স্তন ক্যানসার সচেতনতা মাস: স্তন ক্যানসারের যত কারণ
শেয়ার করুন
ফলো করুন

নানা কারণে স্তন ক্যানসার হতে পারে:

*কারও পরিবারে স্তন ক্যানসারের ইতিহাস থাকলে স্তন ক্যানসার হতে পারে।

*জীবনাচরণ এবং খাদ্যাভ্যাসে অনেক পরিবর্তনের কারণে স্তন ক্যানসার হতে পারে।

*কারও যদি ১২ বছরের আগে ঋতুস্রাব হয় এবং দেরিতে মেনোপজ বা ঋতু বন্ধ হয়, তারাও ঝুঁকিতে থাকে।

*এ ছাড়া দেরিতে সন্তান গ্রহণ, আবার যাদের সন্তান নেই বা সন্তানকে বুকের দুধ না খাওয়ানোর কারণে স্তন ক্যানসার হতে পারে।

*শাকসবজি বা ফলমূলের চেয়ে চর্বি ও প্রাণিজ আমিষ বেশি খেলে এবং প্রসেসড ফুড বেশি খেলে স্তন ক্যানসার হতে পারে।

*দীর্ঘদিন ধরে জন্মনিয়ন্ত্রণ পিল খাচ্ছেন বা হরমোনের ইনজেকশন নিচ্ছেন, তাঁরাও ঝুঁকির মধ্যে রয়েছেন।

* বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে স্তন ক্যানসারে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা বাড়ে। বিশেষ করে ৫০ বছর বয়সের পর এই ঝুঁকি অনেক বেশি বেড়ে যায়।

বিজ্ঞাপন

ব্রেস্ট ক্যানসার নিশ্চিত হওয়ার উপায়:

প্রতি মাসে নির্দিষ্ট সময়ে নিজের স্তন পরীক্ষা করতে হবে। মাসিক শুরুর পাঁচ-সাত দিন পর এই পরীক্ষা করতে হবে, যখন স্তন নরম ও কম ব্যথা থাকে।

১. শুয়ে বা আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে নিজের স্তনকে চারটি ভাগে ভাগ করে প্রতিটি অংশের অভ্যন্তরে কোনো চাকা বা দলার মতো আছে কি না, তা অনুভব করুন।

২. স্তনের আকৃতির বিশেষ কোনো পরিবর্তন হয়েছে কি না, দেখুন।

৩. সাধারণত দুই স্তনের আকার এক রকম না–ও হতে পারে। এটা অস্বাভাবিক নয়। তাই চিন্তার কিছু নেই।

৪. নিপল থেকে অকারণে কোনো তরল রস বের হয় কি না, তা লক্ষ করুন। তবে প্রসব–পূর্ববর্তী বা প্রসব–পরবর্তী নিঃসরণকে এর সঙ্গে মিলিয়ে ফেলা চলবে না।

৫. বগলে কিংবা ঘাড়ে কোনো চাকা অনুভব করতে পারছেন কি না, লক্ষ করুন।

৬. আপনার বাঁ হাত দিয়ে ডান পাশের ও ডান হাত দিয়ে বাঁ পাশের স্তন পরীক্ষা করুন।
এ ছাড়া ম্যামোগ্রাফি বা স্তনের আলট্রাসনোগ্রাম করে ও বায়োপসি অথবা এফএনএসি করে ব্রেস্ট ক্যানসারের উপস্থিতি নিশ্চিত হওয়া যায়।

ছবি: পেকজেলসডটকম

বিজ্ঞাপন
প্রকাশ: ২২ অক্টোবর ২০২৪, ০১: ০০
বিজ্ঞাপন