বিশ্বের সবচেয়ে প্রাচীন বিশ্ববিদ্যালয়ের খোঁজে
শেয়ার করুন
ফলো করুন

জোহরের আজান দিচ্ছে, মসজিদে যেতে হবে নামাজ পড়তে আর আমি ফেজ শহরের বাজারের অলিগলিতে ঘুরছি। অলিগলির গোলকধাঁধার দুনিয়ায় না ঘুরে আর উপায়ই–বা কী। এই বাজার জগদ্বিখ্যাত এর অলিগলিতে ঘেরা সহস্র দোকানের জন্য। কিন্তু এই অলিগলি থেকে বের হয়ে মসজিদে যেতে যেতে যদি নামাজের সময় পার হয়ে যায়, তাহলে কি হবে? আমি দ্রুত পা চালাতে লাগলাম।

সুকের ভিিতরে দোকানের সারি
সুকের ভিিতরে দোকানের সারি

পৃথিবীর সব হীরা–জহরত এখন আমার সামনে এসে জড়ো করলে আমি ফিরেও তাকাব না বা থামব না। কারণ, দুনিয়ার সবচেয়ে অমূল্য জহরত দেখতে আমি এখন যাচ্ছি। আমার পাশ কেটে কেটে সরে যাচ্ছে হরেক রঙের লোভনীয় জিনিসে ঠাসা সব দোকান। সেদিকে আমি ফিরেও তাকাচ্ছি না। আমি দ্রুতপায়ে এগিয়ে চলছি। একসময় লোকলজ্জার পরোয়া না করে দৌড়াতে লাগলাম। যেভাবেই হোক আমাকে জামাত ধরতেই হবে।
পুরোনো ফেজ শহরের ভেতরে এই ভুলভুলাইয়ার মতো বাজার, একবার ঢুকে গেলে বের হওয়া মুশকিল।

বিজ্ঞাপন

মরক্কোর যেকোনো পুরোনো শহরের মহল্লাকে বলা হয় মেদিনা। আর মেদিনার ভেতরে যে বাজার থাকে, তাকে বলা হয় সুউক বা সুক। আর ফেজ শহরের সুক হলো মরক্কো এবং পৃথিবীর সবচেয়ে বড় বাজার। সকালবেলা এই সুক ধরে ধরে খুঁজে পেয়েছিলাম দুনিয়ার সবচেয়ে পুরোনো মাদ্রাসা বা বিশ্ববিদ্যালয়—আল কারাউইন। মরক্কোর নিয়ম অনুযায়ী অমুসলিম কারও মসজিদের ভেতরে প্রবেশ নিষেধ। আর মুসলমানরা মসজিদে প্রবেশ করতে পারে শুধু নামাজের সময়। তাই পিতলের বিশাল সদর দরজার এ পাশ থেকে দেখতে হয়েছে মসজিদের আঙিনার সামান্য একটা অংশ। দরজার সামনে মসজিদের মূল প্রবেশপথের ওপরে বিশাল চাঁদোয়া হয়ে আছে গোলাকার সিলিং। সিলিংয়ে নানা জাদুকরি নকশা খোদাই করা। সাদার ওপর সাদা সূক্ষ্ম প্লাস্টারে খোদাই ফুল–লতাপাতা আর জ্যামিতিক নকশা আঁকা নানা রঙে। ছাতার মতো গোল হয়ে নিচের দিকে নকশা চুইয়ে চুইয়ে পড়ছে।

সুকের ভিতরে
সুকের ভিতরে

এই নকশা দেখতে তো মনে হয় সারা দিন পার হয়ে যাবে। এদিকে প্রবেশদ্বারে বিদেশি ট্যুরিস্টদের ভিড় বাড়ছে, অন্যদেরও দেখতে দিতে হয়। আমি খানিক সরে এসে দরজার বাইরের সরু গলিতে দাঁড়াই। দরজার ওপরকার খোদাই দেখি। এখানেও ছোট ছোট আয়তাকার খোপ খোপ ঘরের মধ্যে ফুল–লতাপাতা খোদাই করা নির্ভুলভাবে।
জোহরের নামাজের ঢের দেরি, তাই আমি ঘুরে মসজিদের অন্য দরজার দিকে হাঁটা শুরু করি।

