যখন আপনি গভীর ঘুমে থাকেন, তখন শরীরের প্রতিটি কোষ নতুন শক্তি পায়।
ভালো ঘুম মানে-
* স্ট্রেস হরমোন (করটিসল) কমে যায়
* হৃৎস্পন্দন ও রক্তচাপ স্বাভাবিক হয়
* ইমিউন সিস্টেম শক্তিশালী হয়
* সকালে ঘুম ভাঙে সতেজ, হাসিখুশি মনে
ফলে, দীর্ঘ মেয়াদে সুস্থ শরীর, প্রশান্ত মন আর এটাই দীর্ঘ জীবনের গোপন রহস্য।
এটি এমন একধরনের বালিশ, যেটি ঘুমের সময় বুকের কাছে বা শরীরের সঙ্গে জড়িয়ে রাখা হয়। বালিশটি দেয় এক ধরনের উষ্ণতা ও নিরাপত্তার অনুভূতি, যা শরীর ও মন - দুইকেই শান্ত করে।
একাকিত্ব বা উদ্বেগে ভোগা মানুষদের জন্য এটি সত্যিই আশ্চর্য কাজ করে। গবেষণায় দেখা গেছে, কোলবালিশ জড়িয়ে ঘুমালে শরীরে ডোপামিন নামে এক প্রশান্তিদায়ক হরমোন নিঃসৃত হয়।
যা আপনাকে দেয় মিষ্টি ঘুম আর হালকা সুখের অনুভূতি।
* এটি শরীরের ভঙ্গি (posture) ভালো রাখে
* ঘাড় ও পিঠের ব্যথা কমায়
* শরীরের চাপের জায়গাগুলোতে ভারসাম্য আনে। ফলে রক্ত চলাচল ভালো হয়
* পাশ ফিরে ঘুমানো মানুষদের জন্য এটি একদম আদর্শ অনুষঙ্গ। হাত-পা অবশ হয়ে যায় না
* বুকে বালিশ রাখলে শ্বাসপ্রশ্বাস স্বাভাবিক থাকে এবং নাক ডাকার প্রবণতাও কমে
আর সবচেয়ে বড় সুবিধা? আপনি একা নন, সেই অনুভূতিটাই দেয় এই ছোট্ট বালিশটি।
গর্ভাবস্থায় বিশেষ ধরনের হাগিং পিলো ব্যবহার করলে পেট, কোমর ও পিঠে অতিরিক্ত সাপোর্ট পাওয়া যায়। ফলে ঘুম হয় আরামদায়ক, ব্যথা কমে, আর সকালে ক্লান্তি থাকে না।
বাজারে জনপ্রিয় কিছু হাগিং পিলো
স্নুগান পিলো:
অ্যান্টি-অ্যালার্জেন মাইক্রোফাইবার ভর্তি এই বালিশ ঘাড়ের সাপোর্টের জন্য দারুণ। উচ্চতা নিজে থেকে ঠিক করা যায়, তাই আরামও নিজের মতো করে পাওয়া যায়।
ক্লাউড পিলো:
নরম, তুলার মতো হালকা অনুভূতি। যারা নরম ফোলানো বালিশ পছন্দ করেন, তাদের জন্য একদম পারফেক্ট।
ক্লাউড পিলো:
শ্রেডেড মেমরি ফোম দিয়ে তৈরি এই বালিশ মাথা ও ঘাড়ের আকৃতি অনুযায়ী মানিয়ে নেয়, ফলে ঘুমের সময় শরীরের প্রাকৃতিক বাঁক ঠিক থাকে। যারা নানা ধরনের ব্যথায় আক্রান্ত তারা এই ধরনের বালিশ ব্যবহার করতে পারেন।
ঘুম শুধু শরীরের বিশ্রামের সময় নয়। এটি মন ও আত্মার রিসেট বোতাম। তাই ঘুমের অনুষঙ্গগুলোও বেশ জরুরি, যেমন হাগিং পিলো জড়িয়ে ঘুমানো, এনে দিতে পারে প্রশান্তি। তাই আজ থেকেই নিজের ঘুমকে দিন একটু ভালোবাসা। কারণ, আরামদায়ক ঘুম মানেই দীর্ঘ জীবনের শুরু।
সূত্র: হেলথ লাইন
ছবি: এআই