পিস লিলির পাতা বেশ বড়। ফলে এটি বেশি কার্বন ডাই–অক্সাইড শুষে নেয়। পাশাপাশি বেশি অক্সিজেন তৈরি করে। এতে ঘর ঠান্ডা থাকে। এটি বেঞ্জিন ও ফর্মালডিহাইডের মতো দূষিত পদার্থগুলো সরিয়ে আপনার বাড়ির বাতাসকে পরিষ্কার করে রাখবে। তবে বাড়িতে পোষা প্রাণী থাকলে সাবধান। এই গাছের পাতা মুখে গেলে তাদের পেটের গন্ডগোল হতে পারে।
এটি টক্সিন থেকে মুক্তি পেতে সহায়তা করে এবং স্বাভাবিকভাবে বাতাসে আর্দ্রতা পুনরুদ্ধার করে ঘরে আর্দ্রতা উন্নত করতে সাহায্য করে।
পথস সাধারণত মানি প্ল্যান্ট বা টাকার গাছ হিসেবেই পরিচিত। এটি ঘরে লাগালে ঘরের বাতাস দ্রুত শুদ্ধ হয়ে যায়। পাশাপাশি ঘরের তাপমানও কমে যায়।
বর্তমানে সবচেয়ে জনপ্রিয় ইনডোর প্ল্যান্ট হলো মনস্টেরা। বড় বড় পাতার এই গাছ এখন ইন্টেরিয়র ডিজাইনারদের প্রথম পছন্দ। তবে মনস্টেরা বড় হতে একটু সময় লাগে। আর বড় মনস্টেরা দেখতে বেশ সুন্দর।
অন্যান্য ইনডোর প্ল্যান্টের মতোই এটির প্রথম কাজ ঘরের বাতাস শুদ্ধ করা। স্নেক প্ল্যান্ট একটি দুর্দান্ত এয়ার পিউরিফায়ার হিসেবে কাজ করে। ঘরের মধ্যে গাছপালা রাখলে যে শুধু প্রাকৃতিক প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে ঘরকে ঠান্ডা রাখে, সেটাই নয়; এই ধরনের গাছপালা ঘরের বাতাসে আর্দ্রতা বাড়িয়ে তোলে। অক্সিজেন লেভেল বাড়াতেও সাহায্য করে। ঠিক তেমনি বাতাস দূষণমুক্ত রাখতেও সাহায্য করে। এই গাছের মধ্যে জলের পরিমাণ বেশি থাকে। ফলে এর থেকে গরম হাওয়ার বদলে ঠান্ডা হাওয়া নির্গত হয়। আবার বাতাসে আর্দ্রতাও বজায় থাকে। কার্বন ডাই–অক্সাইড কমিয়ে অক্সিজেনের জোগান দেয় স্নেক প্ল্যান্ট। ফলে ঘরের তাপমাত্রা বাড়ে না।
বাড়িতে জায়গার অভাব না থাকলে বসার ঘরে রাখতেই পারেন অ্যারিকা পাম। এটি এক দিকে ঘর ঠান্ডা রাখে, আবার দেখতেও সুন্দর লাগে। শুধু বাড়ি নয়, এই গাছ হোটেল, অফিস ও অন্যান্য উন্মুক্ত স্থানে সৌন্দর্য বৃদ্ধিতে ব্যবহৃত হয়।
স্পাইডার প্ল্যান্ট বাতাস থেকে বিষাক্ত পদার্থ অপসারণের জন্য সেরা অভ্যন্তরীণ উদ্ভিদ হিসেবে বিবেচিত। স্পাইডার উদ্ভিদ রক্ষণাবেক্ষণ করাও খুব সহজ। এটি কম সূর্যালোযুক্ত জায়গায় রাখা যেতে পারে। এতে ঘন ঘন পানি দেওয়ার প্রয়োজন হয় না। এটি বাতাসে উপস্থিত কার্বন মনোক্সাইডকেও নির্মূল করে।
তাল পাম পরিবেশ থেকে প্রচুর পরিমাণে কার্বন ডাই–অক্সাইড শোষণ করে। অতিরিক্ত কার্বন ডাই–অক্সাইড দীর্ঘক্ষণ তাপ ধরে রাখতে সক্ষম। ফলে ঘরে কার্বন ডাই–অক্সাইডের পরিমাণ বেড়ে গেলে ঘর দ্রুত গরম হয়ে যায়। কাজেই ঘরের অক্সিজেন ও উষ্ণতার মাত্রা বজায় রাখতে এই গাছ দারুণ কার্যকর।