ঈদের জন্য অনলাইন শপিংয়ে এই ৮ টিপস মেনে চলুন
শেয়ার করুন
ফলো করুন

প্রযুক্তির কারণে সবকিছুই এখন বেশ সহজ। আগে ঘুরে ঘুরে জিনিসপত্র কিনলেও এখন ঘরে বসেই অর্ডার করা যায় অনলাইনে। জামাকাপড় থেকে নিত্যপ্রয়োজনীয় সব ধরনের জিনিস এখন এক ক্লিকেই চলে আসে বাড়ির দরজায়। তবে অনলাইনে যেকোনো জিনিস কেনার আগে অবশ্যই কিছু বিষয়ে খেয়াল রাখা উচিত। না হলে ঠকার আশঙ্কাও  থাকে। এ ক্ষেত্রে কয়েকটি টিপস মেনে চললে কেনাকাটা হবে আরামদায়ক।

১। পরিচিত ব্র্যান্ড থেকে পণ্য নিলে ভালো। এ ক্ষেত্রে যে পরিচিত ও জনপ্রিয় ব্র্যান্ডই হতে হবে, এমন নয়। যাদের পোশাক বা পণ্যের সঙ্গে আপনার দীর্ঘদিনের সখ্য, তাদের অনলাইন স্টোর থেকে কেনা যেতে পারে। যদি তা না হয়, তবে পরিচিত ব্যক্তিদের জিজ্ঞেস করে জেনে নেওয়া যেতে পারে। এ ছাড়া কিছু কেনার আগে তাদের অনলাইন সাইট বা পেজ ভালোমতো পর্যবেক্ষণ করতে হবে।

বিজ্ঞাপন

২। অনলাইনে পোশাক কিনতে চাইলে সবার আগে বিস্তারিত জেনে নিতে হবে। ই-কমার্স সাইটগুলোতে পোশাকের বিবরণ দেওয়া থাকে। জামা কোনো ম্যাটেরিয়ালে তৈরি, সেটি জানা জরুরি। অনেকের ত্বকে অ্যালার্জি হয়। তা ছাড়া আবহাওয়া বিবেচনা করে কাপড় বেছে নেওয়া ভীষণ জরুরি।

৩। অনেক সময় দেখা যায়, অনলাইন স্টোর ঘুরতে ঘুরতে কোনো একটি পণ্যের দিকে চোখ আটকে যায়। দামে মিলে গেলে আর পছন্দ হলে অর্ডারও দিয়ে দেওয়া হয়। কিন্তু এ ভুলটি করা যাবে না। অনলাইনে কিছু কেনার আগে অবশ্যই ক্রেতাদের রিভিউ দেখে নিতে হবে। এই পণ্য আগে যাঁরা কিনেছেন, তাঁদের মন্তব্য জানতে হবে। সব যাচাই করে তারপরই কেনার সিদ্ধান্ত নিতে হবে।

বিজ্ঞাপন

৪। এখন ই-কমার্স সাইট ও সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে অনলাইন শপিং আরও জোরদার হয়েছে। পণ্য কিনে বিপাকে পড়তে না হয়, সেটি মাথায় রাখতে হবে। অনেক সময় দেখা যায়, অনলাইন শপ থেকে জামা কিনে সাইজ মিলছে না কিংবা কোনো অ্যাকসেসরিজ অর্ডার করলেও পণ্যের সঙ্গে ছবি মিলছে না—এ ধরনের সমস্যা হতেই পারে । তাই আগেই দেখে নিতে হবে সাইটটিতে এক্সচেঞ্জ ও রিটার্ন পলিসি আছে কি না। তাহলে সহজেই জিনিস বদলে নেওয়া যাবে।

৫।  একটি ভুল অনেকেই করেন, সেটি হলো অনলাইনে কাপড় কিংবা জুতা কেনার সময় সাইজ চার্ট নিয়ে পড়াশোনা করেন না। ব্র্যান্ড অনুযায়ী অনেক সময় সাইজ আলাদা হয়। আমাদের দেশে ইউনিফর্ম সাইজ নেই। যেটা আমেরিকা বা ইউরোপে আছে। ফলে ব্র্যান্ডভেদে সাইজ আলাদা হয়। কেনার সময় সমস্যায় পড়েন অনেকে।

৬।  তুলনা করতে শিখতে হবে। অর্থাৎ একটি ওয়েবসাইটে পণ্য পছন্দ হয়েছে বলে সেখান থেকে কিনতে হবে, তা নয়। একই পণ্য হয়তো অন্য সাইটে দাম কম। একটি পোশাক কিনতে গেলে অনেক দোকান ঘুরে দেখে তবেই কেনা হয়। একইভাবে অনলাইনেও অন্য সাইটগুলো ঘুরে দেখে তবেই কেনা উচিত। অনেক সময় ডিসকাউন্ট অফারও থাকে। একটি নির্দিষ্ট পরিমাণের বেশি কেনাকাটা করলে ছাড় থাকে।

৭।  কোনো কারণে পণ্য নিয়ে সন্দেহ হলে বা কিছু জানার থাকলে সাইটটির সঙ্গে যোগাযোগ করে জেনে নিশ্চিত হতে হবে। প্রতিটি সাইটেই থাকে যোগাযোগের জন্য মুঠোফোন নম্বর ও মেইল অ্যাড্রেস। শিপিং খরচ দেখতে হবে। অনেক সময় অনেক সাইট নির্বাচিত আইটেমগুলোর জন্য বিনা মূল্যে বা ছাড়ে শিপিং অফার করে।

৮।  অনলাইন শপিংয়ে আমরা লেনদেন করে থাকি ব্যাংক, নগদ, বিকাশ বা বিভিন্ন কার্ডে। এ ক্ষেত্রে রেকর্ড রাখার জন্য লেনদেনের বিবরণসহ মুঠোফোনে স্ক্রিনশট নিয়ে রাখা উচিত, কিংবা প্রিন্ট কপিও রাখা যেতে পারে। কখনো সাইটের একটি লিংক থাকে, যেখানে ডেলিভারি পরিস্থিতি সম্পর্কে জানা যেতে পারে।

ছবি: পেকজেলসডটকম

প্রকাশ: ১৮ মার্চ ২০২৫, ০৪: ৫১
বিজ্ঞাপন