মার্সেই: ইতিহাস, সমুদ্র আর কবিতার শহর
শেয়ার করুন
ফলো করুন

ফ্রেঞ্চ রিভিয়েরা পর্ব ১

আগস্টের ২ তারিখ, রাত আটটা। সন্ধ্যা বললে খানিকটা ভুল হবে; আক্ষরিক অর্থে সন্ধ্যা তখনো হয়নি; কারণ আগস্ট মাসে ব্রিটিশ গ্রীষ্ম থাকে মধ্যগগনে। সূর্য অস্ত যেতে যেতে রাত দশটাও বেজে যায় মাঝেমধ্যে। আমাদের ইউরোস্টার ট্রেন ছাড়ল লন্ডন কিংস ক্রস স্টেশন থেকে। গন্তব্য প্যারিসের গার ডি নর।

বলে রাখা ভালো, ফ্রেঞ্চ শব্দ গার মানে স্টেশন। প্যারিস থেকে প্রাচীনতম শহর মার্সেই। ফরাসি উচ্চারণে বলা হয় মাখসাই। সেখান থেকে যাব ভ্যান গঘের স্মৃতিধন্য রোমান নগরী আর্লস। ফ্রেঞ্চ উচ্চারণে যাকে বলা হয় আহখলে। এরপর ফিরব শিল্পসম্ভারে ভরপুর শহর প্যারিস এবং সেখান থেকেই ফিরব নিজের বাস্তুভিটা কেমব্রিজে।

বিজ্ঞাপন

পারি হয়ে মার্সেই

রাতদুপুরে আমাদের ট্রেন পৌঁছাল গার ডি নরে, সেখান থেকে ট্যাক্সিযোগে অনুজপ্রতিম বন্ধু সাগরের বাসায়। ছোট বোন ফাল্গুনীর হাতের অসাধারণ স্বাদের ইলিশ মাছের ঝোল আর সবজিযোগে সম্পন্ন হলো রাতের খাবার। বিশ্বের অন্যতম শিল্পসম্ভারের শহরে বাংলার শিল্পসাহিত্যে হাজারবার চর্চিত পদ্মার রুপালি ইলিশ—এ যেন সোনায় সোহাগা।

গার ডি লিওন থেকে দোতলা ট্রেনে উঠছেন অসীম চক্রবর্তী
গার ডি লিওন থেকে দোতলা ট্রেনে উঠছেন অসীম চক্রবর্তী

পরদিন ভোরে প্যারিসের প্রাণকেন্দ্র গার ডি লিওন থেকে দোতলা ট্রেনে উঠলাম, গন্তব্য প্রাচীন নগরী মার্সেইয়ের ১৭৭ বছরের পুরোনো গার সেইন্ট চার্লস। ট্রেন থেকে নেমে মেট্রো ধরলাম একই স্টেশন থেকেই। মেট্রো থেকে মনে হলো গ্রিক-রোমানদের হাতে নির্মিত এই শহরের বন্দরজুড়ে যেন বইছে অদ্ভুত আনন্দের বন্যা। মার্সেই হলো প্যারিস থেকে ৭০০ মাইল দূরে দক্ষিণে অবস্থিত ফ্রান্সের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর।

মার্সেইয়ের নতর দেম
মার্সেইয়ের নতর দেম

আপনাদের অনেকেই জানেন, থেলিস ছিলেন প্রাচীন গ্রিক প্রিসোক্রেটিক দার্শনিক, মাইলেসিয়ান স্কুলের জনক। বলেছিলেন, জগতের আদি উপাদান (arche) হলো জল। তাঁর মৃত্যুর বছর ৫৪৫ খ্রিষ্টপূর্ব। এর প্রায় ৫০ বছর পর, গ্রিক নাবিকেরা ভূমধ্যসাগরের নীল জল পেরিয়ে পৌঁছায় পশ্চিম ইউরোপের ভিয়্যু-পোর (Vieux-Port) বন্দরে। শুরু হয় এক নতুন অধ্যায়, নোনা জল, উন্মুক্ত আকাশ আর অজানা দিগন্তের গল্প।

