বছর ঘুরে দরজায় কড়া নাড়ছে সর্বজনীন দুর্গোৎসব। দেশের প্রতিটি মন্দিরে চলছে দুর্গার প্রতিমা তৈরির আর মঞ্চ সাজানোর কাজ। শেষ মুহূর্তের কর্মযজ্ঞে ব্যস্ত সময় পার করছেন ভক্তরা।
সব প্রতিকূলতার মধ্যেও ৮ অক্টোবর মহাষষ্ঠীতে মা দুর্গার আগমন ঘটবে। তারপর থেকেই শুরু হবে পূজার মূল আনুষ্ঠানিকতা। পরে ১২ অক্টোবর দশমীতে বিসর্জন ও শোভাযাত্রার মধ্য দিয়ে শেষ হবে শারদীয় দুর্গাৎসব। এদিকে বছর ঘুরে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সর্ববৃহৎ এই উৎসবকে ঘিরে দুর্গাভক্তদের আয়োজনের শেষ নেই।
১৪৮০ খ্রিষ্টাব্দের এই আদি মন্দিরের বিশেষত্ব হলো এখানের দুর্গা ঠাকুরের প্রতিমা বিসর্জন দেওয়া হয় না। কারণ, রাজা কংসনারায়ণ দুর্গাপূজার ইতিহাসকে ভিন্নমাত্রা দিতে ওই মন্দিরে অষ্টধাতুর ব্রোঞ্জ প্রতিমা স্থায়ীভাবে স্থাপন করা হয়।
শ্রীশ্রী গোবিন্দ ও দুর্গামাতা মন্দির ও পূজা কমিটির সাধারণ সম্পাদক বাবু রায় বলেন, ‘এবার দেশের সার্বিক পরিস্থিতি অনুযায়ী আমরা খুব বেশি অর্থ সংগ্রহ করতে পারিনি। তাই এবার পূজার প্রস্তুতি আগের চেয়ে একটু কম। এ বছর সেভাবে আলোকসজ্জা ও প্যান্ডেলও করা হচ্ছে না। কারণ, পূজা উদ্যাপন কমিটির সর্বশেষ সভায় আমাদের অনেক সদস্য আসতে পারেননি এবং পুরোনো দাতারা সেভাবে সহায়তাও করতে পারেননি। তা ছাড়া সরকারি কোনো অনুদানও এবার পাওয়া যায়নি। এ জন্য এবারের প্রস্তুতি আগের মতো নয়, কোনোরকমে বলা যায় পূজার আয়োজন হচ্ছে।’
ছবি: লেখক