বিজ্ঞাপন

৮৫৭ সালে ফাতিমা আল ফিহরি নামের এক ধনাঢ্য নারী আল কারাউইন মসজিদটি নির্মাণ করেন। ফাতিমা আল ফিহরি ও তাঁর পরিবার তিউনিসিয়ার কারাউইন শহর থেকে মরক্কোর ফেজ শহরে বসবাস করতে এসেছিলেন। ফাতিমা আল ফিহরি উত্তরাধিকার সূত্রে প্রাপ্ত সম্পত্তি মসজিদ, মাদ্রাসা ও অন্যান্য সমাজসেবামূলক কাজে দান করেছিলেন।

মসজিদে দাঁড়িয়ে লেখা
মসজিদে দাঁড়িয়ে লেখা

আল কারাউইন মসজিদ নির্মাণের কয়েক বছর পরই পাশে একটি আধুনিক মাদ্রাসা বা বিশ্ববিদ্যালয় নির্মাণ করেন ফাতিমা। আজ আল কারাউইন বিশ্ববিদ্যালয় বিশ্বের সবচেয়ে প্রাচীন, সচল বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে পরিচিত। প্রাথমিকভাবে ধর্মীয় পাঠদান করা হলেও পরে আল কারাউইন বিশ্ববিদ্যালয় অন্যান্য বিষয়েও পাঠদান শুরু করে।
মসজিদের পাশেই বিশাল এলাকাজুড়ে পাঠদানের জন্য একতলা ভবন দাঁড়িয়ে আছে। যদিও তা আমি এই সরু গলি থেকে দেখতে পাচ্ছি না। আমি ঘুরে ঘুরে আল কারাউইন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান দুয়ার খুঁজে ফিরি।

এ শহরের গলিগুলো একেকটা আশ্চর্য জাদুর নগরের গলি যেন, শুরু আছে শেষ নেই। এক গলি থেকে অন্য গলিতে চলে গেলে আগের গলি আর খুঁজে পাওয়া যায় না। কীভাবে যাবে, গলির দুই ধারে পাশাপাশি নানা হস্তশিল্পের দোকান। এক দোকানদারকে বিশ্ববিদ্যালয়ের কথা বলতেই পাশের জনকে কী যেন বলল। হায়, আমি না জানি আরবি, না জানি ফ্রেঞ্চ। আর এই দুই ভাষায় তারা কথা বলে।

মসজিদে লেখক
মসজিদে লেখক

আমার মতো ট্যুরিস্টদের সঙ্গে কথা বলে ইংরেজিতে। দ্বিতীয় ব্যক্তি আমাকে কয়েকটি রঙিন কাচের জিনিসপত্রের দোকান পার করিয়ে একটি দোকানে ঠেলে দিল। সেই দোকানের ভেতরে দেখছি চোরা কুঠুরি আছে। ভেতরের সিঁড়ি দিয়ে আমায় নিয়ে এল ইবনে সিনার গবেষণাগারের মতো একটি কক্ষে। সেখানে টেবিলের ওপর থরে থরে সাজানো আছে নানা বয়ামে বা জারে বিচিত্র রঙের সব গুঁড়া। কাচের প্লেটে নানা মসলা রাখা, হামানদিস্তায় আরও কী কী যেন রাখা।

এক পাশে হাতে ব্যবহৃত ছোট মেশিনে একটি মেয়ে কী যেন তৈরিতে ব্যস্ত। আমি জিজ্ঞাসা করলাম, ‘এই তোমরা কি আমাকে জাদুটোনা করে ভেড়া বানিয়ে রাখবে?’ ওরা হেসে ফেলল। আমার সঙ্গে দোতলা বেয়ে আসা ছেলেটি বলল, ‘না না। এটা একটা হারবাল প্রসাধনীর দোকান।

