ফ্রিজের ভাত গরম করে খাওয়ার বিষয়টি নিয়ে অনেকেই দ্বিধায় থাকে। সঠিকভাবে সংরক্ষণ না করলে এতে ব্যাসিলাস সিরিয়াস ব্যাকটেরিয়া জন্মাতে পারে, যা খাবারকে বিষাক্ত করে বমি, ডায়রিয়া বা ফুড পয়জনিংয়ের ঝুঁকি বাড়ায়। তাই রান্নার এক ঘণ্টার মধ্যে ভাত ঠান্ডা করে ফ্রিজে রাখতে হবে এবং এক দিনের বেশি সংরক্ষণ করা উচিত নয়। তবে গবেষণা বলছে, এভাবে রাখা ভাত গরম করলে গ্লাইসেমিক ইনডেক্স কমে যায়, যা ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে সহায়ক। একই সঙ্গে এতে রেজিস্ট্যান্ট স্টার্চ তৈরি হয়, যা ওজন নিয়ন্ত্রণেও কার্যকর। তাই সঠিক নিয়মে সংরক্ষণ করলে ফ্রিজের ভাত হতে পারে নিরাপদ ও উপকারী।
রেফ্রিজারেটরে রাখা ভাত পরে গরম করে খেলে এর গ্লাইসেমিক ইনডেক্স (GI) কমে যায়। সদ্য রান্না করা ভাতের গ্লাইসেমিক ইনডেক্স প্রায় ৭৮ হলেও ফ্রিজে রেখে পরে গরম করলে তা নেমে আসে ৫৪-এ। এর ফলে ভাত খাওয়ার পর রক্তে শর্করার মাত্রা দ্রুত বাড়ে না। তাই ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য এভাবে গরম করা ভাত তুলনামূলকভাবে নিরাপদ।
ফ্রিজে রাখা ভাত আবার গরম করলে এতে রেজিস্ট্যান্ট স্টার্চ তৈরি হয়। এই স্টার্চ শরীরে ধীরে শোষিত হয়, ফলে হুট করে ওজন বাড়িয়ে দেয় না বা গ্লুকোজ স্পাইক ঘটায় না। যারা ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে চান, তাঁদের জন্যও এটি উপকারী।
ভাত রান্নার পর দীর্ঘ সময় যদি ঘরের তাপমাত্রায় রেখে দেওয়া হয়, তখন ভাতের মধ্যে থাকা ব্যাসিলাস সিরিয়াস ব্যাকটেরিয়ার স্পোর থেকে বিষাক্ত ব্যাকটেরিয়া তৈরি হতে পারে। পরে সেই ভাত আবার গরম করলে এগুলো বিষাক্ত হয়ে যায়। এর ফলে এই ভাত খেলে বমি, ডায়রিয়া ও পেট খারাপের মতো সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাই রান্নার এক ঘণ্টার মধ্যেই ভাত ঠান্ডা করে ফ্রিজে রাখা জরুরি এবং এক দিনের বেশি রাখা উচিত নয়। পাশাপাশি ভাত গরম করার সময় খেয়াল রাখতে হবে যেন পুরোটা ভালোভাবে গরম হয়। একবারের বেশি গরম করা ঠিক নয়।
সারসংক্ষেপে বলা যায়, ফ্রিজের ভাত গরম করে খাওয়ার ক্ষেত্রে সঠিকভাবে সংরক্ষণ করা হলে এটি শুধু নিরাপদই নয়, বরং ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ ও ওজন কমাতেও সহায়তা করতে পারে।
সূত্র: হেলথ লাইন
ছবি: ইনস্টাগ্রাম