বিজ্ঞাপন

প্রাচীন গ্রিক-রোমান ঐতিহ্যের শহর

মার্সেই বন্দরে অন্যতম লেখক অসীম চক্রবর্তী
মার্সেই বন্দরে অন্যতম লেখক অসীম চক্রবর্তী

প্রায় খ্রিষ্টপূর্ব ৬০০ সালে আনাতোলিয়ার পশ্চিম উপকূল ফোকাইয়া নগরী থেকে আসা গ্রিক নাবিকেরা মার্সেই প্রতিষ্ঠা করে এবং এর নাম দেয় মাসালিয়া (Massalia)। ভূমধ্যসাগরের প্রাকৃতিক বন্দর থাকার কারণে তারা এই স্থান বেছে নেয়, যা নিরাপদ আশ্রয় ও সমুদ্রপথে সহজ যোগাযোগের সুবিধা দিত। অল্প সময়ের মধ্যেই মাসালিয়া একটি সমৃদ্ধ বাণিজ্যিক উপনিবেশে পরিণত হয়। এটি গ্রিস, গোল (বর্তমান ফ্রান্স) এবং অন্যান্য অঞ্চলের মধ্যে পণ্য, সংস্কৃতি ও ভাবের বিনিময়ের কেন্দ্র হয়ে ওঠে। গ্রিকরা স্থানীয় কেল্টিক জনগোষ্ঠীর সঙ্গেও যোগাযোগ স্থাপন করেছিল, যা মার্সেইকে ভবিষ্যতে এক গুরুত্বপূর্ণ সামুদ্রিক কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলে।

সকাল সকাল ব্রেকফাস্ট শেষ করে নভোটেলের সামনে থেকেই ট্রামে করে সোজা নামলাম ‘সাদি কারিনত’ স্টেশনে। কিছুক্ষণ পরেই সস্ত্রীক যোগ দিল প্রিয় অনুজপ্রতিম বন্ধু সাগর কান্তি দেব ও অপু ভাই।

 লে পেনিয়ে থেকে শহর দেখা
লে পেনিয়ে থেকে শহর দেখা

আমরা হাঁটা শুরু করলাম পোর্ট ভিউয়ের উল্টো দিকে অর্থাৎ মার্সেই নগরীর পুরোনো প্রাচীন গ্রিক নগরীর অংশে যার নাম লে পেনিয়ে। সরু গলি, খানিক পরে পরে সিঁড়ি আর দুধারের দেয়ালজুড়ে রঙিন গ্রাফিতি। মনে হচ্ছিল জরাময় পৃথিবী ছেড়ে চলে এসেছি ময়দানবের তৈরি কোনো স্বর্গের নগরীতে।

হাঁটতে হাঁটতে মিউজিয়ামের মতো দেখতে এক ভবনের সামনে দাঁড়ালাম। ফোন থেকে গুগল অনুবাদের অ্যাপ্লিকেশন বের করে একটা কাচের তথ্য প্রদর্শনী থেকে জানলাম এটা একটা গ্রিক অ্যাসাইলাম কেন্দ্র, যা বর্তমানে একটি জাদুঘর। প্রাচীন সময়ে সমুদ্রযাত্রা ছিল দিনের পর দিন অনিশ্চয়তার সঙ্গী। হাজারো জীবাণু আর রোগ নিয়ে নাবিকেরা ভিড়ত বন্দরে। তখন তাদের রাখা হতো

লে পেনিয়ের প্রবশেপথ
লে পেনিয়ের প্রবশেপথ
লে পেনিয়ের সরু রাস্তার দুপাশে বাড়ির দেয়ালে গ্রাফিতি
লে পেনিয়ের সরু রাস্তার দুপাশে বাড়ির দেয়ালে গ্রাফিতি