অলিগলি পার হয়ে পেতে হয় পথ
অলিগলি পার হয়ে পেতে হয় পথ

এখানে তেল, সুগন্ধি, চা–পাতা ইত্যাদি পাওয়া যায়। তুমি আল কারাউইন বিশ্ববিদ্যালয় দেখতে চেয়েছ। তাই তোমাকে ছাদে নিয়ে যাচ্ছি। ছাদ থেকে পুরো চত্বর দেখা যায়। তোমার যতক্ষণ ইচ্ছা দেখো। তারপর আমাদের সাবান, তেল কিনতে ইচ্ছা হলে কিনতে পারো।’
আমি তরতর করে সরু সিঁড়ি বেয়ে ছাদে চলে এলাম। ছেলেটিও এল পেছন পেছন। আঙুল দিয়ে কাছের সবুজ লম্বা লম্বা দোচালা পাশাপাশি ভবনগুলো দেখিয়ে বলল, ‘ওই যে আল কারাউইন।’

একটু আগে যে মসজিদের একাংশ দেখে এসেছি, তা উঁচু থেকে অনেকখানিই দেখা যাচ্ছে। মানে, মসজিদের আঙিনা আর মিনার। আন্দালুসিয়ান স্থাপত্যশিল্প অনুকরণে নির্মিত চৌকোণ সাদা মিনার। মূল মসজিদের আঙিনা আয়তাকার আর তাকে ঘিরে মসজিদ ভবন, যার ছাদ সবুজ দোচালা ঘরের মতো টালি দিয়ে ঢাকা। আশপাশের অন্য বাড়ি বা মসজিদের ছাদ এমন সবুজ টালি দিয়ে ঢাকা নয়। একমাত্র আল কারাউইন মসজিদ আর পার্শ্ববর্তী মাদ্রাসার ছাদই সবুজ টালি দিয়ে ঢাকা।

কারুকাজ মুগ্ধ করে
কারুকাজ মুগ্ধ করে

আমার এই ছাদে এখন কিছু করার নেই। নেমে দোতলায় তেল, সাবান দেখার বা কেনার ইচ্ছা নেই। তেল বিক্রেতা মেয়েটি একটু মনঃক্ষুণ্ন হলো, কিন্তু কী করব আমার মাথায় এখন আল কারাউইন সওয়ার করেছে। মসজিদ আর মাদ্রাসা না দেখে বিদায় নিচ্ছি না।
বাজারের গলিতে হাঁটতে হাঁটতে অনেক দূর চলে এসেছি। ফেরার সময় খেয়াল হলো আমি এই হাজার হাজার দোকান আর শত শত গলির মধ্যে হারিয়ে গেছি। আল কারাউইনে আমাকে নামাজের আগে পৌঁছাতেই হবে। আমি পা চালালাম। একে তাকে জিজ্ঞাসা করে ঠিক পেয়ে গেলাম আল কারাউইনের পথের দিশা। কালবিলম্ব না করে মসজিদের অন্য দরজা দিয়ে ঢুকে পড়লাম মসজিদে নারীদের জন্য আলাদা করে রাখা নামাজের স্থানে। অবশ্য প্রবেশদ্বার থেকে পুরুষদের নামাজ পড়ার কক্ষ দেখা যায়।

লাল নকশা করা কার্পেটের ওপর সবাই নামাজে দাঁড়িয়ে গেছে। আমি ভেবেছি, নামাজ পড়তে আসা নারীরা হিজাব ও বোরকা পরিহিত হবে। কিন্তু তারা মরোক্কান কাফতান পরে আর মাথায় ছোট একটা স্কার্ফ বেঁধে এসেছে। তাদের মধ্যে জিনস আর টাইট টি–শার্ট পরা মরোক্কান নারীও আছে। বেশ অবাক হলাম মরক্কোর মসজিদে নারীদের পোশাকের বৈচিত্র্য দেখে। ফরজ নামাজের পর অনেকেই মসজিদ ছেড়ে চলে গেল। অন্যরা নামাজ সেরে মসজিদের যতখানি নারীদের নামাজের স্থান থেকে দেখা যায়, তার সামনে দাঁড়িয়ে ছবি তুলছিল। অবশ্য মসজিদ আঙিনার পুরোটাই এখান থেকে দেখা যায়। নারীদের নামাজের স্থান আসলে বারান্দার মতো একটা জায়গায়, বেশ খোলামেলা।

