এয়ারপোর্ট ডিভোর্সই এখন কাপল ট্যুরের নতুন ট্রেন্ড, আসলে ব্যাপারটা কী
শেয়ার করুন
ফলো করুন

এয়ারপোর্ট ডিভোর্স, শুনলে মনে হয় এয়ারপোর্টে পৌঁছে বিচ্ছেদ। আদতে বিষয়টা তেমন কিছু না। অর্থাৎ নামের মতো সিরিয়াস কিছু নয়, বরং উল্টোটা। এটি এমন এক কৌশল, যেখানে দম্পতি ইমিগ্রেশন চেক-ইনের পর বা ট্রানজিটের সময় ইচ্ছাকৃতভাবে আলাদা হয়ে নিজেদের মতো সময় কাটিয়ে আবার একসঙ্গে ভ্রমণ করা। আর এই সামান্য দূরত্বই নাকি পুরো ভ্রমণটাকে করে তোলে অনেক বেশি আনন্দের ও স্ট্রেস-ফ্রি।

কোথা থেকে এল ‘এয়ারপোর্ট ডিভোর্স’ শব্দটি?

ব্রিটিশ ট্রাভেল জার্নালিস্ট হিউ অলিভার প্রথম শব্দটি ব্যবহার করেন। তিনি জানান, তিনি ও তার ফিয়ান্সে দু’জনেরই এয়ারপোর্টে নিজের মতো কিছু রুটিন আছে। কেউ হয়তো ডিউটি-ফ্রি ঘুরে নতুন পারফিউম ট্রাই করতে পছন্দ করেন, আবার কেউ লাউঞ্জে বসে বোর্ডিং স্ক্রিনের দিকে তাকিয়ে আরাম করতে চান। ফলে একসঙ্গে থেকে একে অপরকে বিরক্ত করার চেয়ে আলাদা হয়ে সময় কাটানোতেই শান্তি।
এভাবেই তৈরি হয় "এয়ারপোর্ট ডিভোর্স"—একটি সাময়িক বিচ্ছেদ, যা আসলে সম্পর্ককে আরও শক্ত করে।

হলিউডেও আলোচনায়

টক-শো দম্পতি কেলি রিপা ও মার্ক কনস্যুয়েলসও বিষয়টি নিয়ে অন-এয়ারে কথা বলতে গিয়ে হালকা তর্কে জড়িয়ে পড়েন। কারণ? দু’জনের ট্রাভেল স্টাইল একে অন্যের সম্পূর্ণ বিপরীত। কেলির মতে, মার্ক অনেক আগে পৌঁছাতে চান। আর মার্কের মতে, কেলিই বেশি চিন্তিত থাকে সবকিছু নয়ে। এই পার্থক্যই তাদের তৈরি করে নানা ঝুট ঝামেলা। পরবর্তী ভ্রমণে তারাও "এয়ারপোর্ট ডিভোর্স"-এ সমাধান খোঁজার আগ্রহ প্রকাশ করেন।

বিজ্ঞাপন

কেন কাজ করে এই কৌশল?

স্ট্রেস কমে যায়: নিরাপত্তা চেক-ইন পার হওয়ার পর সবাইকে একই গতিতে হাঁটতে হবে, এই চাপ থাকে না।

নিজের মতো সময়: কেউ চাইলে শপিং করতে পারে, কেউ চাইলে শান্ত কোণে গিয়ে বসে কফি খেতে পারে।

কম ঝগড়া, বেশি স্বাধীনতা: একই জায়গায় থেকেও আলাদা সময় কাটানো অনেক দম্পতির জন্য স্বস্তিদায়ক।

গেটে আবার মিলিত হওয়া: দু’জনই তখন বেশি রিল্যাক্সড, মানসিকভাবে কম ক্লান্ত এবং ভ্রমণের জন্য প্রস্তুত।

সব দম্পতির জন্য কি প্রযোজ্য?

না, সব সময়ই নয়। বিশেষজ্ঞদের মতে, পরিস্থিতি বুঝে সিদ্ধান্ত নেওয়া জরুরি। হানিমুনে গেলে আলাদা হয়ে ঘুরে বেড়ানো খুব রোমান্টিক নাও হতে পারে। আবার কেউ যদি উদ্বিগ্ন বা বেশি চিন্তিত থাকেন তাদের পাশাপাশি থাকা প্রয়োজন। কিন্তু যদি দু’জনই নিজের জায়গা চান, আর একই স্টাইলে ভ্রমণ করতে না পারেন। তা

হলে এই ‘এয়ারপোর্ট ডিভোর্স’ হতে পারে সত্যিকারের সেভিয়র।
ভ্রমণ আনন্দের। এয়ারপোর্টের মনোমালিন্য বা ছোট ছোট ঝগড়া সেই আনন্দকে নষ্ট করে দিলে মানায় না। সম্পর্কের মতোই ট্রাভেলও একটি বোঝাপড়ার জায়গা, যেখানে কখনো কখনো একটু দূরত্বই কাছাকাছি নিয়ে আসে।

সূত্র: সিএনএন ও পিপল

বিজ্ঞাপন
প্রকাশ: ৩০ নভেম্বর ২০২৫, ১২: ০৮
বিজ্ঞাপন