গ্রীষ্মের জনপ্রিয় এক ফল তরমুজ। তবে তরমুজের বীজ কি খাওয়া যায়? এমন প্রশ্নে অনেকেই ভ্রু কুঁচকে তাকাবেন। আবার কারও মনে নাড়া দিতে পারে ছোটবেলার সেই ভয়; পেটে তরমুজের চারা গজিয়ে যাবে না তো? প্রচলিত এই ধারণা শিশুসুলভ হলেও তরমুজের বিচি নিয়ে বিরক্ত হন সকলেই। তরমুজের সঙ্গে খেয়েও ফেলছি আমরা এর বিচি। অবাক ব্যাপার হলো, খাবার হিসেবে তরমুজের এই বীজের রয়েছে স্বাস্থ্যগত নানা উপকারী দিক, যা আপনাকে চমকে দিতে পারে। চলুন, জেনে নেওয়া যাক এই অপ্রচলিত খাবারের স্বাস্থ্যগুণগুলো।
তরমুজের বীজ কি খাওয়া যায়?
সাদা অথবা কালো, তরমুজের যেকোনো বীজই খাওয়ার জন্য নিরাপদ। সাদা বীজ মূলত সীডলেস তরমুজের ফাঁকা বীজত্বক দিয়ে গঠিত একধরনের অপরিপক্ব বীজ; এটি সহজেই খাওয়া যায়। অন্যদিকে কালো বীজ পরিপক্ব আর অদ্রবণীয় আঁশযুক্ত। সচরাচর বাজার থেকে কেনা তরমুজগুলোতে এই বীজ থাকে। এটিও খেতে পারেন নিশ্চিন্তে।
পুষ্টিমান ও স্বাস্থ্য উপকারিতা
তরমুজের ছোট ছোট বীজগুলো বেশ পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ। এতে রয়েছে আয়রন, ফোলেট এবং নিয়াসিনের মতো দরকারি পুষ্টি উপাদান। তরমুজের বীজে থাকা ম্যাগনেসিয়াম বিভিন্ন শারীরবৃত্তীয় কাজের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।
এছাড়াও এতে উপস্থিত লাইকোপেন নামক অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হৃদযন্ত্র সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। তরমুজের আকর্ষণীয় রঙের পেছনেও রয়েছে লাইকোপেন। এটি ক্যান্সার প্রতিরোধে সাহায্য করে এবং হৃদরোগের ঝুঁকি কমায় ।
কীভাবে খাবেন?
লবন আর সামান্য অলিভ অয়েলসহ তরমুজের বিচি ভেজে তৈরি করতে পারেন মজাদার নাশতা। আবার বাড়তি পুষ্টির জন্য সালাদ, দই অথবা ওটমিলের সঙ্গে মিশিয়ে খেতে পারেন। এছাড়াও তরমুজের বীজ থেকে তৈরি করা যায় বাটার; খেতে পারেন টোস্ট অথবা স্মুদির সঙ্গে।
তবে অতিরিক্ত খাওয়ার ব্যাপারে সতর্ক থাকতে হবে। বীজে অদ্রবণীয় আঁশের উপস্থিতি হজম প্রক্রিয়াকে কিছুটা মন্থর করে। ফলে কারও কারও হজমে অস্বস্তি দেখা দিতে পারে। সেক্ষেত্রে অঙ্কুরিত অথবা রান্না করা বীজ খেতে পারেন। এভাবে খেলে হজমে ব্যাঘাত ঘটবে না এবং শরীর খুব সহজেই পুষ্টি উপাদান গ্রহণ করতে পারবে।
তথ্যসূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া
ছবি:পেকজেলস ডট কম