দ্রুত ওজন কমানোর পরামর্শ দিচ্ছে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই। ইতিমধ্যে অনেকেই এআই এর পরামর্শে ওজন নিয়ন্ত্রণে এনেছেন। সেই গল্প আবার শেয়ার করেছেন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও। এবার বায়োহ্যাকার ও লাইফ কোচ নোহা লেইথ ইনস্টাগ্রামে একটি ভিডিও পোস্ট করে জানিয়েছেন এআই কীভাবে ‘৩০ দিনে ৩০ পাউন্ড (প্রায় ১৩.৬ কেজি)’ ওজন কমানোর উপায় জানাল।
তবে এই পরামর্শ কেবল খাবার কম খাওয়া বা বেশি ব্যায়াম করা নয়। এআই বলছে, আসল ওজন কমানোর শুরুটা হয় শরীরের ভেতরকার সমস্যাগুলোর সমাধানের মাধ্যমে। যেমন ইনসুলিন রেজিস্ট্যান্স, প্রদাহ ও হরমোনের ভারসাম্যহীনতা।
নোহা এআই-কে প্রশ্ন করেন, “যদি তুমি মানুষ হতে, তাহলে কীভাবে ৩০ দিনে ৩০ পাউন্ড কমাতে?”
এআই জানায়-
১. প্রথমে মূল সমস্যা ঠিক করো, শুধু ওজন নয়। যেমন অতিরিক্ত মেদ আসলে শরীরের ইনসুলিন রেজিস্ট্যান্স ও প্রদাহের ফল।
২. হরমোন ব্যালান্স ঠিক করো। প্রাকৃতিকভাবে হরমোনের ভারসাম্য ফিরিয়ে আনা দরকার, না হলে ফ্যাট কমবে না।
৩.পূর্বপুরুষদের মতো খাও। উচ্চ-চর্বি, উচ্চ-প্রোটিন, চিনি ও প্রক্রিয়াজাত খাবার সম্পূর্ণ ভাবে বাদ দিতে হবে।
৪. ব্যায়াম করো। বড় পেশিগুলো কাজে লাগিয়ে ইনটেনসিটি বাড়াও, যাতে ফ্যাট বার্নিং হরমোন নিঃসৃত হয়।
৫. গভীর ঘুমকে গুরুত্ব দাও। গভীর ঘুমই হলো প্রাকৃতিক ফ্যাট বার্নের সবচেয়ে ভালো উপায়।
নোহার মতে, শুধু ডায়েট নয়, প্রাকৃতিক সমাধান খুঁজতে হবে। তিনি বলেন, “৩০ দিনে ৩০ পাউন্ড কমানো মানে কম খাওয়া নয় বা অতিরিক্ত কার্ডিও নয়। আসল কাজ হলো শরীরের ভেতরের ভারসাম্য ফিরিয়ে আনা।” তিনি আরও বলেন, “ইনসুলিন রেজিস্ট্যান্স, প্রদাহ, হরমোনের ভারসাম্যহীনতা, এমনকি শরীরে জমে থাকা টক্সিন–এসবই মেটাবলিজম ধীর করে দেয়। তাই প্রথমে এগুলো ঠিক করতে হবে।”
নোহার পরামর্শ :
১. ইনসুলিন সেনসিটিভিটি বাড়াতে হবে, প্রদাহ কমাতে হবে।
২. হরমোন স্বাভাবিক রাখতে হবে।
৩. উচ্চ প্রোটিন ও ফ্যাটযুক্ত খাবার খেতে হবে, চিনি ও কার্ব বাদ দিতে হবে।
৪. প্রক্রিয়াজাত খাবার এড়িয়ে চলা।
৫. প্রতিদিন হাঁটা এবং পর্যাপ্ত ঘুম।
বিশেষজ্ঞরা যা বলছেন
পুষ্টিবিদরা অবশ্য সতর্ক করে বলেছেন, এত দ্রুত ওজন কমানো সবার জন্য উপযুক্ত নয়।
প্রত্যেকের দেহের গঠন ও বিপাকক্রিয়া আলাদা। তাই এ ধরনের পরিকল্পনা শুরু করার আগে ডাক্তার বা পুষ্টিবিদের পরামর্শ নেওয়া জরুরি। এআই-এর মতে, ২০২৫ সালে ওজন কমানো মানে আর শুধু ডায়েট নয়–এটা এক ধরনের ‘মেটাবলিক রিসেট’।
ছবি: এআই