প্রচন্ড গরম ও আর্দ্র আবহাওয়া এখন। ঘামের সঙ্গে বেরিয়ে যাচ্ছে পানি আর শরীরের মিনারেল। ক্লান্তিতে শরীর ছেড়ে আসছে। অতিরিক্ত গরমে অসুস্থ হয়ে পড়ার মতো পরিস্থিতি হচ্ছে যদি আপনি বেশিক্ষণ বাইরে থাকেন। এ সময় মাথা ঘুরে পড়ে যাওয়ার মতো ঘটনাও ঘটছে। এমন হলে ডাক্তারের কাছে যাওয়ার আগে কিছু ঘরোয়া টোটকা ও সাবধানতা অবলবন করে নিরাপদ থাকুন। কিছুটা আরামও মিলবে এতে।
১. তাৎক্ষনিক পদক্ষেপ
যখন মাথা ঘুরে ওঠে, সঙ্গে সঙ্গে বসে যান বা শুয়ে পড়ুন যাতে পড়ে যাওয়ার ঝুঁকি এড়ানো যায়। পড়ে গিয়ে আঘাত পেলে হতে পারে আরেক বিপত্তি
২. বিশ্রাম ও নিরিবিলি পরিবেশ
একটি অন্ধকার ও শান্ত ঘরে চুপচাপ শুয়ে থাকলে মাথা ঘোরার অনুভূতি কমে। ঘুম কম হলেও এমন হয়।
৩.ধীরে চলাফেরা
হঠাৎ করে মাথা বা শরীর নাড়ানো থেকে বিরত থাকুন, বিশেষ করে উঠে দাঁড়ানোর সময় বা দিক পরিবর্তনের সময়।
৪. পানীয় ও খাবার
পর্যাপ্ত পানি পান করুন, কারণ পানিশূন্যতায় মাথা ঘোরাতে পারে। স্যালাইন, ডাবের পানি, ঘরে বানানো অ্যালোভেরা বা তোখমার শরবত ইত্যাদি আরাম দেবে। তবে স্যালাইন বা ডাবের পানি খাওয়ার ক্ষেত্রে উচ্চ রক্তচাপ ও কিডনি রোগীদের ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে।
৫. ক্যাফেইন আর অতিরিক্ত চিনি ও লবণ
এই জাতীয় খাবার খাবেন না। এগুলো উপসর্গ বাড়িয়ে দিতে পারে।
৬. চিন্তা ও দুশ্চিন্তা কমান
গভীর শ্বাস নেওয়া, ধ্যান (মেডিটেশন) বা অন্য রিল্যাক্সেশন কৌশল অনুসরণ করুন, কারণ মানসিক চাপও মাথা ঘোরার অনুভূতি বাড়াতে পারে।
৭. ঘুমানোর ভঙ্গি
ঘুমানোর সময় মাথা একটু উঁচু করে (বালিশ দিয়ে) ঘুমান। এতে মাথা ঘোরা কিছুটা কমে যেতে পারে।
৮. ওষুধ
যদি বমি ভাব থাকে, তাহলে সাধারণ ওভার দ্য কাউন্টার ওষুধ কিছুটা উপকার দিতে পারে। তবে এগুলো খেলে ঝিমুনি আসতে পারে।
কখন ডাক্তার দেখাবেন
মাথা ঘোরানো যদি ঘন ঘন বা তীব্র হয়, তাহলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
এর সঙ্গে যদি তীব্র মাথাব্যথা, মাত্রাতিরিক্ত ক্লান্তি, জ্বর, চোখে সমস্যা, বা কান বন্ধ হয়ে যাওয়ার মতো কিছু ঘটে, তখন দ্রুত চিকিৎসা নিন।
মাথায় আঘাত পাওয়ার পর মাথা ঘোরানো শুরু হলেও জরুরি চিকিৎসা প্রয়োজন।
সূত্র: ভেরি ওয়েল ফিট
ছবি: ইন্সটাগ্রাম