কঠিন সময়ে বন্ধুর মনোবল বাড়াতে করুন এই ৫টি কাজ
শেয়ার করুন
ফলো করুন

আমাদের আশপাশে অনেকে আছেন, যাঁদের মনোবল নেই বললে চলে। অতিসংবেদনশীল হওয়ার কারণে হীনন্মন্যতায় ভোগেন তাঁরা। পরিবেশগত কারণে হোক বা অতীতের কোনো ঘটনা—যেকোনো কারণে যে কারও আত্মবিশ্বাস তলানিতে ঠেকতে পারে। তাঁরা কেউ আমাদের বন্ধু, সহকর্মী বা পরিচিত মানুষ।

নিজেদের ভালো ব্যবহার, সচেতনতা আর কিছু কৌশল মেনে আমরা তাঁদের পাশে দাঁড়াতে পারি অনায়াসে। তবে এ জন্য সবার আগে নিজের অবস্থান শক্ত করতে হবে। নিজের আত্মবিশ্বাস মজবুত রেখে পাশের মানুষটিকে সহায়তা করতে হবে।

বিজ্ঞাপন

১. তিলকে তাল না করা

যাঁদের আত্মবিশ্বাসে ঘাটতি রয়েছে, তাঁরা সাধারণত সংবেদনশীল বা সেনসিটিভ মনোভাবের হয়ে থাকেন। নিজেকে গুটিয়ে রাখা আর সাধারণ কোনো কথা নেতিবাচকভাবে নেওয়ার একধরনের প্রবণতা থাকে তাঁদের মধ্যে। এমনকি সামান্য ইঙ্গিতকে তাঁরা ভুল বুঝতে পারেন। এগুলো তৈরি হয় হীনন্মন্যতার জন্য। তাই কোনো সমস্যা হলে সেটাকে হালকাভাবে নিতে উৎসাহ দিতে হবে তাঁকে। তাঁর কোনো ভুল হলে তা নিয়ে বেশি প্রতিক্রিয়া দেখানো যাবে না।

বিজ্ঞাপন

২. আন্তরিক প্রশংসায় কার্যকর অনুপ্রেরণা

সঠিক প্রশংসা ও স্বীকৃতি দুর্বল আত্মবিশ্বাসের মানুষকে নিজের সম্পর্কে ভালো বোধ জন্মাতে সাহায্য করে। মনে রাখতে হবে, একেক মানুষের ভাবনা একেক রকম। নিজের প্রতি বিশ্বাস না থাকায় অনেক মানুষ তাঁদের মেধা ও দক্ষতা প্রকাশ করতে পারেন না। অনুপ্রেরণা পেলে তাঁদের সেই মরা গাছে ফুল ফোটে। আর এ অনুপ্রেরণার সবচেয়ে সুন্দর রূপ হচ্ছে প্রশংসা।

৩. মন দিয়ে তাঁর কথা শোনা

আত্মবিশ্বাসে ঘাটতি আছে, এমন মানুষের কাছে সব সময় মনে হয়, তাঁর কথা কেউ শোনেন না, বোঝেন না, গুরুত্বও দেন না। অপর পক্ষ তাঁর কথা শুনছে কি না কিংবা বুঝতে পারছে কি না, এ নিয়ে দ্বিধায় ভোগেন তাঁরা। ফলে আত্মবিশ্বাস আরও তলানিতে যেতে শুরু করে। হীনন্মন্যতা জেঁকে ধরে। মনখুলে কথা বলার সুযোগ দিয়ে ও মাথা নেড়ে সম্মতি জানিয়ে তাঁকে বোঝাতে হবে যে তাঁর কথা শুনছে কেউ। কথার মাঝে থামিয়ে দেওয়া, মুখের কথা কেড়ে নেওয়া বা প্রত্যুত্তরে নিজের সমস্যার ঝাঁপি খুলে বসা—এগুলো এড়াতে হবে।

৪. সহমর্মিতায় ভরবে ক্ষত

‘এটা আমার কপালে নেই’, ‘আমার কাজ ততটা ভালো না’, ‘আমি এ পদের যোগ্য নই’—আপনজন এ রকম কথা বললে তাঁর দুঃখ আমাদেরও দুঃখী করে। আত্মবিশ্বাসের ঘাটতি কমাতে তাই এমন মানুষদের পাশে দাঁড়াতে হবে। তাঁদের মনে করিয়ে দিতে হবে যে তাঁরা একা নন। তাঁদের নেতিবাচক কথার উত্তরে যথাসম্ভব ইতিবাচক থেকে নিজে এমন পরিস্থিতিতে পড়লে বা অন্য কারও অভিজ্ঞতার কথা জানিয়ে তাঁর প্রতি সহমর্মিতা দেখানো যায়।

৫. দুঃখ, রাগের নিঃসংকোচ প্রকাশে সাহায্য করা

সব সময় যে মানুষ ভালো কথা শুনতে চান, তা নয়। কখনো সবচেয়ে জরুরি হয়ে পড়ে নিজের দুঃখ, হতাশা ও রাগ প্রকাশ করার জন্য আপন কাউকে। দুর্বল আত্মবিশ্বাসের অধিকারী ব্যক্তিরা আবেগপ্রবণ হন। কান্না পাওয়া, অবসাদে ভোগার মতো ঘটনা ঘটে তাঁদের প্রায়ই। তাই এ রকম সময় কাছের বন্ধু বা বিশ্বাসযোগ্য কেউ হয়ে তাঁদের পাশে দাঁড়ানো যায়। নিজেকে এমনভাবে উপস্থাপন করতে হবে, যেন অপর পক্ষের বিশ্বাস অর্জন করা যায়। তাঁর বাঁধভাঙা কান্নায় নিজের কাঁধ বাড়িয়ে দিলে ক্ষতি কী!

ছবি: পেকজেলস ডট কম

হিরো ইমেজ: পূর্ণ দাস

প্রকাশ: ১৭ জুলাই ২০২৪, ০২: ২১
বিজ্ঞাপন