বিশ্ব মানসিক স্বাস্থ্য দিবস: মনের সুস্থতায় যে ৮টি কাজ জরুরি
শেয়ার করুন
ফলো করুন

অনেক সময় আমরা কাজ বা একঘেয়েমিতে নিষ্প্রভ হয়ে পড়ি। এতে আমাদের মানসিক স্বাস্থ্যের পাশাপাশি শারীরিক স্বাস্থ্যও ক্ষতিগ্রস্ত হয়। মানসিকভাবে কেউ বেশি দুর্বল বোধ করলে দৈনন্দিন কাজেও এর ক্ষতিকর প্রভাব পড়ে। এ ধরনের পরিস্থিতিতে আমরা এতটাই ভেঙে পড়ি যে কী করব, তা বুঝে ওঠা সম্ভব হয় না। তা ছাড়া পৃথিবীতে এখন মানসিক স্বাস্থ্য ঠিক রাখা একটি বড় চ্যালেঞ্জ। এজন্য আপনি করতে পারেন এমন ৮টি উপায় রইলো।

বিজ্ঞাপন

১.আপনি যেমন, ঠিক সেভাবেই নিজেকে মেনে নিন

আমরা সবাই আলাদা এবং এটাই আমাদের শক্তি। আপনি কে, সেটি নিজেকেই চিনে নিতে হবে। নিজের সব বাহ্যিক, অভ্যন্তরীণ বৈশিষ্ট্যসহ নিজেকে গ্রহণ করা খুব দরকারি। পদক্ষেপটি সুস্থ মনের বিকাশের দিকে এগিয়ে যেতে জীবনের গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক হতে পারে।

২.অনুভূতি প্রকাশ করুন

অনুভূতির স্বতঃস্ফূর্ত প্রকাশ আপনার মানসিক স্বাস্থ্যের যত্ন নেওয়ার ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হতে পারে। এটি নিজেকে গুরুত্ব দেওয়া এবং নিজের অনুভূতি আর আবেগকে মূল্য দেওয়ার ধাপটি দিয়েই শুরু হয়।

৩.নিজের যত্ন নিন

নিজের যত্নকে অগ্রাধিকার দিন। সারাদিন নিজের সবকিছু নিয়ে পড়ে থাকার কথা বলা হচ্ছেনা এখানে। এগুলো যেকোনো ছোটো কাজ বা অভ্যাস হতে পারে, যা আপনাকে আনন্দ দেয়।

বিজ্ঞাপন

৪.না বলতে শিখুন

যে প্রতিশ্রুতিগুলো রক্ষা করার জন্য আপনার কাছে সময় নেই বা যে কাজগুলো করতে গিয়ে আপনি চরম স্ট্রেসে পড়বেন অযথা, সেসব প্রতিশ্রুতি বা কাজের ক্ষেত্রে না বলাই শ্রেয়। নিজের কথা ভাবা আর অতিরিক্ত কমিটমেন্ট থেকে দূরত্ব বজায় রাখা মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।

৫.বিরতি নিন

সবার আগে নিজের মানসিক স্বাস্থ্যের যত্ন নেওয়া জরুরি। তাই মাঝেমধ্যে নিজেকে বাঁচাতে বিরতি নিতে হবে। ব্যস্ত সময়সূচি থেকে কয়েক দিনের ছুটি নিয়ে ঘুরে আসা যায় কোথাও। নিজের মনকে আরাম দেওয়া জন্য মাঝেমধ্যে ইন্টারনেট কিংবা সম্ভব হলে ফোন থেকে কিছুদিন দূরে থাকলে ভালো। একেবারেই নিজের সঙ্গে নিজের বোঝাপড়াটা মাঝেমধ্যে জীবনে অতি গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে।

৬.প্রকৃতির কাছে যাওয়া

প্রকৃতি নিরাময় করতে পারে না, এমন কিছুই নেই। একঘেয়েমি থেকে বিরতি নিতে প্রকৃতির কাছে যাওয়া যায়। প্রতিদিন অল্প কিছু সময় বারান্দায় থাকা গাছগুলোর সঙ্গে কাটানো বা গাছপালা-পাখি আছে, এমন কোথাও গিয়ে কিছুক্ষণ থাকতে পারলে মন উৎফুল্ল থাকবে।

৭.সৃজনশীল কাজে মন দেওয়া

সবার ভেতরে থাকা শিল্পীসত্তাকে সব সময় বাঁচিয়ে রাখতে হবে। মন খারাপ থাকলে কিংবা খারাপ সময়ের মধ্যে থাকলে সৃজনশীল কাজের দিকে মন দেওয়া যায়। নিজের অনেক ভালো লাগার বিষয় সময়ের অভাবে করা হয়ে ওঠে না। এসব সময়ে সেটা করা যেতে পারে। মোটকথা, কোনো সৃষ্টিশীল কাজে নিজেকে ব্যস্ত রাখলে মন ভালো থাকবে।

৮.নিজেকে ক্ষমা করুন

মানুষ মাত্রই ভুল করে। জীবনের পথে চলার ক্ষেত্রে ছোট বা বড় সবধরণের ভুল সবাই করি আমরা। আপনার অতীতের কোনো কাজের জন্য নিজেকে প্রতিনিয়ত দোষারোপ করবেননা। বরং এর থেকে শিক্ষা নিয়ে সামনে এগিয়ে যান। আপনার মানসিক স্বাস্থ্যের যত্ন নেওয়া আপনার শারীরিক সুস্থতা নিশ্চিত করার মতোই অপরিহার্য। এ কাজগুলো করার মাধ্যমে আপনি মানসিকভাবে অনেকটা ভালো থাকতে পারবেন যদি সবসময় এগুলো অনুশীলন করেন।

ছবি: হাল ফ্যাশন ও পেকজেলসডটকম

প্রকাশ: ১০ অক্টোবর ২০২৪, ০১: ০০
বিজ্ঞাপন