দিন দিন জিমে যাওয়া নারীর সংখ্যা বেড়েই চলছে। কিন্তু অনেকেরই কমছে না ওজন। এই সমস্যা এখন অনেক নারীর মধ্যেই দেখা যায়। এই বিষয়ে সম্প্রতি কথা বলেছেন ফিটনেস কোচ ক্রিস্টিয়ানে গ্লোবিশ। যিনি সামাজিক মাধ্যমে গিগি নামে পরিচিত।
তিনি বলেন, “অনেকেই ভাবেন তারা স্বাস্থ্যকর খাচ্ছেন, কিন্তু কিছু ভুল অভ্যাস সেই প্রচেষ্টাকে ব্যর্থ করে দিচ্ছে। যেমন অনেকে শুধু গ্রিল করা সবজি বা সালাদ খেয়েই ওজন কমানোর চেষ্টা করেন। কিন্তু তাতে প্রোটিন, ফ্যাট বা কার্বোহাইড্রেট না থাকলে দেহ প্রয়োজনীয় পুষ্টি পায় না। ফলাফল শক্তি কমে যায় এবং দীর্ঘ মেয়াদে সেই ডায়েট কাজে আসে না।”
এমনই ৫টি সাধারণ ভুল নিয়ে কথা বলেছেন তিনি।
আপনি হয়তো শুকনো ফল, রাইস কেক বা পিনাট বাটার খাচ্ছেন ভেবে স্বস্তিতে আছেন। কিন্তু বারবার অল্প পরিমাণে খাওয়া ইনসুলিন লেভেল বাড়িয়ে দেয়। যা চর্বি পোড়াতে বাধা দেয়। সারা দিন ছোট ছোট খাবার না খেয়ে নিয়মিত পূর্ণ খাবার ও নির্দিষ্ট সময়ে স্ন্যাক্স গ্রহণ করাই ভালো।
তাড়াহুড়ো করে খেলে আমাদের মস্তিষ্ক বুঝেই উঠতে পারে না কখন পেট ভরে গেছে। এর ফলে অপ্রয়োজনের অতিরিক্ত খাওয়া হয়। এ জন্য ধীরে খাওয়া, ভালোভাবে চিবিয়ে খাওয়া এবং খাওয়ার সময় মনোযোগী হওয়া খুবই জরুরি। এটাই সুস্থ অভ্যাসের চাবিকাঠি।
‘গ্লুটেন-ফ্রি’, ‘ভেগান’ বা ‘সুগার-ফ্রি’ লেখা মানেই সেটা স্বাস্থ্যকর নয়। অনেক সময় এসব লেবেলযুক্ত খাবার প্রক্রিয়াজাত ও অস্বাস্থ্যকর উপাদানে ভরপুর থাকে। তাই খাবার কেনার সময় সামনের লেবেল নয়, পেছনের উপাদান তালিকা দেখুন।
অনেকেই সঠিক খাবারের তালিকা না মেনে, শুধু আজ একটু পছন্দের খাবার খাই-এই ভেবে পিৎজা বা ফাস্ট ফুড খেয়ে নেন। আর তাতেই ঘটে বিপদ। তাই সঠিক ডায়েট বজায় রাখতে চাইলে সপ্তাহব্যাপী মিল প্ল্যান ও হেলদি বিকল্প প্রস্তুত রাখা অত্যন্ত জরুরি।
ওয়ার্কআউট করার পর শরীর ক্লান্ত ও পুষ্টিহীন থাকে। সেই সময় কিছু না খেলে রিকভারি ব্যাহত হয় এবং ফ্যাট বার্ন কমে যায়। তাই ব্যায়ামের পরপরই প্রোটিন ও কার্বোহাইড্রেটের সংমিশ্রণ আছে এমন খাবার খাওয়া উচিত। যেমন দুধ ও কলা, ডিম ও ব্রেড বা গ্রিক ইয়োগার্ট ও ফল।
সব শেষে ফিটনেস কোচ ক্রিস্টিয়ানে গ্লোবিশ আবারও মনে করিয়ে দেন, ওজন কমানোর এই যাত্রা খুব বেশি কঠিন নয়। যদি সঠিক নিয়ম মানা হয়।
সূত্র: ফিটনেস কোচ ক্রিস্টিয়ানে গ্লোবিশ–এর ইনস্টাগ্রাম
ছবি: পেকজেলসডটকম