ওয়ার্ল্ড হেলথ সোসাইটির তথ্য অনুযায়ী, ২০১৮ সালে প্রায় দুই লাখ মানুষ স্তন ক্যানসারে আক্রান্ত হয়েছেন। যার মধ্যে ৮৭ হাজার ৯০ জন নারী এই রোগে মারা গেছেন। কিন্তু বলে রাখা ভালো, এই পরিসংখ্যান পাওয়া গেছে শুধু উন্নত দেশগুলো থেকে। তবে ওয়ার্ল্ড হেলথ সোসাইটির দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, ১৯৮০ থেকে ২০২০ সালের মধ্যে স্তন ক্যানসারে মৃত্যুর হার প্রায় ৮০ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে। একই সঙ্গে উন্নত চিকিৎসাপদ্ধতির জন্য প্রতিবছর স্তন ক্যানসারে মৃত্যুর হারও কমছে।
চিকিত্সকদের মতে, নিয়মিত পরীক্ষা না করালেও কয়েকটি পরিবর্তন দেখে স্তন ক্যানসারের লক্ষণগুলো বোঝা যায়। স্তন ক্যানসার সচেতনতা মাসে স্তন ক্যানসার শনাক্তকরণের ওপর বেশি জোর দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। লক্ষণগুলো সম্পর্কে কিছু তথ্য
১. স্তনের আকার বা আকৃতিতে পরিবর্তন:
পিরিয়ডের আগে স্তন ফুলে যাওয়া, ব্যথা বা বেদনাদায়ক হওয়া সাধারণ ব্যাপার। কিন্তু বিশেষ করে এই সময়ে যদি একটি স্তনের আকারে পরিবর্তন লক্ষ করা যায়, তা উপেক্ষা না করে দ্রুত ডাক্তারের সঙ্গে আলোচনা করুন।
২. স্তনবৃন্তে স্রাব:
স্তন থেকে যেকোনো স্রাব বের হলে সতর্ক হবেন। সেই স্রাব জলযুক্ত হতে পারে আবার রক্তাক্ত ও দুধের মতো সাদাও হতে পারে। যদি কোনো নারী সন্তানকে স্তন্যপান না করান, তবু তাঁর এমন লক্ষণ দেখা যায়, তাহলে অবিলম্বে ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
৩. স্তনে লাল র্যাশ:
স্তনে লাল র্যাশ হয়েছে কি না দেখুন। কোনো ধরনের অস্বস্তিকর চুলকানি দেখা দিলে দেরি করবেন না। দ্রুত ডাক্তারের পরামর্শ নিন।
৪. লাম্প:
স্তনে হাত দিয়ে বোঝার চেষ্টা করুন। হঠাৎ কোনো লাম্প বা গোলাকৃতি মাংসপিণ্ডের অস্তিত্ব অনুভব করলে দেরি না করে চিকিৎসকের কাছে যেতে হবে। স্তন ও বগলের সংযোগস্থল ভালো করে লক্ষ করুন, কোনো লাম্প বা ফোলা অংশ রয়েছে কি না। থাকলে সাবধান হোন।
৫. স্তনবৃন্তের আকারে পরিবর্তন:
যদি লক্ষ করেন যে আপনার স্তনবৃন্ত বাইরের দিকে না গিয়ে ভেতরের দিকে নির্দেশ করছে, তাহলে আপনার ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
কখন স্তন ক্যানসারের জন্য স্ক্রিনিং করা প্রয়োজন
* ৪০ থেক ৪৯ বছর—এই বয়সে উপযুক্ত কাউন্সেলিংয়ের পর বার্ষিক বা দুই বছরে একবার স্ক্রিনিং শুরু করা প্রয়োজন।
* ৫০ থেকে ৭৪ বছর—এই বয়সে দুই বছরে একবার ম্যামোগ্রাম দিয়ে স্ক্রিনিং করার পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা।
* ৭৫ বছর ও তার বেশি বয়স—প্রতিবছর স্ক্রিনিং চালিয়ে যাওয়া উচিত।
ছবি: পেকজেলসডটকম