গম্বুজের নকশা
গম্বুজের নকশা

আল কারাউইন মসজিদটি এমনভাবে নির্মাণ করা হয়েছিল, যাতে বিশাল জনগোষ্ঠী এখানে একসঙ্গে নামাজ পড়তে পারে। নারীদের জন্য জায়গা অল্প হলেও পুরুষের জন্য নামাজের মূল কক্ষ বেশ বড়। প্রায় ২২ হাজার মানুষ একসঙ্গে এই মসজিদে নামাজ পড়তে পারে। এখন আমি বুঝতে পারছি, ছাদের ওপর থেকে পাশাপাশি সবুজ টালির ছাদগুলো তাহলে মসজিদে নামাজের কক্ষ। তবে এর পাশে কিছু জায়গা মাদ্রাসার জন্য বরাদ্দ আছে।

আমার চোখ বারান্দার কাঠের খাঁজকাটা রেলিং পেরিয়ে যতখানি মসজিদ আবিষ্কার করা যায়, তা দেখছে। মসজিদের আঙিনায় নামাজ শেষে পুরুষ মুসল্লিরা বেরিয়ে যাচ্ছে। আমার সেদিকে ভ্রুক্ষেপ নেই। আমার আক্ষেপ, আমি আঙিনার কাছ থেকে ঘুরে ঘুরে অসামান্য সুন্দর খোদাই করা দেয়াল, প্যাভিলিয়ন ও মিহরাব দেখতে পারছি না বলে।

প্রবেশপথ
প্রবেশপথ

আঙিনার ডান পাশে একটা জায়গায় মনে হলো রাজপ্রাসাদের একটা অংশ, আদতে অজু করার আলাদা আয়তাকার বারান্দা। সে বারান্দার মাঝখানে শ্বেতপাথরের ফোয়ারা, যেখানে অজুর পানি টলটল করছে। আর ফোয়ারার নিচে জেলিশ টাইলসের নানা নকশা জ্বলজ্বল করছে। আমি পানির ছন্দ দেখতে দেখতে ভুলেই গিয়েছিলাম যে চৌকোনা এই ছাউনিটির আটটি স্তম্ভের ওপরে দেয়ালজুড়ে মরক্কোর ঐতিহ্যবাহী সাদা প্লাস্টারের ওপর খোদাই করা এক রহমতের জগৎ। সে জগতে সাদা বুনন জালে ছড়িয়ে আছে মরক্কোর শত শত বছরের ইতিহাস। দেয়ালটা দেখতে একদম সাদা কুরুশ-কাঁটায় বোনা ঝোলানো পর্দার মতো মনে হচ্ছে। আর তার ওপরের দেয়াল সেজে আছে কাঠের কারুকাজে। মরক্কোয় কাঠের এই কারুকাজকে বলা হয় জুউক। সাদা দেয়াল এক ভাগ আর তার মাথায় কালচে বাদামি কারুকাজের তাজ পড়ে যেন খিলখিল করে হেসে উঠছে। আঙিনার অপর পাশে একই আকারের আরেকটি ছাউনি চোখ তুলে তাকিয়ে আছে। সবার মাথায় সবুজ টালি গাছের শাখার মতো ছায়া দিচ্ছে।

আয়তাকার আঙিনা এখন খালি হওয়ার পথে। মেঝের জেলিশ টাইলসের নকশা চকচকে সাদা, নীল ও সবুজ রঙকে সাজিয়ে এখন থেকে অপেক্ষায় থাকে আসর ওয়াক্তের মুসল্লিদের।

ছাদের কারুকাজ
ছাদের কারুকাজ

এসব কারিশমা দেখতে দেখতে বেলা বয়ে যাচ্ছে। নারীরা চলে গেছে আর আমি স্বপ্নতাড়িতের মতো এখনো বারান্দায় দাঁড়িয়ে আছি। মসজিদের পাহারাদার আমায় দেখে বিনীত স্বরে চলে যেতে বলল। অগত্যা আরও একবার আঙিনায় চোখ বুলিয়ে আমি প্রস্থান করলাম। কিন্তু মন পড়ে রইল মাদ্রাসায়।

