যাঁরা ঘুরে বেড়াতে ভালোবাসেন, বিশ্বের নানা দেশ সম্পর্কে জানার অগাধ আগ্রহ যাঁদের, আজকের দিনটা বলতে গেলে তাঁদের জন্যই। আজ ২৭ সেপ্টেম্বর, শুক্রবার, বিশ্ব পর্যটন দিবস। এ বছর দিবসটির প্রতিপাদ্য হলো ‘পর্যটন ও শান্তি’। পর্যটনশিল্পের বৈশ্বিক তাৎপর্যের ওপর আলোকপাত করার জন্যই প্রতিবছর আজকের এই দিনে ঘটা করে পালন করা হয় বিশ্ব পর্যটন দিবস। সাংস্কৃতিক বিনিময় থেকে শুরু করে অর্থনৈতিক খাতকে চাঙা করা এবং বৈশ্বিক ঐক্য বৃদ্ধিতে পর্যটনের গুরুত্ব উদ্যাপন করার জন্য দিনটিকে বেছে নেওয়া হয়েছে। বিশ্ব পর্যটন দিবস উপলক্ষে জেনে নেওয়া যেতে পারে আজকের দিনের ইতিহাস, তাৎপর্য আর স্বাগতিক দেশ সম্পর্কে।
১৯৭০ সালের এই দিনে মেক্সিকো সিটিতে একটি বিশেষ সমাবেশের মাধ্যমে বিশ্ব পর্যটন দিবস শুরু হয়। এই মাইলফলক অনুসরণ করে ইউএনডব্লিউটিও ১৯৮০ সালের ২৭ সেপ্টেম্বর বিশ্ব পর্যটন দিবসের সূচনা করে। উত্তর গোলার্ধে রমরমা এখন পর্যটন মৌসুম। এরপরই শুরু দক্ষিণ গোলার্ধের পর্যটন মৌসুম। ঠিক এই মধ্যবর্তী সময়েই উদ্যাপিত হয়ে থাকে বিশ্ব পর্যটন দিবস। ১৯৯৭ সালে সংস্থাটি বিশ্ব পর্যটন দিবস উদ্যাপনে সহযোগিতা করার জন্য প্রতিবছর একটি ভিন্ন আয়োজক দেশ নির্বাচন করার ঐতিহ্য চালু করে। দিনটি বিশ্বজুড়ে সামাজিক, সাংস্কৃতিক, রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক মূল্যবোধের ওপর পর্যটনের প্রভাব সম্পর্কে সচেতনতা তৈরি করতে সাহায্য করে।
পর্যটনের গুরুত্ব এবং আমাদের সমাজে এর প্রভাব সম্পর্কে সচেতনতা ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য বিশ্ব পর্যটন দিবস পালিত হয়। দিবসটির মূল উদ্দেশ্য হলো বিশ্বব্যাপী পর্যটনের গুরুত্ব তুলে ধরা। পর্যটনের অর্থনৈতিক প্রভাব তো রয়েছেই, এ ছাড়া উল্লেখযোগ্যভাবে বিভিন্ন দেশ ও বিভিন্ন অঞ্চলের সামাজিক, রাজনৈতিক ও ঐতিহ্যবাহী পোশাকও প্রভাবক হিসেবে কাজ করে। আরেকটি তাৎপর্যপূর্ণ দিক হলো, দিনটির মাধ্যমে পর্যটনশিল্পে সংযোগ বৃদ্ধি, বিভিন্ন সংস্কৃতিকে বোঝা থেকে শুরু করে টেকসই অনুশীলনের প্রচার সম্পর্কেও জানা যায়।
এ বছর বিশ্ব পর্যটন দিবসের প্রতিপাদ্য ‘পর্যটন ও শান্তি’। জাতি ও সংস্কৃতির মধ্যে শান্তি ও বোঝাপড়া বৃদ্ধি করতে পর্যটনের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা তুলে ধরে এই দিবস। ইউএনডব্লিউটিও প্রতিবছর বিশ্ব পর্যটন দিবস উদ্যাপনে অংশীদার হওয়ার জন্য একটি আয়োজক দেশকে মনোনীত করে। এ বছর আয়োজনের সমস্ত গুরুদায়িত্ব পড়েছে ইউরোপ ও এশিয়ার সংযোগস্থলে অবস্থিত দেশ জর্জিয়ার ওপর। আজ সাংস্কৃতিক বিনিময় এবং অর্থনৈতিক উন্নয়নে পর্যটনের ভূমিকা তুলে ধরা হয়েছে এই আয়োজনে।
ছবি: পেকজেলসডটকম ও উইকিপিডিয়া