এই অ্যাসাইলামে; বিচ্ছিন্ন, নীরব, কেবল সেরে ওঠার অপেক্ষায়। আজ সেই পুরোনো অ্যাসাইলাম রূপ নিয়েছে এক জাদুঘরে, ইতিহাস আর স্মৃতির ঠাঁই হয়ে। লে  পেনিয়ের প্রাচীন শহরের সরু গলিপথে হাঁটছিলাম আমি। মনে হচ্ছিল, এই পথ আমার মতো আরও অনেকেরও। যেন সময়ের স্রোতে ফিরে যাচ্ছি, সেই গ্রিক নাবিকের মতো অথবা অঞ্জন দত্তের গানের মতো...
‘একটু ভালো করে বাঁচব বলে আর একটু বেশি রোজগার
ছাড়লাম ঘর আমি ছাড়লাম ভালোবাসা, আমার নীলচে পাহাড়।’

ইতিহাসের অলকচূর্ণ

মার্সেই বন্দর– এখান দিয়েই প্রথম এসেছিল গ্রিকরা। সেখানেই দাঁড়িয়ে অন্যতম লেখক মৌনী মুক্তা চক্রবর্তী
মার্সেই বন্দর– এখান দিয়েই প্রথম এসেছিল গ্রিকরা। সেখানেই দাঁড়িয়ে অন্যতম লেখক মৌনী মুক্তা চক্রবর্তী

৬০০ বছরের গ্রিক আধিপত্যের পর খ্রিষ্টপূর্ব ’৪৯ সালে রোমানদের হাতে দখল হয় মার্সেই নগরী, যখন এটি জুলিয়াস সিজারের বিরুদ্ধে পম্পেইয়ের মিত্র ছিল। সংগত কারণে লা পেনিয়ের সিটিও চলে যায় রোমানদের হাতে। এই আকাশছোঁয়া সরু রাস্তা শুরুতে তৈরি হয়েছিল গ্রিকদের হাতে, যা হয়তো পরে পূর্ণতা পেয়েছে রোমান আর্কিটেক্ট ও দাসদের হাতে।

ক্লিওপেট্রার ও বাগানবিলাস
ক্লিওপেট্রার ও বাগানবিলাস

কথিত আছে, সিজার নাকি প্রিন্সেস অব আলেকজান্দ্রিয়া অনিন্দ্যসুন্দরী ক্লিওপেট্রার গভীর প্রেমে পড়েছিলেন। সেই কারণেই হয়তো ঝলমলে বোগেনভিলিয়ার ঝাড়ের নিচে আজকের কোনো শিল্পী তাঁর তুলির টানে ধারণ করেছেন ক্লিওপেট্রার রূপমাধুরী। স্বয়ং মহাযোদ্ধা জুলিয়াস সিজার মজেছিলেন যে রূপে আর আমি কোন ছার…!

লে পেনিয়ের রাস্তায় উন্মুক্ত প্রদর্শনী
লে পেনিয়ের রাস্তায় উন্মুক্ত প্রদর্শনী

হাঁটতে হাঁটতে আরও একটু সামনে যেতেই চোখে পড়ল সারি সারি বারিস্তা আর স্থানীয় শিল্পীদের প্রদর্শনী। এমনি একটা প্রদর্শনীতে ঢুঁ মারলাম আমরা, যেখানে শিল্পী দারুণ সব রঙের ব্যবহার করছেন। রয়েছে প্রাচীন ভারতীয় শিল্পী রাজা রবি বর্মার স্টাইলে আঁকা একটি বঙ্গীয় গ্রামের ছবি।

অনন্য স্থাপত্যের লা ক্যাথেড্রাল মেজর

লা ক্যাথেড্রাল মেজরের সামনে মৌনী
লা ক্যাথেড্রাল মেজরের সামনে মৌনী
লা ক্যাথেড্রাল মেজরের অভ্যন্তর
লা ক্যাথেড্রাল মেজরের অভ্যন্তর

