পেটের মেদ কমানো বেশ কঠিন। তাই কিছু পন্থা অবলম্বন করলে ভালো ফল পাওয়া যাবে। বেশি সময় ধরে বসে কাজ করলে পেটের মেদ জমে অতি দ্রুত। এ থেকে পরিত্রাণের উপায় নিয়ে থাকল বেশ কিছু ব্যায়াম ও পরামর্শ।
শরীরের বিভিন্ন অংশের মেদের মধ্যে পেটের মেদ সবচেয়ে ক্ষতিকর। কাজের কারণেই বেশির ভাগ সময় চেয়ারে বসে থাকতে হয়। তাঁদের জন্য রয়েছে বেশ কিছু ব্যায়াম।
চেয়ারে সোজা হয়ে বসুন, এবার দুই হাত মাথার পেছনে নিয়ে দুই হাতের আঙুল পরস্পরের সঙ্গে আলিঙ্গনাবদ্ধ করুন। এবার দুই হাতের কনুই বুকের কাছে নেওয়ার চেষ্টা করুন; এভাবে ১৫ বার করে ৩ সেটে পুনরাবৃত্তি করুন। অবশ্যই খেয়াল রাখবেন, ব্যায়ামটি করার সময় যেন আপনার পেশিতে প্রভাব ফেলে অর্থাৎ সংকুচিত ও প্রসারিত হয়। নিয়মিত এই আসন করলে পাবেন দারুণ ফল।
পেটের মেদ থেকে পরিত্রাণে এ আসন খুবই কার্যকর। কেবল পেটের মেদ নয়, অবসাদ দূর করতে দারুণ সহায়ক এ আসন। প্রথমে আরামদায়ক কোনো জায়গায় বসে পড়ুন। দুই পা সামনের দিকে ছড়িয়ে দিন, এবার দুই হাঁটু ভাঁজ করে দুই পাশে দিন। এক পায়ের পাতার সঙ্গে আরেক পায়ের পাতা মিলিয়ে নিন। এতে করে তলপেট ও উভয় ঊরুর ভেতরের অংশে চাপ অনুভব করবেন। এবার দুই হাত দিয়ে পায়ের পাতা হালকা চাপ দিয়ে ধরুন। এবার প্রজাপতি যেভাবে ডানা নাড়ে, সেভাবে পা দুটিকে নাড়াতে থাকুন। অবশ্যই পিঠ সোজা রাখবেন। দেখবেন নিতম্বেও হালকা চাপ অনুভব করবেন।
চেয়ারে বসার সময় অবশ্যই পিঠ সোজা করে বসুন, পিঠ বাঁকা করে বসবেন না। গবেষণায় দেখা গেছে, যাঁরা চেয়ারে সোজা হয়ে বসে কাজ করেন, তাঁদের ৩৫০ ক্যালরি বেশি বার্ন হয়।
কাজের কারণে বেশির ভাগ সময় বসে থাকতে হলে পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি পান করা আপনার জন্য সুফল আনবে। কারণ, এতে আপনার হজম ভালো হবে ও মেটাবলিজম হবে ত্বরান্বিত। পেটের চর্বি কমাতে ফ্যাট মলিকিউল ভাঙতে পানি অত্যন্ত প্রয়োজনীয়, তাই পানি বেশি পান করলে তা পেটের মেদ কমাতে সাহায্য করে।
অনেকক্ষণ বসে থেকে কাজ করে খুব একঘেয়ে লাগছে? করতে পারেন মজার এই ব্যায়াম। চেয়ারে বসে পা শূন্যে দিয়ে, পায়ের আঙুলের সাহায্যে বাতাসে অদৃশ্যভাবে বিভিন্ন ইংরেজি অক্ষর লেখার চেষ্টা করুন। এই ব্যায়াম পেটের মেদ কমাতে সাহায্য করবে।
চিকিৎসাবিজ্ঞানের মতে, অবসাদ বা বিষণ্নতার কারণে প্রচুর পরিমাণ কর্টিসল নিঃসৃত হয়, যা পেটের চর্বি জমাকে প্রভাবিত করে। নিয়মিত প্রাণায়াম বা শ্বাসপ্রশ্বাসের ব্যায়াম করলে এ থেকে পরিত্রাণ পাওয়া সম্ভব, যা চেয়ারে বসে সহজেই করা যায়।
যদি ভাবেন, এই কটা আসন আর নিয়ম মানলেই পেটের চর্বি কমবে, তাহলে সেটা ভুল। এর সঙ্গে নিয়মমাফিক ঘুম ও স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস ও সঠিক সময়ে খাবার গ্রহণ খুবই গুরত্বপূর্ণ।
ছবি: পেকজেলসডটকম