পেটে ব্যথা: পেটের ব্যথা যদি না কমে দু–তিন দিন চলতে থাকে, তাহলে অবশ্যই হাসপাতালে ভর্তি করতে হবে।
মল বা প্রস্রাবের সঙ্গে রক্তপাত: এটি সবচেয়ে বিপজ্জনক উপসর্গগুলোর একটি। এই সংক্রমণে রক্তে অণুচক্রিকা বা প্লাটিলেট কমে যায়। এতে শরীরের নানা অংশ দিয়ে রক্তক্ষরণ শুরু হয়। মাড়ি ও নাক থেকেও রক্তপাত হতে পারে।
প্রস্রাবের পরিমাণ কমে যাওয়া: ডেঙ্গু মারাত্মক আকার নিচ্ছে কি না, তা বোঝা সম্ভব এই লক্ষণ দেখেও।
শ্বাসকষ্ট: জ্বরের সঙ্গে শ্বাসকষ্টের সমস্যা যেমন কোভিডের অন্যতম লক্ষণ, তেমনই এটি ডেঙ্গুরও লক্ষণ। এমন কিছু হলে রোগীকে হাসপাতালে নিয়ে যেতে হবে।
গুরুতর ক্ষেত্রে ডিএইচএফ (DHF) বা ডেঙ্গু হেমোরেজিক ফিভার হওয়ার ঝুঁকি রয়েছে। এ অবস্থায় রক্তনালিগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হয় এবং প্লাটিলেটের মাত্রা দ্রুত কমতে শুরু করে। এ ধরনের পরিস্থিতিতে নিম্নলিখিত লক্ষণগুলো দেখা যেতে পারে:
১. পেটের ব্যথা
২. ঘন ঘন বমি হওয়া
৩. মাড়ি বা নাক দিয়ে রক্ত পড়া
৪. পায়খানা বা বমিতে রক্ত পড়া
৫. নিশ্বাস নিতে অসুবিধা
৬. ক্লান্ত বোধ করা
৭. বিরক্তি বা অস্থিরতা
এনএসওয়ান (Dengue Virus Antigen Detection) ও CBC (Complete Blood Count) পরীক্ষার মাধ্যমে বোঝা যায় রোগী ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়েছে কি না এবং রক্তের প্লাটিলেটের বর্তমান অবস্থা। তবে নিজে সিদ্ধান্ত না নিয়ে একজন ডাক্তারের সঙ্গে পরামর্শ করে ডেঙ্গু নির্ণয়ের নির্দিষ্ট পরীক্ষা ও অন্যান্য রক্তের পরীক্ষাগুলো করিয়ে নেওয়া উচিত এবং সেই মোতাবেক চিকিৎসা গ্রহণ করতে হবে। ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হলে জ্বরের একেবারে প্রথম দিনই এনএসওয়ান পরীক্ষায় তা নির্ণয় করা সম্ভব। তবে জ্বরের চতুর্থ বা পঞ্চম দিন এই পরীক্ষার মাধ্যমে ডেঙ্গু নির্ণয় করা যায় না। তাই যদি জ্বর চার-পাঁচ দিনের বেশি হয়ে যায়, তাহলে আর এই পরীক্ষা করে লাভ নেই। সে ক্ষেত্রে ডেঙ্গু আইজিএম অ্যান্টিবডি টেস্ট করাতে হবে। ডেঙ্গু আক্রান্ত হলে তা নির্ণয় করা সম্ভব হবে। আবার জ্বরের ৯-১০ দিন পর এই পরীক্ষায়ও নেগেটিভ রিপোর্ট আসে। তখন আইজিজি অ্যান্টিবডি পজিটিভ দেখায়। এ বিষয়গুলো জটিল, তাই কখন কোনটি করতে হবে, সে সিদ্ধান্ত চিকিৎসকের ওপর ছেড়ে দেওয়াই ভালো।
ছবি: উইকিমিডিয়া কমন্স ও পেকজেলসডটকম