অতিরিক্ত ওজন যেমন বিভিন্ন স্বাস্থ্যঝুঁকি বাড়ায়, তেমনি স্বাভাবিকের চেয়ে ওজন কম হলে সেটিও শঙ্কার কারণ হতে পারে। তবে বর্তমান সময়ে অতিরিক্ত ওজনই মুখ্য আলোচনার বিষয়।
অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণায় দেখা গেছে, সকালে ওজন মাপার পরে সেদিনের জন্য একটা নির্দিষ্ট অ্যাকশন পয়েন্ট ঠিক করে নিলে দ্রুত ওজন কমে। কী কী অ্যাকশন পয়েন্ট চিন্তা করতে পারেন, তার একটা তালিকা দেওয়া হলো।
১. খাদ্যাভ্যাসে পরিবর্তন
২. পানীয়
৩. লাইফস্টাইল
৪. ক্যালরি খরচ
এখানে খাদ্যাভ্যাসে পরিবর্তন সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। তাই সে নিরিখে রইল ৫টি বৈজ্ঞানিক পরামর্শ।
১. আমরা মাছে–ভাতে বাঙালি। ভাত আমাদের খাদ্যতালিকার এক অপরিহার্য অংশ। ওজন কমানো যদি আমাদের লক্ষ্য হয়, তাহলে আমরা লাল চাল খাদ্যতালিকায় রাখতে পারি। লাল চালে সাদা চালের তুলনায় কম গ্লাইসেমিক ইনডেক্স (GI) আছে, যার অর্থ হলো এটি ধীরে ধীরে হজম হয়ে রক্তের শর্করার ওপর কম প্রভাব ফেলে। এর ফলে ওজন কমাতে অনেকটা সহজ হয়।
২. ওজন বাড়ানোর জন্য কারণ হিসেবে অনেক বড় অংশ দখল করে আছে কিছু পানীয়, যেমন মিষ্টিযুক্ত চা, কফি ও কোমল পানীয়। এগুলোর মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ ক্যালরি। ওজন কমানোর একটি সহজ উপায় হলো কম ক্যালরিযুক্ত পানীয় বেছে নেওয়া; যেমন গ্রিন টি, ডিটক্স ওয়াটার, ডাবের পানি ইত্যাদি।
৩. ওজন কমাতে আপনার খাবারে প্রোটিন আর ফাইবারের পরিমাণ বাড়াতে হবে। প্রোটিন ও ফাইবার হজম হতে বেশি সময় নেয়, যার কারণে দীর্ঘ সময়ের জন্য পেট ভরা থাকে। এ কারণে আপনি যেকোনো জাঙ্ক ফুড খাওয়া থেকে রক্ষা পান। ডিম, মাছ, মুরগির মাংস, ডাল ইত্যাদিতে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন থাকে। ফাইবারের জন্য আপনি খেতে পারেন সবুজ শাকসবজি, বাদাম ও ফল।
৪. গরমে যত বেশি প্রোবায়োটিক সমৃদ্ধ খাবার খাবেন, ওজন কমানো সহজ হবে। এর জন্য আপনি টক দই খেতে পারেন। এতে আপনার পেট ও হজমের স্বাস্থ্য ভালো থাকবে। উপকারী ব্যাকটেরিয়ার জন্য টক দই খুব ভালো একটি উৎস।
৫. ওজন কমাতে জাদুকরি ভূমিকা রাখে পর্যাপ্ত ঘুম। নির্দিষ্ট সময় স্থির করে কমপক্ষে ছয় থেকে আট ঘণ্টা পর্যাপ্ত ঘুম ওজন কমাতে সাহায্য করে। ঘুমের অভাব বিপাকক্রিয়া কমিয়ে দেয় এবং শরীরে পানি ধরে রাখে।
লেখক: মেডিকেল অফিসার, জয়নুল হক সিকদার উইমেন্স মেডিকেল কলেজ অ্যান্ড হসপিটাল
ছবি: পেকজেলসডটকম ও ফ্রিপিক