হারানো কার্যক্ষমতা ফেরাতে পাওয়ার স্মুদি
শেয়ার করুন
ফলো করুন

নামটা শুনে হয়তো মনে করতে পারেন, এটা বুঝি পাওয়ার দেওয়ার কিছু। আসলে ব্যক্তিজীবনে অনেক ধরনের অনিয়মের কারণে নারী–পুরুষের সঞ্জীবনী শক্তি কমে যায় নির্দিষ্ট বয়সের আগে। ফলে শুরু হয় দুশ্চিন্তা। নানা ধরনের পাওয়ার বুস্টার সাপ্লিমেন্ট, নানা চটকদার ভেষজ উপাদান খেয়ে শক্তি বাড়ানোর জন্য চেষ্টা করা হয় কিন্তু মানুষ বুঝতে চান না যে নির্দিষ্ট কারণে এই সমস্যা হয়েছে, সেটা ঠিক না করে পাওয়ার বুস্টার দিয়ে সমস্যার সমাধান করা সম্ভব নয়।

বিজ্ঞাপন

উপকরণ

এক গ্লাস পানি
২টি কলা (সাগর কলা হলে ভালো)
১ চা–চামচ শুকনা আদার গুঁড়া
১ চা–চামচ মধু
আধা চা–চামচ লেবুর রস

বিজ্ঞাপন

এই পাঁচ উপকরণ একসঙ্গে মেশানো হলে খাওয়ার উপযোগী হয়ে উঠবে, সেটা প্রতিদিন সকালে নাশতার পর অথবা রাতে শোয়ার আগে খেতে পারেন।
এই পাওয়ার স্মুদি কেন আপনার জন্য কেন ভালো, সেটা জানা জরুরি। এই স্মুদিতে থাকা কলা মূল্যবান ভিটামিনে ভরপুর থাকে। একটি শরীরের ইমারত গঠনে কাজ করে। ইমারতের ত্রুটির কারণে ইরেক্টাইল ডিসফাংশন ও লিবিডো কমে যায়।

এর সঙ্গে আধা চা–চামচ লেবুর রস। লেবু নারী–পুরুষ উভয়ের স্বাস্থ্যের জন্য ভালো। লেবুর রস শুক্রাণু চলাচলকে ত্বরান্বিত করে ও শুক্রাণুর গুণমান উন্নত করে। নারীর ডিম্বাণু সজীব রাখে। লেবুতে থাকা ভিটামিন সি বিশেষ করে শরীরে নানা ধরনের টক্সিনের প্রভাব থেকে মুক্ত করতে অসাধারণ কাজ করে।

আধা চা–চামচ শুকনা আদা মিশিয়ে নিতে হবে। এই শুকনা আদা রক্ত সঞ্চালন উন্নত করে, শক্তি বাড়ায়, আত্মবিশ্বাস দেয়, রক্তকে অন্তরঙ্গ এলাকায় প্রবাহিত করতে দেয় ও শক্তি পুনরুদ্ধার করে। আদা নিজের গুণে মানুষের ভেতরে অনেকগুলো কাজ করে। তার মধ্যে পেটে জমে থাকা গ্যাস দূর করতে কাজ করে, সেই সঙ্গে রক্তচাপ ও লিপিড ঠিক রাখতে বেশ কার্যকর।

এক গ্লাস পানি ও মধু এক চা–চামচ। মধু দিতে হবে, যা ইউরোজেনিটাল সিস্টেম ও প্রোস্টেটকে স্বাভাবিক করে তোলে; প্রোস্টাটাইটিসের চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়; যা আমাদের মানসিক শক্তিকে উন্নত করে। রাতে ঘুমানোর আগে প্রাকৃতিক মধু খেলে ঘুম ভালো হয়। ঘুমের মধ্যে শরীরে ইউরোজেনিটাল যেন ঠিক থাকে, তার জন্য একটি স্পেস তৈরি করতে মধু ও পানির একটি যোগসূত্র রয়েছে। যার কারণে সকালে প্রস্রাব ঠিকঠাক হতে থাকবে। ইউরিনের কোনো সমস্যা থাকবে না।

উল্লেখিত উপকরণে তৈরি এই স্মুদি নিয়মিত পান করলে শরীরের প্রতিবন্ধকতার চার স্তর ঠিক হতে থাকে। যথা ঘুম ভালো হবে, শরীর টক্সিন মুক্ত হবে, রক্তের লিপিড ঠিক থাকবে, সেই সঙ্গে রক্ত চলাচল স্বাভাবিক থাকলে আপনার শরীরে সঞ্জীবনী শক্তি বাড়বে, যেটা হারিয়ে গিয়েছিল সেটা পুনরুদ্ধার হবে।

এই স্মুদি ঘুমানোর ৩০ মিনিট আগে পান করা সবচেয়ে উত্তম। সকালে নাশতার পর খাওয়া যেতে পারে। এক মাস খেয়ে দেখতে পারেন। এই স্মুদির সঙ্গে চিনি ও ময়দা দিয়ে তৈরি সব খাবার বাদ দিতে হবে যদি সঠিক উপকার পেতে চান।

ছবি: সাইফুল ইসলাম

প্রকাশ: ২০ মার্চ ২০২৩, ০৭: ৫৫
বিজ্ঞাপন