ঘুমের আগে যে ৪ কারণে ক্যামোমাইল টি পান করবেন
শেয়ার করুন
ফলো করুন

বর্তমান সময়ে বিভিন্ন হার্বাল খুবই জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। আর এর মাঝে মৃদু স্বাদের আর মিষ্টি সুবাসে ভরা ক্যামোমাইল টিয়ের আলাদা ভক্তকুল রয়েছে। প্রতি রাতে ঘুমের আগে এই চা পান করলে ঘুম ভালো হয় বলে বিভিন্ন গবেষণা ও সমীক্ষায় দেখা গেছে। এ কথা অনেকেরই জানা এখন যে নিদ্রাহীনতা রোধ করে এই চা। তবে এছাড়াও ক্যামোমাইল টিয়ের আরও সব অনন্য স্বাস্থ্যগুণ রয়েছে। প্রতি রাতে ক্যামোমাইল টি পান করলে যে উপকারিতাগুলো মিলবে তা এবারে জেনে নেওয়া যাক।

১। অস্টিওপোরোসিসের গতি ধীর বা প্রতিরোধ করতে পারে ক্যামোমাইল টি

অস্টিওপোরোসিস হলো হাড়ের ক্রমাগত ক্ষয় হওয়া বা বোন ডেনসিটি কমে যাওয়া। এই ক্ষতি হাড় ভাঙা ও আমাদের দেহের পশ্চার বা ভঙ্গিমা পরিবর্তন হয়ে যাওয়ার ঝুঁকি বাড়ায়। যদিও যে কেউ অস্টিওপোরোসিসের শিকার হতে পারেন, তবে এটি মেনোপজ-পরবর্তী মহিলাদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি দেখা যায়। অস্টিওপোরোসিসের প্রবণতা ইস্ট্রোজেনের প্রভাবের কারণে হতে পারে। ২০০৪ সালের একটি গবেষণায় পাওয়া গেছে যে ক্যামোমাইল টি–তে অ্যান্টি-ইস্ট্রোজেনিক প্রভাব থাকতে পারে। এটি হাড়ের ঘনত্ব উন্নীত করতে বা বোন ডেনসিটি বাড়াতে সাহায্য করেছে, এমন প্রমাণ মিলেছে।

বিজ্ঞাপন

২। এই চা দেহ-মনে আরাম দেয়

ক্যামোমাইল একটি মৃদু, শান্তিদায়ক আর স্ট্রেস প্রশমনকারী চা হিসেবে পরিচিত। ক্যামোমাইল টি অনিদ্রার জন্য অত্যন্ত সহায়ক হতে পারে। এটি খাবারের পরে হজমে সহায়তা করতে পারে এবং পেটে আরাম দেয়। তাই বমি বমি ভাব, পেটব্যথা বা পিরিয়ডের ব্যথার ক্ষেত্রে উপকারী। ক্যামোমাইল টি ভালো ঘুমের সহায়ক।


৩। ডায়াবেটিসের জন্য ভালো এই চা

এটি রক্তে শর্করার পরিমাণ কমাতে পারে। কিছু গবেষণায় দেখা গেছে যে ক্যামোমাইল টি ডায়াবেটিস রোগীদের রক্তে শর্করা কমাতে পারে। তবে ক্যামোমাইল টি ডায়াবেটিসের ওষুধের কোনো কার্যকর বিকল্প নয়, বরং সহায়ক বা সাপ্লিমেন্ট হতে পারে। গবেষণায় দেখা গেছে, নিয়মিত ক্যামোমাইল টি খেলে রক্তে শর্করার বৃদ্ধি রোধ হতে পারে। এ প্রভাব ডায়াবেটিস থেকে সৃষ্টি হওয়া জটিলতার দীর্ঘমেয়াদি ঝুঁকি হ্রাস করে। বিশেষজ্ঞরা ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে নিয়মিত ক্যামোমাইল টি পানের পরামর্শ দিয়ে থাকেন।

বিজ্ঞাপন

৪। ত্বকের তারুণ্য ধরে রাখতে কার্যকর ক্যামোমাইল টি

এটি পান করলে আপনার মন ও শরীর ভালো থাকবে। বিশেষ করে এটি ত্বকের বিভিন্ন চিকিৎসায় এবং ক্ষত নিরাময় করার জন্যও ব্যবহার করা যেতে পারে। চুলকানি ও শুষ্ক ত্বকের চিকিৎসার জন্য প্রায় সময় গোসলের পানির সঙ্গে ব্যবহৃত হয় এই চা। স্বাস্থ্যকর ও উজ্জ্বল ত্বকের জন্য ক্যামোমাইল টি সরাসরি ত্বকে প্রয়োগ করা যেতে পারে।

ক্যামোমাইল টি–তে অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি গুণ ও অ্যান্টি–অক্সিডেন্ট রয়েছে, যা ত্বকের প্রদাহ যেমন একজিমা এবং রোজেসিয়া থেকে মুক্তি দিতে পারে। ক্যামোমাইল টি–এর প্রাকৃতিক পলিফেনল এবং ফাইটোকেমিক্যাল দাগের নিরাময়প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত করতে পারে এবং বলিরেখা ও ব্রেকআউট কমিয়ে দিতে পারে। পলিফেনলগুলো প্রধানত ফ্রি রেডিকেল দূর করতে কাজ করে, যা অকালবার্ধক্য সৃষ্টি করে। তাই প্রতিদিন এক কাপ ক্যামোমাইল টি আপনার তারুণ্য ধরে রাখতে সাহায্য করবে।

ছবি: পেকজেলস ডট কম

প্রকাশ: ২৩ নভেম্বর ২০২৩, ১৬: ০০
বিজ্ঞাপন