মসজিদের চৌহদ্দি তখনো পেরোয়নি, সামনে একটি ছেলেকে মসজিদ থেকে বের হতে দেখি। এগিয়ে গিয়ে জিজ্ঞাসা করলাম, ‘তুমি কি আল কারাউইনের ছাত্র?’ সে হ্যাঁ বলতেই মনে হলো এই সুযোগ হাতছাড়া করা ঠিক হবে না। বললাম, ‘আমাকে কি তোমার বিশ্ববিদ্যালয় ঘুরে দেখাবে?’ ছেলেটির নাম ইয়াসিন। ইয়াসিন বলল, ‘এই মসজিদ প্রাঙ্গণে আগে বিশ্ববিদ্যালয় ছিল, এখন স্থান সংকুলান করতে না পেরে দেড় কিলোমিটার দূরে অন্য একটা ভবনে স্থানান্তরিত করেছে।’
আমি বললাম, ‘তাহলে এখানকার মাদ্রাসাটিই দেখাও।’

বিশাল চত্বর
বিশাল চত্বর

ইয়াসিন আমাকে নিয়ে গেল মসজিদের পাশের দুয়ারের দ্বাররক্ষীর কাছে। দ্বাররক্ষী তো কিছুতেই আঙিনা থেকে আমায় মাদ্রাসার দুর্ভেদ্য দেয়াল ডিঙিয়ে ওপাশে তাকাতেও দেবে না। আমি কিন্তু চট করে মাদ্রাসার ভেতরের কক্ষ দেখে ফেলেছি। ওভাল শেপের কাঠের টেবিল ঘিরে নকশা করা কাঠের চেয়ার। একই কক্ষে বেশ কয়েকটি টেবিল রয়েছে পাঠদানের জন্য। মাথার ওপর ঝুলছে ঝাড়বাতি। এরপর অবশ্য দ্বাররক্ষী আর আমার পথ আগলে রাখেনি।

আমি সোজা লাইব্রেরিতে চলে গেলাম। এই মাদ্রাসায় সাধারণত কোরআন শিক্ষা দেওয়া হয়, তাই লাইব্রেরির সব বই ইসলামিক বই। তবে শ্রেণিকক্ষ দেখে চমৎকৃত হলাম। এত সুসজ্জিত আর উন্নত যে মনে হয় কোনো আধুনিক বিশ্ববিদ্যালয়ে চলে এসেছি।
ফাতিমা আল ফিহরির আমল থেকে আজকের জামানার মরক্কোর আল কারাউইন বিশ্ববিদ্যালয়কে ইসলাম ও জ্ঞান–বিজ্ঞানের কেন্দ্রবিন্দু হিসেবে গণ্য করা হয়। ইউনেসকো ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইটের অন্তর্ভুক্ত এই বিশ্ববিদ্যালয় এখন বিশ্বের সবচেয়ে প্রাচীন বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে স্বীকৃত।

 বিশ্বের বহু দেশ থেকে ছাত্রছাত্রী পড়তে আসে এই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে
বিশ্বের বহু দেশ থেকে ছাত্রছাত্রী পড়তে আসে এই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে

কাছের অন্য ক্যাম্পাসে বিশ্ববিদ্যালয়ের সব সাবজেক্ট পড়ানো হয়। সেখানে স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে বিশ্বের বহু দেশ থেকে ছাত্রছাত্রী পড়তে আসে। আমার সঙ্গে একটু আগে পরিচয় হওয়া ইয়াসিন আল কারাউইন থেকে গণিতে স্নাতক ডিগ্রি নিয়েছে।
আমি আবার বেরিয়ে পড়ি ফেজ শহরের সুকের অলিগলিতে। সেখানে ছড়িয়ে আছে বিশ্বের সবচেয়ে প্রাচীন বিশ্ববিদ্যালয় আল কারাউইনের ছাত্রদের পায়ের চিহ্ন।
এই মহিমাময় বিশ্ববিদ্যালয়ে পাঠ গ্রহণ না করলেও আমার পায়ের চিহ্নও যেন মিশে যায় তাদের মধ্যে।
ছবি: লেখক

প্রকাশ: ২১ মার্চ ২০২৫, ০৬: ০০
বিজ্ঞাপন