পিসিওডি হলো পলিসিস্টিক ওভারিয়ান ডিজিজ। আর পিসিওএস হলো পলিসিস্টিক ওভারিয়ান সিনড্রম। এই দুটি রোগে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যাও কম নয়। বর্তমানে প্রতি ৪ জন মহিলার মধ্যে ১ জন এই দুই রোগের শিকার।
এই দুটি রোগের উপসর্গ বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই এক হলেও কারণ কিন্তু আলাদা। পিসিওডিতে বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই এটি দেখা যায়, যা প্রধানত হরমোনাল অসামঞ্জস্যতার জন্য হয়। এই অবস্থায় দুটি ওভারি থেকে প্রচুর অপরিণত ডিম্বাণু নিঃসৃত হয়, যা কিছু সময় পর সিস্টে পরিণত হয়। আরেকটি পিসিওএস হলো একটি এন্ডোক্রাইন সিস্টেম ডিজঅর্ডার। এ অবস্থায় ওভারিতে প্রচুর এন্ডোজেন তৈরি হয়, যা ডিম্বাণু তৈরি ও নিঃসরণে বাধা সৃষ্টি করে। এই ডিম্বাণুগুলোর কয়েকটি তরল পূর্ণ সিস্টে পরিণত হয়ে ওভারিতে জমা হয় ও একে ফুলিয়ে দেয়।
চিকিৎসকদের মতে, পিসিওডির তুলনায় পিসিওএস অনেক বেশি জটিল রোগ এবং এটি শরীরে বেশি প্রভাব ফেলে। তবে স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস ও শরীরচর্চার মাধ্যমে পিসিওডিকে গোড়া থেকে নির্মূল করা সম্ভব। কিন্তু পিসিওএসের ক্ষেত্রে শুধু স্বাস্থ্যকর লাইফস্টাইল মেনে চললেই হয় না, এ ক্ষেত্রে চিকিৎসাধীন থাকতে হয়। এ ছাড়া ডায়েট কন্ট্রোল, ব্যায়াম ও ওজন নিয়ন্ত্রণের ওপর গুরুত্ব দিয়ে পিসিওএস দূর করা সম্ভব। সবুজ শাকসবজি খাওয়া, ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, চর্বিতে কোলেস্টেরলের মাত্রা কমালে পিসিওএস দূর হওয়ার সম্ভাবনা বাড়ে।
পিসিওডি বা পিসিওএস থাকলে গর্ভধারণে সমস্যা হয়, এটাও অর্ধসত্য। সাধারণত পিসিওডির ক্ষেত্রে গর্ভধারণে তেমন কোনো সমস্যা হয় না। কিন্তু পিসিওএসের ক্ষেত্রে বিষয়টা একটু জটিল। এই রোগ থাকলে গর্ভধারণেও যেমন সমস্যা তৈরি হয়, তেমনি গর্ভাবস্থায়ও নানা ঝুঁকি থাকে। গর্ভপাতের ঝুঁকি পিসিওএসে অনেক বেশি।
ছবি: পেকজেলসডটকম ও ইনস্টাগ্রাম