তরুণেরাও এখন আক্রান্ত হচ্ছেন হাড়ের এই রোগে
শেয়ার করুন
ফলো করুন

সম্প্রতি একটি গবেষণায় দেখা গেছে, ১৮ থেকে ৩৪ বছর বয়সী প্রায় এক লাখ মানুষের মধ্যে আটজনই এই রোগে আক্রান্ত। মূলত জীবনযাত্রার পরিবর্তনের জন্য যুবসমাজও এর শিকার হচ্ছে। রিউমাটয়েড আর্থ্রাইটিস কেবল জয়েন্টে ব্যথার মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়। সময়মতো চিকিৎসা না করা হলে এটি শরীরের জয়েন্ট ও হাড়ের ক্ষতি করার পাশাপাশি চোখ, ত্বক, ফুসফুসের মতো অন্যান্য অঙ্গকেও প্রভাবিত করতে পারে।

রিউমাটয়েড আর্থ্রাইটিস একধরনের বাতরোগ। শরীরের ছোট ছোট অস্থি সন্ধিকে বেশি আক্রান্ত করে বিধায় রিউমাটয়েড আর্থ্রাইটিসকে গিঁটবাতও বলা হয়ে থাকে।
রিউমাটয়েড আর্থ্রাইটিস অটোইমিউন ডিজিজ। অটোইমিউন ডিজিজের কারণে শরীরের ইমিউনিটি শরীরের বিরুদ্ধে কাজ করে। বিশেষ করে যখন অস্থি সন্ধিগুলোর বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে, তখন এ ধরনের বাতরোগ হয়ে থাকে। রিউমাটয়েড আর্থ্রাইটিস হওয়ার জন্য নির্দিষ্টভাবে কোনো কারণকে এককভাবে দায়ী করা যায় না। তবে বংশগত বা জেনেটিক কারণে রিউমাটয়েড আর্থ্রাইটিস হতে পারে বলে মনে করা হয়ে থাকে।

বিজ্ঞাপন

রিউমাটয়েড আর্থ্রাইটিসের (RA) লক্ষণ ও উপসর্গ:

* ক্রমাগত ব্যথা এবং ফোলাভাব, প্রায়ই একাধিক জয়েন্টগুলোকে প্রভাবিত করে, বিশেষ করে হাত ও পায়ের মতো ছোট জয়েন্টগুলো।

* জয়েন্টগুলোতে শক্ত হওয়া, বিশেষ করে সকালে বা দীর্ঘ সময় বিশ্রাম নেওয়ার পর ৩০ মিনিটের বেশি সময় ধরে স্থায়ী হয়।

* অপ্রতিরোধ্য ক্লান্তি ও সাধারণ অস্বস্তির অনুভূতি, যা দৈনন্দিন কাজকর্মকে উল্লেখযোগ্যভাবে প্রভাবিত করতে পারে।

* সময়ের সঙ্গে সঙ্গে রিউমাটয়েড আর্থ্রাইটিস জয়েন্টের বিকৃতি বা জয়েন্টের কার্যকারিতা হারাতে পারে।

* রিউমাটয়েড আর্থ্রাইটিসের কিছু পদ্ধতিগত লক্ষণের মধ্যে রয়েছে জ্বর, ওজন কমা ইত্যাদি।

বিজ্ঞাপন

চিকিৎসা

রিউমাটয়েড আর্থ্রাইটিসের ক্ষেত্রে নন ফার্মাকোলজিক্যাল ও ফার্মাকোলজিক্যাল—এই দুভাবে চিকিৎসা দেওয়া হয়।

নন–ফার্মাকোলজিক্যাল বা ওষুধ ছাড়া চিকিৎসা:

রিউমাটয়েড আর্থ্রাইটিসে আক্রান্ত রোগীকে রোগ সম্পর্কে ধারণা দেওয়া হয়। এই রোগ নিরাময়যোগ্য নয়, তবে নিয়ন্ত্রণযোগ্য। জীবনযাপন পদ্ধতিতে পরিবর্তন আনা, ওজন বেশি থাকলে ওজন কমানো, ধূমপান না করা, ধূমপানের অভ্যাস থাকলে তা পরিহার করা—এই বিষয়গুলো মেনে চলার পরামর্শ দেওয়া হয় রোগীকে।

ফার্মাকোলজিক্যাল বা ওষুধসহ চিকিৎসা:

ফার্মাকোলজিক্যাল ব্যবস্থাপনার মধ্যে ওষুধ দুই ভাগে ভাগ করা হয়। একটি হচ্ছে ব্যথানাশক ওষুধ, যেটি সামান্য সময়ের জন্য দেওয়া হয় রোগীকে। অপরটি হচ্ছে বাত নিয়ন্ত্রণকারী ওষুধ, যা দীর্ঘদিন, এমনকি সারা জীবন সেবন করতে হতে পারে।

ছবি: পেকজেলসডটকম ও ইনস্টাগ্রাম

প্রকাশ: ০৯ অক্টোবর ২০২৪, ০১: ০০
বিজ্ঞাপন