এরপরই চোখ ধাঁধিয়ে ধরা পড়ল লা ক্যাথেড্রাল মেজর। লে পানিয়ে অঞ্চলের কেন্দ্রে অবস্থিত লা ক্যাথেড্রাল মেজর, যা ১৮৫২ সালে নির্মাণ শুরু হয়ে ১৮৯৬ সালে শেষ হয়। এটি রোমানেস্ক ও বাইজেন্টাইন স্থাপত্যশৈলীর দুর্লভ সংমিশ্রণ, যার বিশাল গম্বুজ ও ডোরাকাটা মার্বেল মার্সেইয়ের গৌরব প্রকাশ করে। ক্যাথেড্রালের স্তম্ভে খোদাই করা মাছ ও পালতোলা নৌকা শহরের প্রাচীন সমুদ্রযাত্রা ও মৎস্যজীবী ঐতিহ্যের প্রতীক। সমুদ্রপারের এই শহরকে প্রাচীনকাল থেকে নাবিক ও ব্যবসায়ীরা গড়ে তুলেছে, তাই তাদের অবদানকে স্থাপত্যে অমর করে রাখা হয়েছে। এর অভ্যন্তরের শিল্পকলা, নীরব পরিবেশ ও চিরন্তন সৌন্দর্য দর্শনার্থীদের ইতিহাস, বিশ্বাস ও সামুদ্রিক সংস্কৃতির গভীরতায় নিয়ে যায়।

গ্রিাক নাবিকদের অ্যাসাইলাম
গ্রিাক নাবিকদের অ্যাসাইলাম

ততক্ষণে সূর্য উঠে গেছে মধ্যগগনে আর খিদে তখন তীব্রভাবে জানিয়ে দিচ্ছে নিজের উপস্থিতি। গরম–গরম বার্গার, খাস্তা ফ্রেঞ্চ ফ্রাইজ, তাজা সালাদের সতেজতা আর শেষ পাতে ধোঁয়া ওঠা সুগন্ধে মৌতাত বোনা কফিতে সম্পন্ন হলো মধ্যাহ্নভোজন পর্ব। আহার শেষে শরীরটাকে যেন কিছুটা ভারী মনে হচ্ছিল, তাই খানিক বিশ্রাম নিয়ে আবার প্রস্তুত হলাম নতুন যাত্রার জন্য। গন্তব্য, ভূমধ্যসাগরের অপরূপ সৈকত।

স্মৃতির ক্যানভাস সূর্যাস্তের কবিতা

ভূমধ্যসাগরে সূর্যাস্ত— রোদে পড়ন্ত বেলার আলোয় ভেসে যাচ্ছে মার্সেই
ভূমধ্যসাগরে সূর্যাস্ত— রোদে পড়ন্ত বেলার আলোয় ভেসে যাচ্ছে মার্সেই

মিনিট বিশেকের বাস জার্নি শেষে চক্ষু এবং মনকে তীব্র আন্দোলিত করে ধরা দিল নীলক্ষা আকাশ নীল, চারপাশে সুউচ্চ পাহাড়, নিচে জনপদ, লোকালয় আর এর পাশ ঘেঁষেই ভূমধ্যসাগরের প্রাডা সৈকত। সামনে নীল জলরাশি, মাথার ওপর প্রখর রোদ, চারপাশে নোনতা হাওয়া আর পাশে প্রিয় বন্ধু-স্বজনদের হাসি, এ এক প্রকাশহীন পরম অনুভূতি। সেই স্বচ্ছ নীল জলে ডুব, সাঁতার আর তরঙ্গের সঙ্গে খেলা যেন মনে করিয়ে দিল দেওরভাগা নদীর কূলে কৈশোরের দুরন্ত দিনগুলোর কথা। বন্ধুদের সঙ্গে প্রাণভরে আড্ডা, হাসি আর আনন্দের উচ্ছ্বাসে মুহূর্তগুলো রূপ নিল এক অমূল্য স্মৃতিতে।

