কলায় রয়েছে প্রাকৃতিক চিনি, কার্বোহাইড্রেট, পটাশিয়াম ও ফাইবার। যা শরীরে জোগায় শক্তি এবং মাংসপেশির কার্যক্ষমতা বাড়ায়। কিন্তু শুধু কলা খেলেই কি হবে কীভাবে খাবেন বা অন্য কী খাবারের সঙ্গে খাওয়া যায় সে বিষয়েও জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।
দ্রুত শক্তি দেয়
ওয়ার্কআউটের ৩০ মিনিট আগে একটি কলা খেলেই মিলবে শক্তির জোগান। এতে থাকা গ্লুকোজ, ফ্রুকটোজ ও সুক্রোজ ধীরে ধীরে শক্তিতে রূপ নেয় এবং শরীরকে দীর্ঘক্ষণ চাঙা রাখে।
পটাশিয়াম ও কার্বে ভরপুর
কলায় প্রচুর পটাশিয়াম থাকে যা স্নায়ুর কাজ, পেশির সংকোচন এবং রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। এতে থাকা কার্বস শরীরের প্রধান জ্বালানির উৎস গ্লুকোজে রূপ নেয়।
সহজে হজম হয়
কম চর্বিযুক্ত ও সহজপাচ্য হওয়ায় কলা দ্রুত হজম হয়। এতে থাকা ফাইবার রক্তে শর্করার শোষণ ধীরে ঘটায়, ফলে ওয়ার্কআউটের সময় শক্তির স্থিতি বজায় থাকে।
রক্তে শর্করার ভারসাম্য রক্ষা করে
কলার গ্লাইসেমিক ইনডেক্স মাঝারি, অর্থাৎ এটি ধীরে ধীরে রক্তে চিনি ছেড়ে দেয়। তাই এনার্জি ধরে রাখে।
মন ও মেজাজ ভালো রাখে
কলায় থাকে ট্রিপটোফ্যান, যা ঘুম ও মেজাজ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। এটি ওয়ার্কআউটের সময় মানসিক ফোকাস ও ইতিবাচক অনুভূতি বজায় রাখে।
বিশেষজ্ঞরা বলেন, শুধু কলা নয়, বরং কলার সঙ্গে অন্য পুষ্টিকর খাবার যুক্ত করাই ভালো। যেমন ওটস, দই, স্মুদি, প্রোটিন বার বা ডিম। এতে মেলে আরও ভারসাম্যপূর্ণ পুষ্টি এবং একঘেয়েমিও দূর হয়।
১. শুধু কলা
ওয়ার্কআউটের ২০-৩০ মিনিট আগে ১-২টি কলা খেতে পারেন। এটি সবচেয়ে সহজ ও দ্রুত এনার্জি জোগায়।
২. কলার স্মুদি
একটি কলা, দুধ বা দই দিয়ে ব্লেন্ড করুন। তৈরি হয়ে যাবে হালকা, পুষ্টিকর স্মুদি, যা শরীরে জোগাবে শক্তি।
৩. কলা ও ওটস
ওটসের পাত্রে কলা স্লাইস করে যোগ করুন, এতে বাড়বে স্বাদ ও শক্তি।
৪. কলা ও বাদামের বাটার
একটি কলার সঙ্গে ১ চামচ পিনাট বাটার বা আলমন্ড বাটার খান। এতে মিলবে প্রোটিন ও কার্বসের ভারসাম্য।
৫. কলা ও গ্রিক ইয়োগার্ট
একটি কলা কুচিয়ে গ্রিক ইয়োগার্টে মিশিয়ে খেতে পারেন। এটি প্রোটিন ও কার্ব-সমৃদ্ধ একটি ক্রিমি, হালকা খাবার।
ওয়ার্কআউটের আগে কি খাবেন এ নিয়ে আর ভাবনার দরকার নেই। হাতের কাছে থাকা কলা হতে পারে সহজ সমাধান। তবে একঘেয়ে না হয়ে, রেসিপি বদলে বদলে খাওয়ার চেষ্টা করুন।
ছবি: পেকজেলসডটকম