বক: অয়েল ক্লিনজারের পরে ফেনাযুক্ত ক্লিনজার।

ব্রণপ্রবণ ত্বক: অয়েল ক্লিনজারের পরে মেডিকেটেড ক্লিনজার এবং তারপর নিয়মিত ক্লিনজার।

ছবিঃ হাল ফ্যাশন

প্রকাশ: ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১১: ০০
বিজ্ঞাপন