বন্ধুদের সঙ্গে ভূমধ্যসাগরের তীরে
বন্ধুদের সঙ্গে ভূমধ্যসাগরের তীরে

এদিকে দুপুর গড়িয়ে বিকেল হলো। আকাশ যেন রঙের খেলায় মাতোয়ারা। পশ্চিম গগনে সূর্য আস্তে আস্তে হেলে পড়ছে, তার সোনালি আভা নীল সাগরের জলরাশিকে পরিণত করছে রূপকথার ক্যানভাসে। ঢেউয়ের ভাঁজে ভাঁজে ছড়িয়ে পড়া সেই আলোর ঝলকানি যেন কবির কলমে লেখা কোনো চিরন্তন কবিতার পঙ্‌ক্তি। মনে হচ্ছিল, সাগরের বুকে সূর্যের আঁচড়েই রবীন্দ্রনাথ রচনা করে যাচ্ছেন জীবনের এক অপূর্ব সিম্ফনি:
        নিশ্বাস ফেলি রহে আঁখি মেলি,
               কহে ম্রিয়মাণ মন,
        ‘শশী নাহি চাই যদি ফিরে পাই
                আর বার এ জীবন।’

সূর্য ডোবার পরেও লাল আভা রয়ে গেছে গোটা পশ্চিম আকাশজুড়ে। ততক্ষণে রাত ১০টা।  সংবিৎ ফিরে পেলাম মৌনির ডাকে। এবার উঠতে হবে। গন্তব্য অপু ভাইয়ের বুটিক রেস্তোরাঁ শিমলাতে। যেখানে রাতের ভোজনপর্ব শেষে গুলজার হবে সংগীতের আসর।

মার্সাইয়ে সূর্যাস্ত
মার্সাইয়ে সূর্যাস্ত

আসলে মার্সেই কেবল ফ্রান্সের প্রাচীনতম শহর নয়; ইতিহাস, শিল্প, আধ্যাত্মিকতা ও মানবিক অভিজ্ঞতার এক অনবদ্য বুনন। গ্রিকদের হাতে জন্ম নেওয়া মাসালিয়া প্রমাণ করে যে সমুদ্রপথ শুধু বাণিজ্যের নয়, সংস্কৃতিরও সেতুবন্ধন। সেই ধারাবাহিকতা আজও জীবন্ত লে পানিয়ে অঞ্চলের আঁকাবাঁকা গলি আর সময়ের চিহ্ন বহন করা পাথরে, যেখানে হাঁটতে হাঁটতে মনে হয়, প্রাচীন নাবিকদের পদচারণ আজও প্রতিধ্বনিত হচ্ছে। সরু পথের আরাম, রঙিন স্ট্রিট আর্ট ও চিরন্তন মোহ এক সৃজনশীল আত্মাকে মুহূর্তেই মুগ্ধ করে। আমার কাছে মার্সেইকে মনে হয় জীবন্ত ইতিহাসের এক ক্যানভাস, যেখানে প্রতিটি গলি, প্রতিটি ঢেউ, প্রতিটি সূর্যাস্ত কবিতার মতো বলে চলে শহরের নিজস্ব গল্প।

লেখক: ডক্টর অসীম চক্রবর্তী: শিক্ষক ও গবেষক (আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স ও বায়ো-মেডিকেল ইনফরমেটিক্স) এংলিয়া রাস্কিন ইউনিভার্সিটি, কেমব্রিজ।

মৌনী মুক্তা চক্রবর্তী: একজন ব্রিটিশ-বাংলাদেশী চিত্রশিল্পী ও মুক্ত আর্টস সিআইসির লিড আর্টিস্ট।

ছবি: লেখক

প্রকাশ: ২৯ আগস্ট ২০২৫, ০৬: ০০
বিজ্ঞাপন